সাংবাদিক ডঃ আব্দুল হাই এর এনপিএফ ফেলোশিপ অর্জন
আনসার আহমেদ উল্লাহ
কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, সত্যবাণী
লন্ডন: বিরল অসুখ নিয়ে গবেষণামূলক প্রতিবেদন প্রণয়ন ও প্রকাশের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল প্রেস ফাউন্ডেশন (এনপিএফ) ফেলোশিপ পেয়েছেন বাংলা,ইংরেজি ও জার্মান, তিন ভাষার অনলাইন গণমাধ্যম আওয়ার ভয়েস এর প্রধান সম্পাদক ডঃ হোসাইন আব্দুল হাই।
গত ২৩ অক্টোবর গ্লোবাল ফেলোদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে, এনপিএফ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মনোনীত ২৫ জন সাংবাদিককে অভিনন্দন জানিয়েছে। এনপিএফ উল্লেখ করেছে, ফেলোশিপ প্রাপ্ত সাংবাদিকগণ ১৩ থেকে ১৭ নভেম্বর অনলাইন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন, যেখানে তারা বিরল রোগ,সেগুলোর চিকিৎসা, প্রযুক্তি, পরীক্ষা এবং ওষুধের বিকাশ বিষয়ে নীতি নির্ধারকদের পাশাপাশি শীর্ষ বিশেষজ্ঞদের সাথে এবং বিরল রোগে আক্রান্ত মানুষদের নিয়ে কর্মরত অ্যাডভোকেসি গ্রুপ ও অভিজ্ঞ সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ের সুযোগ পাবেন। এই প্রোগ্রামের জন্য ফেলো হিসাবে নির্বাচিত সাংবাদিকদের তাদের নির্ধারিত বিরল রোগের বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রস্তুত ও প্রকাশে ভ্রমণ ব্যয় এবং অন্যান্য খরচের জন্য সহায়তা করবে এনপিএফ।
ডয়চে ভেলের সাবেক সাংবাদিক এবং জার্মান–বাংলা সাময়িকী ‘সীমান্ত‘ এর সম্পাদক ডঃ আব্দুল হাই বাংলাদেশে বিদ্যমান বিরল রোগের বিষয়ে প্রতিবেদন করার জন্য তাঁকে ফেলো হিসেবে মনোনীত করায় এনপিএফ কর্মকর্তাদের এবং বিচারকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
এক প্রতিক্রিয়ায় ডঃ আব্দুল হাই বলেন, এটি তিন ভাষার আন্তর্জাতিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম আওয়ার ভয়েস অনলাইনের সাংবাদিক, লেখক এবং শুভানুধ্যায়ীদের সবার জন্য একটি বড় সাফল্য এবং স্বীকৃতি, যারা গণমাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানবিক ও উন্নয়ন বিষয়ক প্রতিবেদন বিশেষ গুরুত্বের সাথে তুলে ধরছে। সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং বৈজ্ঞানিক সমস্যাগুলির সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ এবং ভিন্ন ধারার সমাধানের জন্য অনুসন্ধানমূলক গবেষণা এবং নৈতিকতার সাথে উপস্থাপনার জন্যই আওয়ার ভয়েস এর প্রতিবেদন ২০১৬ সালে বার্লিন থেকে হোস্টরাইটার এর বিবেচনায় সেরা পুরস্কার পেয়েছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ডঃ আব্দুল হাই ২০০৯ সাল থেকে ডয়চে ভেলেতে প্রায় পাঁচ বছর সাংবাদিকতা করেছেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি),বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস), ডেইলি স্টার এবং নিউ নেশনে প্রায় এক দশক কাজ করেছেন। অপর দুই সহকর্মীর সাথে জার্মানিতে বাংলাদেশী শরণার্থীদের উপর তাদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য ২০১৬ সালে হোস্টরাইটার মিডিয়া পুরস্কার অর্জন করেন। ২০১৭ সাল থেকে পাঁচ বছর ওয়ান ওয়ার্ল্ড নেটওয়ার্ক এনআরডব্লিউ-এ প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশের ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী অর্ধশতাধিক নারী মুক্তিযোদ্ধার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এবং ডিডব্লিউ রেডিও প্রোগ্রামে সম্প্রচার করেছেন। বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচন এবং দারিদ্র্য নিরসনের কৌশল নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের জন্য তিনি ২০০৭ সালে প্যানোস ফেলোশিপ এবং প্যানোস পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া তিনি বাসুগ ডায়াসপোরা এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, সিসিডি বাংলাদেশ, প্যানোস এবং বাংলাদেশ এনজিও‘স নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশন (বিএনএনআরসি) এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।