শিশু করোনাভাইরাস ছাড়া অন্য কোনভাবে অসুস্থ হলে যা করবেন

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

টাওয়ার হ্যামলেট্সঃ টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, এনএইচএস ১১১,জিপি সার্জারি এবং হাসপাতালগুলো আগের মতো একই ধরনের স্বাস্থ্য সেবা নিরাপত্তার সাথেই প্রদান করছে।তবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে আপনার শিশু অসুস্থ বা আঘাতপ্রাপ্ত হলে কী করবেন সেটা নিয়ে আপনি খানিকটা বিভ্রান্ত হতেই পারেন।যদি আপনার শিশু অসুস্থ বা আহত হয়, তাহলে কী করতে হবে, সেসম্পর্কে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে দ্যা রয়্যাল কলেজ অব পেডিয়্যাট্রিক্স এন্ড চাইল্ড হেলথ।

এর সংক্ষিপ্তসার নিচে তুলে ধরা হলো:

যদি নীচে উল্লেখিত কোন লক্ষণ আপনার শিশুর মধ্যে দেখা যায়, তাহলে আজই ডাক্তার বা নার্সের সাথে যোগাযোগ করুন। কথা বলুন জিপি সার্জারির সাথে। অথবা কল করুন ১১১ নাম্বারে।

– যদি আপনার শিশুর শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, তার পাঁজরের নীচের দিকে, ঘাড়ে অথবা পাজঁরের মাঝখানের মাংশপেশিতে পরিবর্তন চোখে পড়ে অথবা মাথা দুলতে থাকে।

– পানিশূণ্যতা দেখা দেয় (মুখ শুকনো, চোখ দেবে যাওয়া, চোখে পানি বা অশ্রু না থাকা, নিস্তেজভাব অথবা স্বাভাবিকের চেয়ে কম প্রশ্রাব হওয়া)।

– যদি পুরোপুরি নিস্তেজ হয়ে পড়ে (অতিরিক্ত ঘুমাচ্ছন্ন ভাব) বা খিটখিটে বা অসহিষ্ণু (খেলনা, টিভি, খাবার বা বাছাই করতে না পারা) – জ্বর কমে যাওয়া সত্বেও তারা যদি ঘুমে আচ্ছন্ন বা নিস্তেজ থাকে বা অস্থিরতা থেকে থাকে। কিংবা, যদি চরম কাঁপুনি বা পেশিতে ব্যথার অভিযোগ করে থাকে।

– অনধিক তিন মাস বয়সী শিশুদের গায়ের তাপমাত্রা যদি ৩৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস বা ১০০ ডিগ্রী ফারেনহাইটের উপরে হয়।

– ৩ থেকে ৬ মাস বয়সীদের টেম্পেরেচার যদি ৩৯ ডিগ্রী সেলিসিয়াস বা ১০২.২ ডিগ্রী ফারেনহাইটের বেশি হয়।

– যদি শিশুর গায়ের জ্বর বা তাপমাত্রা টানা ৫ দিনের বেশি সময় ধরে ৩৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস থাকে। অবস্থা খারাপে দিকে যায় অথবা আপনি চিন্তিত হন

– বাচ্চা যদি অবিরাম বমি করে এবং অথবা ক্রমাগত তীব্র পেট ব্যথা হয়। কিংবা যদি তাদের মল বা মূত্রে রক্ত দেখা যায়।

– আঘাতের কারণে তাদের কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নড়াচড়া করতে না পারে, ক্রমাগত ব্যথা, মাথায় আঘাতের কারনে কান্নাকাটি করে অথবা তন্দ্রাচ্ছন্ন ভাব দেখা যায়।

যদি কোন লক্ষণ ৪ ঘন্টার বেশি সময় থাকে এবং আপনি জিপি অথবা ১১১ নাম্বারে কথা বলতে সক্ষম না হন, তাহলে নিকটস্থ হাসপাতালের এএন্ডই অর্থাৎ জরুরী বিভাগে আপনার বাচ্চাকে নিয়ে যান।

যদি আপনার বাচ্চার মধ্যে নীচের কোন একটি লক্ষণ থাকে, তাহলে জরুরী সাহায্য আপনার দরকার। নিকটস্থ এন্ডই বা ইমার্জেন্সিতে যান অথবা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করুন ।–

– যদি আপনার বাচ্চা ফ্যাকাশে হয়ে পড়ে, দেহে নানা বর্ণের ছাপ দেখা যায় এবং স্পর্শ করলে অস্বাভাবিক ঠান্ডা মনে হয়।

কিংবা তাদের শ্বাস প্রশ্বাসে বিরতি থাকে, নিঃশ্বাসের ধরন অনিয়মিত হয় এবং ঘোঁত ঘোঁত শব্দ করে;

– নিঃশ্বাস নেয়ার ক্ষেত্রে গুরুতর অসুবিধা হওয়ায় বিচলিত বোধ করে বা কোন সাড়া না দেয়। অথবা, ঠোঁটের চারপাশ নীল হয়ে যায়।

– ফিট হয়ে পড়ে বা খিচুঁনি হয়।

– চরমভাবে পীড়িত হয় (মনোযোগ অন্যদিকে নেয়া সত্বেও ক্রমাগত কাদঁতে থাকে), বিভ্রান্ত, খুবই অলস (জাগিয়ে রাখা দুরূহ হয়ে পড়া) অথবা সাড়াশব্দ না করা বা প্রতিক্রিয়াহীন হয়। কিংবা, রাশ বের হয়; বিশেষ করে কিশোর বয়সী ছেলেদের টেস্টিকুলার বা অন্ডকোষে ব্যথা হয়।

যদি উপরের কোন লক্ষণ বা উপসর্গ আপনার শিশু সন্তানের মধ্যে দেখা না যায়, তাহলে ঘরেই তাদের যতœ নেয়ার জন্য কাউন্সিলের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

যদি আপনি এখনো আপনার সন্তানের শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন, তাহলে পরামর্শের জন্য এনএইচএস ১১১ ওয়েবাসইট ভিজিট করুন অথবা ১১১ নাম্বারে কল করুন।

পূর্ণাঙ্গ নির্দেশিকাটি দেখতে হলে www.towerhamlets.gov.uk/adviceforparents ভিজিট করুন।অনুর্ধ ৫ বছর বয়সিদের সাধারণ অবস্থা সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ বাংলা এবং ইংরেজি জানতে হলে ভিজিট করুন www.towerhamlets.gov.uk/care-confident

You might also like