সিলেট মানেই তো হযরত শাহজালাল (রহ.)’র দরগাহ্
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ পর্যটন নগরি সিলেট। বলা হয় পুণ্যভূমিও। কারণ এই সিলেটে শায়িত আছেন ৩৬০ জন মহান আউলিয়া। আর তাঁদের নেতৃত্বে ছিলেন হযরত শাহজালাল মজররদে ইয়ামেনি (রহ.)। সিলেট বেড়াতে এসে শাহজালাল (রহ.)’র দরগাহে যান না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুস্কর। হোক হিন্দু-মুসলিম কিংবা অন্য যেকোন ধর্মের মানুষ। আর সিলেটে এলে শাহজালাল (রহ.)’র দরবারে গিয়ে শান্তি পান মানুষ, এমনটাই বলছেন সিলেটে আসা পর্যটকরা।
গত বৃহস্পতিবার থেকে টানা ৩ দিনের ছুটিতে বাংলাদেশ। ছুটির এই সময়ে পর্যটকদের ঢল নেমেছে সিলেটে। ‘লাখো পর্যটক এসেছেন সিলেটে’ এমনটি বলছেন স্থানীয় পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
দিনভর পর্যটকরা সিলেটের জাফলং, সাদাপাথর, বিছনাকান্দি, রাতারগুল কিংবা অন্য পর্যটন স্পট ঘুরে বিকেলে সমাগম ঘটেছে নগরির দরগাহ এলাকায়। বাদ আছর থেকেই দরগাহ এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে মানুষের ঢল। সময় যত গড়িয়েছে ততই বাড়তে থাকে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা মানুষের। দরগাহ এলাকার খোলা মাঠে পা ফেলারও জায়গা নেই। চোখ জুড়ালেই শুধু মানুষ আর মানুষ। অবশ্য অন্য ছুটির যেকোন সময়ও এভাবে ঢল নামে পর্যটকদের। মাজারে এসে কেউ নামাজ পড়ছেন, কেউ দুরুদ, তসবিহ পড়ছেন কেউ বা মনের বাসনা পূরণ করতে মহান আল্লাহর দরবারে হাত উঠিয়ে কায়মনোবাক্যে করছেন প্রার্থনা।
এ সময় মাজারে আসা অনেকের সাথে কথা হয় গণমাধ্যম কর্মীদের। এক বাক্যে তাঁরা বলেছেন, সিলেট এলেই শান্তি লাগে। আর এ শান্তির জায়গা হযরত শাহজালাল (রহ.)। নোয়াখালীর সুনাইমুড়ি থেকে এসেছেন ফকির বাদশা। তিনি বলেন, বারবার সিলেট আসতে মন চায়। এ নিয়ে ৭ বার এসেছি।
চুয়াডাঙ্গা থেকে সিলেট ঘুরতে এসেছেন সীমা আক্তার। সারাদিন বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে সন্ধ্যায় এসেছেন শাহজালাল (রহ.) মাজারে। তিনি বলেন, কত পাপ করি। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে শাহজালালের মাজারে এসে হাত তুলেছি। এখানে এসে দোয়া করলে মন যেন শীতল হয়ে যায়। যেন প্রশান্তির ছোঁয়া লাগে।
একই কথা বলেন, মানিকগঞ্জ থেকে আসা ইমদাদ। চাকরি থেকে ছুটি পেলেই ঘুরতে আসেন সিলেটে। আর সিলেট মানেই যেন তাঁর কাছে হযরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ শরীফ।