সিলেটের প্রকৃতিতে শীতের আমেজ

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ হেমন্তের সকালের ঘুমটা ভাঙলেই ইদানিং অনুভূত হয় একটু ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব। পাক-পাখালির কলরব, তারপর কিছুটা কুয়াশার চাদরেও ঢাকা পড়ছে চারিদিক। সবুজ ঘাস আর ধানের শীষে জমে শিশির সকালের রূপ বাড়িয়ে দিচ্ছে আরও বহুগুণ।
কুয়াশার আবরণ ভেদ করে ভোরের সোনালী আলো যখন এই সবুজ শ্যামল শিশির ভেজা শস্যক্ষেতে পড়ছে, তখন প্রাণটা জুড়িয়ে যায়। এই মনোমুগ্ধকর পরিবেশটা উপভোগ করতে এক কাপ গরম চা হাতে জুতাহীন পায়ে শিশির ভেজা সবুজ ঘাসে পা ফেললে মনের সাথে সাথে শরীরও নেচে উঠে। চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে কল্পনার জগতে হারিয়ে যেতে চায় মন। বাংলাদেশে প্রকৃতির আচরণ বড়ই বিচিত্র। বছরে ৬ টি ঋতুতেই আছে অসাধারণ বৈচিত্র। কখনো গ্রীষ্মের কাঠফাটা রোদ, কখনোবা নদীতে জোয়ার তোলা ঝড়-বৃষ্টি, কখনো কাশফুলের ঘন সাদা রঙে শরৎ, না শীত না গরমের হেমন্ত, কখনোবা প্রচন্ড ঠান্ডায় জমে যাওয়ার জোগাড়। আবার বসন্তে ফুলে-ফলে রঙিন পরিবেশ। এইতো আমাদের বাংলাদেশ।আজ ৯ কার্তিক আর ২৫ অক্টোবর। এখন হেমন্তকাল। শহরে কিছুটা শীতের আগমন বার্তা পাওয়া গেলেও গ্রামে এখন মোটমুটি শীত শুরু হয়ে গেছে। গ্রামঞ্চেলে শীতের আমেজ এখন যথেষ্ট উপভোগ্য।শহরে শীতের প্রভাব তেমনটা লক্ষ্য করা না গেলেও ব্যবসায়ীরা কিন্তু প্রস্তুত। শীতবস্ত্রের পশরা বসতে শুরু করছে অভিজাত শপিংমল বিপনী বিতান থেকে শুরু করে ফুটপাতেও। ছোট্ট শিশু থেকে শুরু করে নানা বয়সের ক্রেতারাও ভিড় করছেন ওসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গ্রামাঞ্চলের বস্তাবন্দি লেপ-কাঁথা-কম্বল মুক্ত হতে শুরু করেছে। শহরতলীর বিভিন্ন মাঠ ও রাস্তার পাশে শুকোতে দেয়া সেগুলো দেখে বুঝাই যায়, শীত বুঝি আসছে।