সম্বর্ধনা সভায় প্রতিমন্ত্রী ইন্ধিরা: শফিক চৌধুরী জাতির জনকের আদর্শের পরীক্ষিত সৈনিক
মতিয়ার চৌধুরী
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, সত্যবাণী
লন্ডন: মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা বলেছেন, শফিকুর রহমান চৌধুরী জাতির জনকের আদর্শের একজন পরীক্ষিত সৈনিক। তার পিতাও ছিলেন একজন নিখাদ দেশপ্রেমিক এবং জাতির জনকের ঘনিষ্ট সহচর। শফিক চৌধুরী ও তার পরিবার কোন সময়ই জাতির জনকের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। আর একারনে এই পরিবারটিকে অনেক অত্যাচার নির্জাতন সহ্য করতে হয়েছে।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, বিশ্বনাথ-বালাগঞ্জ-ওসমানীনগর আসনের সাবেক সাংসদ শফিকুর রহমান চৌধুরী’র যুক্তরাজ্য আগমন উপলক্ষে প্রবাসী বিশ্বনাথ-ওসমানী নগরবাসীর আয়োজিত সম্বর্ধনা সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে এসব কথা বলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা ইন্ধিরা এমপি।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের কথা উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকারের সবচেয়ে বড় সফলতা দেশের যেমন উন্নয়ন-অগ্রগতি হয়েছে, ঠিক তেমনি প্রতিটি মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। দারিদ্র্য কমেছে বহুলাংশে, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ ক্ষুধাকে জয় করে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং স্বল্পোন্নত থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে।
৩০ নভেম্বর বুধবার বাংলাদেশ সময় রাতে ইষ্ট লন্ডনের দ্যা অট্রিয়াম হলে আয়োজিত সম্বর্ধনা সভায় যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহ আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শাহ শামীম আহমদ, জনসংযোগ সম্পাদক রবীন পাল ও যুক্তরাজ্য যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল খানের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্বর্ধনা সভায় সম্বর্ধিত অতিথি শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ২০০৮ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দিয়েছিলেন বলেই বিশ্বনাথ-বালাগঞ্জ-ওসমানীনগর থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলাম। ২০১৪ সালে দেশ ও জাতির স্বার্থে মহাজোটকে সিলেট-২ আসনটি ছেড়ে দেয়া হয়, তাদের নেতৃত্বের অযোগ্যতার কারনে বিশ্বনাথ-ওসমানীনগরের মানুষ কাঙ্খিত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়। তিনি বলেন আমি যদি আগামী নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার আর্শিবাদে নৌকা মার্কার প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হই, ইনশাআল্লাহ এই এলাকা সারা বাংলাদেশের মতো আবারও উন্নয়নের ধারায় ফিরে আসবে। শফিক চৌধুরী তার সময়কালের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে বলেন, আমি জাতির পিতার আদর্শের সন্তান জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মী,মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের রাজনীতিই আমার রাজনীতি। এমপি হই কিংবা না হই, আমি শেখ হাসিনার কর্মী আছি,কর্মী হিসেবেই কাজ করে যাবো। জননেত্রী শেখ হাসিনা’ই আমার আস্থা আর আদর্শ।
সম্বর্ধনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ব্রিটিশ পার্লামেন্টে’র লেবার দলীয় এমপি রুশনারা আলী, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, সিনিয়র সহ সভাপতি আলহাজ্ব জালাল উদ্দীন, চ্যানেল এস টেলিভিশনের চেয়ারম্যান আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী জেপি,যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মারুফ আহমেদ চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক মাসুক ইবনে আনিস,প্রবাস কল্যাণ সম্পাদক আনসারুল হক, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক তারিফ আহমদ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের নিগার চৌধুরী, সহ প্রচার সম্পাদক লুতফুর রহমান সায়াদ, লন্ডন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হক লালা মিয়া, কেমডেন কাউন্সিলের মেয়র নাসিম আলী, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের কাউন্সিলর সিরাজুল হক, কাউন্সিলার সাবিনা আক্তার, কাউন্সিলার লিলু মিয়া তালুকদার, কাউন্সিলর রেবেকা সুলতানা, সাবেক কাউন্সিলর আহবাব মিয়া, আব্দুল মুকিত চুন্নু এমবিই,নিউহাম কাউন্সিলের কাউন্সিলার মুজিবুর রহমান জসিম।
সভায় বক্তব্য রাখেন লন্ডন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুর রহমান মোজাহিদ, সহ সভাপতি আনহার মিয়া, সহ সভাপতি ইলিয়াস মিয়া, সৈয়দ এহসান, ময়নুল হক, যুগ্ম সম্পাদক আফসার খান সাদেক, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল হান্নান, আসাদ উদ্দীন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক জিল্লু, নিউহাম আওয়ামী লীগের সভাপতি মোবারক আলী, কভেন্ট্রি আওয়ামী লীগের সভাপতি মকদ্দুস আলী, নিউপোরট আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ তাহির উল্লাহ, নরউইচ আওয়ামী লীগের সভাপতি সালিক চৌধুরী ফলিক, নরথাম্পটন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মখলিস মিয়া, ডরসেট আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সেলিম আহমেদ, ইপসুইচ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সালাম, নর্থ চেশিয়ার আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি লোকমান আহমদ, ইস্ট লন্ডন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক, সাধারণ সম্পাদক টুনু মিয়া, ওয়েস্ট লন্ডন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান, ওল্ডহাম আওয়ামী লীগের মদরিছ আলী, আজিজুর রহমান দারা, শেফিল্ড আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মতিউর রহমান শাহীন, সুইনডন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মুজম্মিল আলী, বার্মিংহাম আওয়ামী লীগের মোস্তাফিজুর রহমান সেলিম, যুক্তরাজ্য সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি সায়েদ আহমদ সাদ, যুক্তরাজ্য যুবলীগের যুগ্মসম্পাদক জুবায়ের আহমেদ, আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম, লুটন যুবলীগের সভাপতি মজনু মিয়া, যুক্তরাজ্য শ্রমিক লীগের সভাপতি শামীম আহমদ, সাধারণ সম্পাদক চন্দন মিয়া, বার্মিংহাম শ্রমিক লীগের সভাপতি রহমত আলী, আওয়ামী লীগ নেতা মকসুদ আলম, লুটন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এম এ রকিব, যুগ্ম সম্পাদক সেলিম আহমদ,আওয়ামী লীগ নেতা কাউন্সিলর ইকবাল আহমদ ভিপি, লুটন আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ, যুক্তরাজ্য কৃষকলীগের আহবায়ক সৈয়দ তারেক আহমেদ, যুগ্ম আহবায়ক মুহিব চৌধুরী, সদস্য সচিব এম এ আলী, তাতী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, ব্রিকলেন জামে মসজিদ ট্রাস্টের সেক্রেটারি হেলাল উদ্দিন আলী, সর্বইউরোপীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ সভাপতি আফজাল হোসেন সিদ্দিক মিয়া, যুক্তরাজ্য বঙ্গবন্ধু পরিষদের সেক্রেটারী আলিমুজ্জামান, বিশ্বনাথ এডুকেশন ট্রাস্টের সভাপতি মতছিন খান,সাবেক সভাপতি মানিক মিয়া, আব্দুল হামিদ শিকদার, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ, একেএম সেলিম, বিশ্বনাথ এডুকেশন ট্রাষ্টের ট্রেজারার আজম খান, সাবেক ট্রেজারার এমরান খান, আজম খান, প্রবাসী বালাগঞ্জ-ওসমানীনগর আদর্শ সমিতির সভাপতি শফিকুল্লাহ মিসলু, সহ সভাপতি মোশাহিদ আলী বেলাল,বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি মসুদ আলী, সহ লন্ডনের বাংলাদেশী কমিউনিটির ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাওলানা শফিকুর রহমান বিপ্লবী। সভা শেষে আগত অতিথিদের সম্মানে প্রবাসী বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর বাসীর পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় নৈশ ভোজের।