ষাটের দশকের ছাত্রনেতা ইকবাল আহমদের মৃত্যু ও সিলেটের ছাত্র আন্দোলন
সুব্রত বিশ্বাস
ষাটের দশকের মাঠ চষে বেড়ানো প্রগতিশীল ছাত্রনেতা, পরবর্তীতে ন্যাপ নেতা, তারপর আওয়ামী লীগ নেতা। মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা ইকবাল আহমদ চৌধুরী গত ২৯শে জানুয়ারি রাত সাড়ে ১২টায় স্থানীয় একটি ক্লিনিকে মৃত্যুবরণ করেছেন। দীর্ঘদিন থেকে তিনি কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন। সিলেটে অসাম্পদায়িক আন্দোলন, মেডিক্যাল কলেজ আন্দোলন, বিশ্ববিদ্যালয় আন্দোলন, আইয়ূব বিরোধী আন্দোলন, ৬৮-৬৯এর গণআন্দোলনে ছিলেন একজন সক্রিয় কর্মী। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে শহর থেকে পালিয়ে যাওয়া অসংখ্য মানুষকে তাঁর বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছেন। আজীবন রাজনৈতিক দায়িত্ব পালন করে গেছেন।
সক্রিয় সংগঠক হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। স্বাধীনতার পর দেশ গঠনের সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। মৃত্যুকালে অসংখ্য গুণগ্রাহী বন্ধু ও সহকর্মী এবং আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন। উল্লেখ্য, তাঁর বড় ভাই ফারুক চৌধুরী ছিলেন বঙ্গবন্ধুর একান্ত বন্ধু। বঙ্গবন্ধু বিলেত গেলে তাঁর বাড়িতে অতিথি হিসেবে থাকতেন। ’৬৫ সালে মতিয়া চৌধুরী ছাত্র ইউনিয়নের সভানেত্রী হলে তিনি সে কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন। প্রসঙ্গত, সিলেট ছাত্র আন্দোলনের কিছু ইতিহাস তুলে ধরছি। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান সৃষ্টির পর পর পূর্ব পাকিস্তানে ছাত্র আন্দোলনের সূত্রপাত হয় বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিকে কেন্দ্র করে।
পাকিস্তানের জন্মের পূর্বে মুসলিম নেতৃত্ব ইসলাম রক্ষা, মুসলমানের ভাগ্যোন্নয়ন এবং গালভরা আরও যত বুলিই আওড়াক না কেন, পাকিস্তান সৃষ্টির পরের বছর ১৯৪৮ সালেই ভাষার প্রশ্নকে কেন্দ্র করে মুসলিম নেতৃত্ব ও রাষ্ট্রের কর্ণধারদের মুখোশ উন্মোচিত হয়ে পড়ে। একই ধারায় সিলেটের ছাত্র আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটেছে ৪৮ সালে বাংলা ভাষার দাবিকে ঘিরে।
বাংলা ভাষার আন্দোলনের প্রথম পর্যায়ের পর ১৯৫০ সালে পূর্ব পাকিস্তানে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংঘটিত হয়। ঢাকা কুমিল্লা বরিশাল প্রভৃতি স্থানে দাঙ্গায় ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়। সিলেটে প্রথম পীর হবিবুর রহমানই দাঙ্গা প্রতিরোধে উদ্যোগ নেন। তাঁর অগ্রণী ভূমিকায় ওই সময়ে গঠিত হয় ’মুসলিম লীগ শান্তি মিশন’ নামে দাঙ্গাবিরোধী সংগঠন। প্রায় সাত শ ছাত্র যুবক স্বেচ্ছাকর্মী সারা সিলেটে এই দাঙ্গা রুখে দাঁড়ায় এবং ইতিহাস সৃষ্টি করে। পীর হবিবুর রহমানকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ মরিয়া হয়ে ওঠে।
শান্তি মিশনের অফিস (সাপ্তাহিক নওবেলাল কার্যালয়, জিন্দাবাজার) তালাবদ্ধ করা হয়। পুলিশের দমননীতির প্রতিবাদে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার দাবিতে ছাত্ররা স্কুলকলেজে ব্যাপক সাড়া জাগে এবং বিপুল সংখ্যক ছাত্র ধর্মঘট শেষে মিছিলে যোগ দেয়। মুরারিচাঁদ কলেজের ছাত্ররা ধর্মঘট ও মিছিলে বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করে। দাঙ্গাবিরোধী এই শান্তি আন্দোলনের মধ্যদিয়ে বেরিয়ে আসেন ছাত্রনেতা ও পরবর্তীকালে নামকরা কমিউনিস্ট নেতা তারা মিয়া। জনগণ কর্তৃক এরকম দাঙ্গা প্রতিরোধের নজির ইতিহাসে খুব কমই আছে। এই আন্দোলনের মধ্যদিয়ে এখানে জন্ম নেয় সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনার অঙ্কুর।
পরবর্তীকালে এই অঙ্কুরই মহিরুহ হয়ে সিলেটে প্রগতিশীল যাত্রাপথ সুগম করেছে। এদেশের প্রথম অসাম্প্রদায়িক ছাত্র সংগঠনের সূতিকাগার হয়ে ওঠে সিলেট। ১৯৫০ সালের মার্চ মাসে কতিপয় মেধাবী ও অগ্রসর চিন্তার অধিকারী ছাত্র সিলেট রসময় হাইস্কুলে মিলিত হয়ে ’সিলেট শিক্ষা সমিতি’ নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। দেশের প্রথম অসাম্প্রদায়িক ছাত্র সংগঠন প্রতিষ্ঠায় নিউক্লিয়াস হিসেবে কাজ করেছে এই ’সিলেট শিক্ষা সমিতি’। এই ছাত্র সংগঠনটি হলো ’সিলেট জেলা ছাত্র ইউনিয়ন’। ১৯৫২ সালে ঢাকায় জাতীয়ভাবে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন (ইপসু) জন্ম লাভের পুর্বে ১৯৫১ সালের ১৬ নভেম্বর এই ছাত্র সংগঠনটির জন্মের ঘটনা এদেশে ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্ববহ ঘটনা। সরকার, জেলা প্রশাসন ও মুসলিম লীগ মরিয়া হয়ে উঠেছিল এই সংগঠনের জন্ম রোধ করতে। এজন্য সিলেট সদর, গোলাপগঞ্জ,ও কুলাউড়া থানার সর্বত্র ১৪৪ ধারা জারি করা হয়, অন্যতম তিন ছাত্রনেতা তারা মিয়া, আসাদ্দর আলী ও নাসিরউদ্দিন চৌধুরীর ওপর ব্যক্তিগত ১৪৪ ধারা আরোপ করা হয়। দাঙ্গা প্রতিরোধের মূল নেতা হিসেবে আগে থেকেই পীর হবিবুর রহমানের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ছিল। কড়া বিধিনিষেধ ও দমননীতির মধ্যে পুলিশ ও মুসলিম লীগের গুন্ডা দলের চোখকে ফাঁকি দিয়ে এক রোমা কর পরিস্থিতিতে শহর থেকে দূরে ফেঞ্চুগঞ্জে এক ছাত্র সম্মেলনে পুরোদস্তুর মোনাজাতের মাধ্যমে সিলেট জেলা ছাত্র ইউনিয়ন জন্ম নেয়। সম্মেলন চলাকালে ফেঞ্চুগঞ্জেও ১৪৪ ধারা আরোপ করা হয় এবং সভাপতি এমাদুল্লাহর ভাষণের পর সম্মেলনের স্থানেই আসরের নামাজ পড়া হয়।
নামাজে ইমামতি করেন মদনমেহান কলেজের নৈশ বিভাগের ছাত্র কিশোরীমোহন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ইসলামি শিক্ষার শিক্ষক মাওলানা মো. শামসুল হক। নামাজ শেষে দীর্ঘ মোনাজত করেন এবং মোনাজাতের মাধ্যমে নতুন সংগঠনের নামকরণ, কমিটির কর্মকর্তাদের নাম, সংগঠনের আদর্শ-উদ্দেশ্য-কর্মসূচী, প্রস্তাবাবলি প্রভৃতি পাস করে নেন। মোনাজাতের সময় আমিন আমিন বলে সবাই প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন জানান। পুরো ঘটনায় গোপন কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে এই উদ্যোগের নেপথ্যে কাজ করেছেন আত্মগোপনে থাকা সাবেক ছাত্রনেতা তাসাদ্দুক আহমদ। এভাবে এক অভূতপূর্ব রোমা কর পরিবেশের মধ্য দিয়ে দেশের প্রথম অসাম্প্রদায়িক ছাত্র সংগঠন ’সিলেট জেলা ছাত্র ইউনিয়ন’ গঠিত হয়।
সার্বিক অর্থে জাতীয়ভাবে ছাত্র সংগঠন গঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত সিলেট ছাত্র সংগঠন গঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত সিলেট জেলা ছাত্র ইউনিয়ন ভাষা আন্দোলনসহ সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী আন্দোলন এবং ছাত্র আন্দোলনে প্রধান ভূমিকা রাখে। ভাষা আন্দোলনের পর পর বায়ান্ন সালের ২৬ এপ্রিল জাতীয় পর্যায়ে সংগ্রামী ঐতিহ্যের পতাকাবাহী ছাত্র প্রতিষ্ঠান পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন গঠনের পর সিলেট জেলা ছাত্র ইউনিয়ন কোনোরূপ পরিবর্তন-পরিবর্ধন ছাড়াই এর জেলা শাখায় রুপান্তরিত হয়। উল্লেখ্য ছাত্র ইউনিয়ন নামটির প্রতি তারা মিয়ার একটা আলাদা দুর্বলতা ছিল। সিলেটে এবং ঢাকায় উভয় ছাত্র সম্মেলনে তিনিই ছাত্র ইউনিয়ন নামটি প্রস্তাব করেছিলেন।
’৬২ সালে নন্দিত ছাত্রনেতা গুলজার আহমদ সুনামগঞ্জ থেকে এসে সিলেট এমসি কলেজে বিএ ক্লাসে ভর্তি হন। তার আগমনে সিলেটের সামগ্রিক ছাত্র আন্দোলনে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। শক্ত্যিশালী ছাত্র ইউনিয়ন আরও শক্তিশালী হয়। এ সময়ে সিলেটে কয়েকজন দক্ষ সংগঠকের একত্র সমাবেশ ঘটে। তারা হলেন ইকবাল আহমদ চৌধুরী, আব্দুল লতিফ সরদার, আইয়ুব আলী, শামসুল আলম চৌধুরী, সাদত আলী প্রমুখ। স্বল্প সময়ের ব্যবধানে এদের সঙ্গে যুক্ত হন লতিফুর রহমান মাহমুদ, রফিকুর রফিকুল ইসলাম শিশু, সৈয়দ মুর্শেদ কামাল, নুরুল ইসলাম নাহিদ, এম এ রউফ, আব্দুল মতিন চৌধুরী, রফিকুর রহমান লজু, সরে কওম আয়াত উল্লাহ মুকুল, মকসুদ আহমদ খান বাবুল প্রমুখ। এদের সকলের সমন্বয়ে গুলজার আহমদের নেতৃত্বে তখন সিলেটে ছাত্র ইউনিয়নের এক শক্তিশালী কর্মীবাহিনী গড়ে ওঠে। এ সময়ে নেতাদের নিরলস কর্ম তৎপরতা, ত্যাগী মনোভাব, আদর্শনিষ্ঠা, সাধারণ ছাত্রদের প্রতি দায়িত্ববোধ প্রভৃতি গুণ ছাত্র ইউনিয়নের প্রতি ছাত্রছাত্রীদের আকর্ষণ তীব্রতর করে, ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ছাত্র ইউনিয়নের প্রতি ছাত্রছাত্রীদের গ্রহণযোগ্যতা আরও বৃদ্ধি পায়। এর ফলে ছাত্র ইউনিয়নের দক্ষ নেতৃত্বের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে এই সময়ে শহরের কিছু নেতৃস্থানীয় ছাত্রী ছাত্র ইউনিয়নে যোগদান করে সংগঠনকে আরও সমৃদ্ধ করেন। তারা হলেন মহিলা কলেজের ছাত্রী মুসলিম লীগ নেতা দেওয়ান আব্দুর রব চৌধুরীর মেয়ে মুর্শেদ জাহান চৌধুরী, প্রধান শিক্ষক আব্দুল গফুর সাহেবের কন্যা পেয়ারা, দীপ্তি সেন, মেহেরুন্নেছা খাতুন এবং কিশোরী মোহন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী বিলকিস বানু, মাধুরী ও রামদাস। তারা সিলেট মহিলা কলেজ ও কিশোরী মোহন স্কুলের ছাত্রীদের নিয়ে ১৯৬২ সালে রাজপথে মিছিল করেছেন। এই সময়ে সিলেটে ছাত্রলীগের সাংগঠনিকভাবে বড়ো সংগঠন ছিল না। ’৬২সালে ছাত্রলীগের প্রথম কমিটি গঠিত হলেও তখন তাদের বিপুল কর্মবাহিনী ও সমর্থক ছিল না। তখন সিলেট মেডিকেল স্কুলর ছাত্র দেওয়ান নুরুল হোসেন ছাত্রলীগ পরিচয়ে এককভাবে সংগঠনের হাল আকড়ে ধরে ছিলেন। পরে তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন সিরাজউদ্দিন আহমদ, এনাম আহমদ চৌধুরী প্রমুখ। আরও পরে এনামুল হক, আখতার আহমদ, ইনামুল হক চৌধুরী, আশরাফ আলী এসে নুরুল হোসেন চঞ্চলের হাত শক্তিশালী করেন। বস্তত সেকালে সিলেটে ছাত্রলীগ বলতে নুরুল হোসেন চঞ্চলই বোঝাতো।
সিলেট মেডিক্যাল কলেজ আন্দোলনে ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রলীগ ও ছাত্রশক্তি মেডিক্যাল ছাত্রদের সার্বিক আন্দোলনে ঝাঁপিড়ে পড়ে। সংগঠনগতভাবে ছাত্র ইউনিয়নের গুলজার আহমদ, ইকবাল আহমদ চৌধুরী, আইয়ূব আলী, শামসুল আলম চৌধুরী, বাহাউদ্দিন জাকারিয়াসহ অনেকে, ছাত্রলীগের দেওয়ান নুরুল হোসেন চঞ্চল, এনাম আহমদ চৌধুরী, আবদুল মুনিম, এনামুল হক সহ অনেকে এবং ছাত্র শক্তির এম এ মুমিন, আব্দুল খালিক, বশির আহমদসহ অনেকে।
একুশে ফেব্রুয়ারিতে সংগ্রামী চেতনায় একুশে পালনের মাধ্যমে সামরিক শাসন ও আইয়ূববিরোধী বৃহত্তর আন্দোলনের সূচনা করা হয়। মাদ্রাসা মাঠে বিরাট জমায়েতে অনুষ্ঠান পরিচালনা ও শপথ পাঠ করান গুলজার আহমদ। পুলিশ গুলজার আহমদকে গ্রেপ্তারের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। রাতে খাদিম নগরের একটি বাসা থেকে পুলিশ গুলজার আহমদ, ইকবাল আহমদ চৌধুরী ও তাদের এক বন্ধু শামসুল হককে গ্রেপ্তার করে।
সিলেট বিশ্ববিদ্যালয় আন্দোলনে যারা সক্রিয় ছিলেন তাদের মধ্যে ছাত্রলীগের দেওয়ান নুরুল হোসেন চঞ্চল, এনাম আহমদ চৌধুরী, শামসুল হক, বোরহানউদ্দিন চৌধুরী, জহির বক্ত, আব্দুল মোক্তাদির, এম এ মুনিম, এনামুল হক, আখতার আহমদ, ইনামুল হক চৌধুরী, আশরাফ আলী, শাহ আজিজুর রহমান, লুৎফুর রহমান, শাহ মোদাব্বির আলী মানিক প্রমূখ। অন্যদিকে ছাত্র ইউনিয়নের গুলজার আহমদ, ইকবাল আহমদ চৌধুরী, আইয়ূব আলী, শামসুল আলম চৌধুরী, বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, লতিফুর রহমান মাহমুদ, রফিকুর রহমান লজু, নুরুল ইসলাম (নাহিদ) জয়ন্ত চৌধুরী, সরে কওম আয়াত উল্যাহ মুকুল, এম এ রউফ, এ কে এম গৌছুল আলম, মকসুদ আহমদ খান বাবুল, আবু হেনা চৌধুরী, আব্দুল মতিন চৌধুরী, আব্দুল মগনি, দ্বিতেশ্বর পাল কানন, আবুল খয়ের, মিসবাউল মান্নান আফতাব প্রমুখ।
সিলেটে ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে পরবর্তীতে রাজনীতির মাঠে একান্ত সহকর্মী গুলজার আহমদ, আব্দুল লতিফ সরদার, আ ফ ম কামাল, শামসুল আলম চৌধুরী এবং আইয়ূব আলী এরা সবাই ছিলেন একে অপরের হরহর বন্ধু। তাদের সবাই আগেই না ফেরার দেশে চলে গেছেন। একমাত্র ইকবাল আহমদই অবশিষ্ট ছিলেন। তিনিও এবার চলে গেলেন। এতে করে সিলেটের একসময়ে ছাত্র ও রাজনীতির মাঠে আলোচিত পঞ্চ পাণ্ডবের শেষ বাতিটিও নিভে গেল। ইকবাল আহমদের মৃত্যুত গভীর শোক প্রকাশ করছি।
সুব্রত বিশ্বাস: প্রয়াত ইকবাল আহমদ চৌধুরীর এক সময়ের রাজনৈতিক সহকর্মী, কলামিষ্ট।