সড়ক দুর্ঘটনায় সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের উদ্বেগ প্রকাশ
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ সড়ক দূর্ঘটনা প্রতিরোধে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করুন। সড়ক পরিবহনে নিয়োজিত ড্রাইভার ও শ্রমিকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ, বিশ্রাম, পারিশ্রমিক-সহ সকল বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করুণ। জাতীয় অর্থনীতি ও মানবসম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুণ।আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি দেশে প্রতিনিয়ত সড়ক দূর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সড়ক পথে নানান অনিয়ম ও জটিলতা সড়ক দূর্ঘটনার অন্যতম কারণ হিসেবে বিভিন্ন সংস্থা ও বিশেষজ্ঞগন বিভিন্ন সময়ে মতামত প্রদান করে আসছেন। অতি সম্প্রতি ঢাকা শহরে বেসরকারী বিশ^বিদ্যালয়ের একজন ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনা সড়ক পথের নৈরাজ্যের বিষয়টি আবারও সামনে এসেছে। প্রতিনিয়ত দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন মারাত্মক দূর্ঘটনার খবর আমাদের উদ্বিগ্ন করে। আমরা মনে করি উপরোক্ত বিষয়ে সড়ক পরিবহন সংস্থা ও এর সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতা সড়ক দূর্ঘটনা প্রতিরোধে সহায়ক হবে। ফলে এই অনাকাঙ্খিত মৃত্যু প্রতিরোধ করা সম্ভবপর হয়ে উঠবে এবং মানব সম্পদ ও জাতীয় অনাকাঙ্খিত অর্থনৈতিক ক্ষতি প্রতিরোধ করাও সম্ভব হবে।
মূলত: বাংলাদেশে সড়ক দূর্ঘটনা এবং দূর্ঘটনাজনিত হতাহত ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সড়ক দূর্ঘটনায় মৃতদের মধ্যে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যাই বেশী। বুয়েটের সড়ক দূর্ঘটনা গবেষণা ইনিষ্টিটিউট এর প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এই তিন বছরে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ও আহত এবং তাদের উপর নির্ভরশীলদের আর্থ সামাজিক ক্ষতির পরিমান প্রায় ১ লাক্ষ ৯ হাজার কোটি টাকা। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে সড়ক দূর্ঘটনায় ২০১৯ সালে ৫,২১১ জন, ২০২০ সালে ৫,৪৩১ জন. ২০২১ সালে ৬,২৮৪ জন এবং ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬,৫৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। অতি সম্প্রতি মোটর সাইকেলের ব্যবহার গণপরিবহন হিসেবে অনেক বেড়েছে। প্রতি বছর দেশে প্রতি ১০,০০০ মোটর সাইকেলের দূর্ঘটনা জনিত মৃত্যুর হাড় ২৮.৪ জন।
বুয়েটের সড়ক দূর্ঘটনা গবেষণা ইনিষ্টিটিউট এর প্রতিবেদন অনুযায়ী ৫৩ শতাংশ দূর্ঘটনার জন্য দায়ী বেপরোয়া গতি। এছাড়া সড়ক মহাসড়কে প্রায় ১০ লক্ষ অনিবন্ধিত বাহন নাছিমন করিমন-সহ নানান ধরনের বাইক অবাধে চলছে। টাসফোর্স কর্তৃক প্রদত্ত সুপারিশ বাস্তবায়ন না হওয়া, সুষ্টু ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং এর অভাব, অদক্ষ ও অপ্রাপ্তবয়স্ক চালক, গণপরিবহনকে শক্তিশালী না করায় দেশে সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যু বাড়ছে। মূলতঃ জাতীয় জীবনে সড়ক দূর্ঘটনার ভয়াবহতা প্রতিনিয়ত আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিতিতে রূপ নিচ্ছে। আমরা সড়ক দূর্ঘটনা প্রতিরোধে সরকার প্রশাসনের যথাযথ উদ্যোগের পাশাপাশি নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধির উপর গুরুত¦ারোপ করছি, একইসাথে মালিক শ্রমিকদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি। পাশাপাশি সড়ক দূর্ঘটনা প্রতিরোধে যথাযথ কর্তৃপক্ষের আন্তরিক উদ্যোগ ও সহযোগিতা কমনা করছি।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন:
অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, পঙ্কজ ভট্টাচার্য, রামেন্দু মজুমদার, ডাক্তার সারওয়ার আলী, ড. নূর মোহাম্মদ তালুকদার, খুশী কবির, রাশেদা কে চৌধুরী, এম এম আকাশ, জয়ন্তী রায়, রোবায়েত ফেরদৌস, ডা. অসিত বরুণ রায়, নূরুর রহমান সেলিম, রানা দাশ গুপ্ত, এম এ সামাদ, এস এম এ সবুর, রাজিয়া সামাদ ডালিয়া, ডা. বাহারুল আলম, ড. সৈয়দ আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, ড. সেলু বাসিত, রঞ্জিত কুমার সাহা, , অধ্যাপক শক্তিপদ ঘোষ, অধ্যাপক সারওয়ার মানিক, অশোক সরকার, হারুনার রশীদ লাল, সালেহ আহমেদ, এ কে আজাদ, পারভেজ হাসেম, জহিরুল ইসলাম জহির, কাজী সালমা সুলতানা, অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম সবুজ, অলক দাশ গুপ্ত, সামসুল আলম জুলফিকার, এড. কানুরাম শর্মা, কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু, নন্দলাল পার্শি, স্বাধীন চৌধুরী, কারশেদ আলম. দেবব্রত রায় দীপন, আবদর রাজ্জাক, হারুনার রশিদ ভুঁইয়া, আব্দুল ওয়াহেদ, নূরুল আমিন, আবদুর রাজ্জাক, সৈয়দ আনাস পাশা।