সুনামগঞ্জে সন্ত্রাসী মোশারফের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন

শামীমআহমদতালুকদার
সত্যবাণী

সুনামগঞ্জথেকেঃ সুনামগঞ্জ জেলা কৌরকার সংঘের সদস্য সেলুট ব্যবসায়ী দুই সহোদর বিপ্লব দাস ও কংকন দাসকে দাড়াঁলো ক্ষুর দিয়ে হামলা করে গুরুতর আহত করার ঘটনার প্রতিবাদে গ্রেফতারকৃত সন্ত্রাসী মোশারফ হোসেন লিটনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় সুনামগঞ্জ জেলা কৌরকার সংঘের আয়োজনে পৌরসভার ষোলঘর পয়েন্টে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা অংশগ্রহন করেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন, জেলা কৌরকার সংঘের আহবায়ক নিতাই চন্দ, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারন সম্পাদক মিঠুন চন্দ, পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী মো. সুমন আহমদ, শাহীনুর আহমদ, জিকু দাস, জেলা কৌরকার সংঘের আহবায়ক কমিটির সদস্য কৃষ্ণ চন্দ, ঝুনু চন্দ, সুধা চন্দ, সম্ভু চন্দ, নিধু চন্দ, দ্বিজময় চন্দ,স্বপন শীল, বাপ্পি দাস, মলয় চন্দ, দুলু বৈদ্য ও সুমন বৈদ্য প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দরা আরো বলেন, সম্প্রীতির শহর সুনামগঞ্জে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে একে অপরের ভাই হিসেবে স্ব-স্ব ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান নির্বিঘেœ পালন করে আসছিলেন। কিন্তু বিপ্লব দাস ও কংকন দাসের উপর হামলাকারী স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির পেতাত্বা বলে মন্তব্য করেন বক্তারা। অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত সন্ত্রাসী মোশারফ হোসেন লিটনের কঠোর শান্তি প্রদানের জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানানো হয়। অন্যতায় আগামীতে আরো কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী উচ্চারন করেন বক্তারা।
উল্লেখ্য, গত ১৭ সেপ্টেম্বর শহরের ঘোলঘর পয়েন্টে সেলুন ব্যবসায়ী দু’সহোদর আহত বিপ্লব দাস ও কংকন দাস রাত ৮টার দিকে কর্মরত অবস্থায় শহরের মোহাম্মদপুর এলাকার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী মোশারফ হোসেন লিটন এসে হামলা চালায়।
মোশারফ হোসেন লিটন ও তার স্ত্রী টিসিবির পন্য কিনতে এসে ৩/ ৪ বার কেনার পরও লাইনে দাড়িয়ে আবারো পণ্য কেনার সময় সেলুন ব্যবসায়ী দুই সহোদর তাদেরকে টিসিবির পণ্য কেনার সুযোগ দেওয়ার কথা বলেন। এতে সন্ত্রাসী মোশারফ হোসেন লিটন ক্ষিপ্ত হয়ে দাঁড়ালো ক্ষুর দিয়ে দুই সহোদরের চোখের নীচে আঘাত করলে দু’জন রক্তাক্ত হয়ে মাঠিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাদেরকে দ্রুত সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আহতরা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাৎক্ষনিক আশপাশের জনতা এসে হামলাকারী মোশারফ হোসেন লিটনকে আটক করে সদর মডেল থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আহতদের স্বজন ষোলঘরের বাসিন্দা জিকু দাস বাদি হয়ে গত ১৮ সেপ্টেম্বর মোশারফ হোসেন লিটনকে প্রধান আসামী করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এর পর পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করা হলে বিজ্ঞ বিচারক মোশারফ হোসেন লিটনের জামিন না মুঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।

You might also like