লন্ডনে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবস উদযাপন

নিউজডেস্ক
সত্যবাণী

লন্ডনঃ বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি ও মৈত্রী দিবস উদযাপনে যুক্তরাজ্যস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন ও ভরতীয় হাই কমিশন  সোমবার যৌথভাবে এক বিশেষ অভ্যর্থনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বীকৃতি প্রদান করে। ২০২১ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশে এক রাষ্ট্রীয় সফরের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এক প্রস্তাবে এই বিশেষ দিনটিকে প্রতি বছর যৌথভাবে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী দিবস হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।এ উপলক্ষে সোমবার আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী ও যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিব পার্টির কো-চেয়ার ওলিভার ডাউডেন।বক্তব্য রাখেন লর্ড সরাজ পল, লর্ড গাঢিয়া, লর্ড ডীন গডসন ও লর্ড কারেন বিলিমোরিয়া।

বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ভারতের ঐতিহাসিক সমর্থনের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের সুগভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ভিত্তি হচ্ছে দুদেশের মাটি ও মানুষের সম্পর্ক। দুদেশের মধ্যে যেমন অভিন্ন চুয়ান্নটি নদী প্রবাহমান, তেমনি অভিন্ন ধারায় প্রবাহমান উভয় দেশের মানুষের পারস্পরিক ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও আবেগ।হাই কমিশনার বলেন, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী যে শান্তি, অহিংসা ও মানবতার মহান আদর্শে দুদেশের মানুষকে উজ্জীবিত করে গেছেন তা বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আগামী দিনগুলোও আরো সুগভীর করবে ও নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে ভারতের হাই কমিশনার গায়ত্রি ইসার কুমার বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সহযোগিতা করার জন্য ভারতের সরকার ও জনগণ গর্বিত । তিনি তাঁর বক্তব্যে উভয় দেশের মধ্যে বিরাজমান বহুমাত্রিক ও গভীর সম্পর্কের কথা তুলে ধরে তা আগামী দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে বলে উল্লেখ করেন।অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিলো উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী রুনা লায়লার দেশাত্ববোধক সংগীত পরিবেশনা, যা উপস্থিত সবাইকে বিমুগ্ধ করে।এছাড়া ব্রিটিশ-বাংলাদেশি ও ব্রিটিশ-ভারতীয় শিল্পীরা দেশাত্ববোধক গান ও নাচ পরিবেশন করেন। বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিরা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মহান শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

You might also like