সংকট এখনো কাটেনি,তাই আপনার ভূমিকা পালন করে যান:টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

টাওয়ার হ্যামলেট্সঃ অন্যের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখা এবং বাড়িতে অবস্থান করার মাধ্যমে টাওয়ার হ্যামলেটস বারার বাসিন্দারা গত তিন মাস ধরে করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবেলা করে আসছেন।লকডাউনের বিধিনিষেধ যথাযথভাবে অনুস্মরণে প্রত্যেকের প্রচেষ্টা ও ত্যাগ আমাদের দেশকে মহামারীর সবচেয়ে খারাপ সময় থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করেছে।কাউন্সিলের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি মাসে, সরকার কিছু বিধিনিষেধ সতর্ককতার সাথে শিথিল করছে এবং আসন্ন সপ্তাহগুলোতে পরিস্থিতি পর্যালোচনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো আপডেট বা হালনাগাদ করা হবে। তবে এটা খুবই স্পষ্ট যে, ভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি এখনো শেষ হয়নি এবং আমাদের আত্মতুষ্ট হওয়া উচিত হবে না।এ ব্যাপারে কাউন্সিল বারার বাসিন্দাদেরকে নিচের বিষয়গুলো সবসময় বিবেচনায় রাখতে অনুরোধ করেছেঃ

– সবর্দা সরকার এবং এনএইচএস এর সর্বসাম্প্রতিক পরামর্শগুলো মেনে চলুন।

– যদি আপনি অথবা আপনার সাথে বাস করেন এমন কারো দেহে উচ্চ তাপমাত্রা অর্থাৎ জ্বর হয় অথবা নতুন করে ক্রমাগত কাশি বা স্বাদ কিংবা ঘ্রাণশক্তি হ্রাস পায়, তাহলে ১৪ দিনের জন্য অন্যদের থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন অবস্থায় অর্থাৎ সেল্ফ-আইসোলেট থাকতে হবে।

– নিয়মিত সাবান পানি দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড করে হাত ধুয়ে নিন।

– যাদের সাথে আপনি বসবাস করেন না Ñ এমন লোকজন থেকে সর্বাবস্থায় দুই মিটার দূরত্ব বজায় রাখুন।

– সামাজিক যোগাযোগ ও সরাসরি পারস্পরিক মেলামেশা যতটুকু সম্ভব কম করুন।

– যদি শারীরিকভাবে দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব না হয়, যেমন কর্মস্থলে, দোকানের ভেতরে অথবা গণপরিবহনে চলাচলের সময় (বাস, টিউবে) তাহলে মাস্ক ব্যবহার করুন।

জুন মাসে নিয়ম শিথিল করায় জনমনে স্বস্তি এসেছে উল্লেখ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘরের বাইরে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সাপেক্ষে সর্বাধিক ৬ জন লোকের সাথে দেখা করতে পারবেন। এর মানে হলো, আপনার পরিবারের অন্তর্ভূক্ত নন, এমন আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধবদের সাথে আপনি এখন সাক্ষাত করতে পারবেন।আমরা আশা করছি, আমাদের বাসিন্দারা তাদের প্রিয়জনদের সাথে আবার দেখা করার এবং বারার পার্কগুলোতে গরমের এই দারুণ সময়টা উপভোগ করবেন। তবে সর্বাবস্থায় দুই মিটার দুরত্ব বজায় রাখার বিষয়টা মনে রাখবেন। সূর্যের খরতাপ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে ও নিয়মিত পানি পান করতে ভুলবেন না।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়ভাবে লকডাউন এবং বিধিনিষেধ আরোপ করা হতে পারে। বারার বাসিন্দাদের নিরাপদ রাখতে স্থানীয় এনএইচএস সার্ভিসসমূহ, পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড,লন্ডনের অন্যান্য কাউন্সিলসমূহ এবং আমাদের অসংখ্য অংশিদার ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে মিলে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল ঘনিষ্টভাবে কাজ করে যাচ্ছে।আমরা এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তিলাভের দিকে তাকিয়ে আছি।করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা লোকজন, অর্থাৎ যারা শিল্ডিং এ থাকার জন্য বিবেচিত হচ্ছেন, তাদের জন্য সরকারি নির্দেশনা হালনাগাদ করা হয়েছে। শিল্ডিং অর্থাৎ অত্যন্ত সুরক্ষিত অবস্থায় থাকার জন্য বিবেচিতরা খুবই দুর্বল এবং তাদের অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।সকল আপডেট তথ্য ও পরামর্শের জন্য www.towerhamlets.gov.uk/coronavirus – এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।অথবা সুনির্দিষ্টভাবে বর্তমান শিল্ডিং এডভাইস সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন www.gov.uk/coronavirus.

You might also like