হোম অফিসের নতুন নিয়ম রিভিউ করার দাবীতে আর্ন্তজাতিক শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষর ক্যাম্পেইন
• হোম অফিসের নতুন নিয়ম আবেদনকারীর মানবাধীকার পরিপন্থি।
• হোম অফিসের নতুন নিয়ম আর্ন্তজাতিক শিক্ষার্থীদের প্রতিবৈষম্যমূলক।
• এটি আন্তর্জাতিক ছাত্র ও তাদের স্পাউস উভয়ের উপরই খুব নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
লণ্ডন: হোম অফিসের নতুন নিয়ম রিভিউ ও পরিবর্তনের দাবীতে যুক্তরাজ্যব্যাপী স্বাক্ষর ক্যাম্পেইন শুরু করেছে যুক্তরাজ্যে পড়তে আসা প্রাক্তন ও বর্তমান আর্ন্তজাতিক শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পেইনে যুক্তরাজ্যের ৭৬টি শহরে, ৩১৮টি কাউন্সিলে একশো হাজার স্বাক্ষর নেওয়া হবে।
শুক্রবার (২৩ জুন) লণ্ডন শহরের টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলে অবস্থিত ‘লণ্ডন বাংলা প্রেসক্লাব’ এ স্বাক্ষর ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত প্রাক্তন ও বর্তমান আর্ন্তজাতিক শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, ইউকে’।
সংবাদ সন্মেলনে ‘ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, ইউকে’র পক্ষ থেকে উপস্থিত সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে সংগঠনের প্রেসিডেন্ট হাসনাত আরিয়ান খান বলেন, “জানুয়ারি ২০২৪ সাল থেকে বিদেশি বা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা তাদের স্পাউসকে (বউ,বাচ্চা, স্বামী) যুক্তরাজ্যে নিয়ে আসতে পারবেনা এই মর্মে সরকার একটি নতুন নিয়ম বা আইন করেছেন। এই নতুন নিয়মটি স্পষ্টতই আবেদনকারীর মানবাধিকারের পরিপন্থী। তাই এই নতুন নিয়ম বা আইনটি কার্যকর হওয়ার আগেই আবেদনকারীর মানবাধিকারের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে এর প্রভাব বিবেচনা করে হোম অফিসকে নতুন নিয়মটি পর্যালোচনা করতে এবং সবদিক বিবেচনা করে আইনটি পরিবর্তন করতে change.org তে ‘Urgently review the new rule to stop overseas students bringing family to UK and change it’ এই শিরোনামে আমরা একটা পিটিশন করেছি। অনুগ্রহ করে এই পিটিশনে সবাইকে স্বাক্ষর করার বিষয়ে অবগত করতেই আমরা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। যুক্তরাজ্যে আর্ন্তজাতিক শিক্ষার্থীদের স্পাউস আনা বন্ধ করতে হোম অফিসের নতুন নিয়ম পর্যালোচনা করার জন্য পিটিশনে স্বাক্ষর অভিযান আজ এখান থেকে শুরু করা হচ্ছে। আপনারা জানেন পিটিশনে ১০,০০০ মানুষ সাইন করলে কতৃপক্ষ এই আবেদন আমলে নিবেন এবং আলোচনার জন্য আমাদেরকে ডাকবেন। আর ১,০০০০০ মানুষ সাইন করলে কতৃপক্ষ এই আবেদন মন্জুর করবেন বা নতুন করে পার্লামেন্টে এই আবেদন নিয়ে ডিবেট করবেন। বিষয়টি খুবই জরুরি।”
তিনি বলেন, “বিদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার একটা সুযোগ করে দিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। আর সেজন্যই যুক্তরাজ্যে বিদেশি ছাত্রছাত্রীরা আসছেন। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিদেশি শিক্ষার্থীরা এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন। সংখ্যার দিকে থেকে চীন, মালয়েশিয়া ও নাইজেরিয়ার শিক্ষার্থীরা যুক্তরাজ্যে আসার শীর্ষে অবস্থান করলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকেও প্রচুর শিক্ষার্থী উচ্চতর পড়াশোনা করতে যুক্তরাজ্যে আসছেন। বিশেষত বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও ভুটান থেকেও অসংখ্য শিক্ষার্থী যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে আসছেন। এসব বিদেশি ছাত্রছাত্রী আসায় ব্রিটিশ সরকারের হারানোর কিছু নেই। ছাত্রছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি দিয়েই আসেন। যতদিন তারা এখানে শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন, ততদিন তারা স্বনির্ভর হয়েই অবস্থান করেন। এসব শিক্ষার্থীরা যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে কোনো নেতিবাচক প্রভাব রাখেন না। শিক্ষার্থীরা বরং যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব রাখেন।”
উদাহরণস্বরুপ তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা সামগ্রিকভাবে যুক্তরাজ্যের বিশাল বাজেটে ৪১ দশমিক ৯ বিলিয়ন পাউন্ডের অবদান রেখেছেন, যা ২০১৮-১৯ সালে ৩১ দশমিক ৩ বিলিয়ন পাউন্ড থেকে ৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যুক্তরাজ্যের শুধু শেফিল্ড শহরেই বিদেশি শিক্ষার্থীরা ব্রিটেনের অর্থনীতিতে ২৯০ মিলিয়ন পাউন্ড অবদান রেখেছেন। এছাড়া নর্টিংহ্যাম সাউথে ২৬১ মিলিয়ন, হলবর্ণ অ্যান্ড সেন্ট প্যানক্রাসে ২৪৩ মিলিয়ন, নিউক্যাসলে ২৪০ মিলিয়ন, ইস্টহ্যামে ২১৭ মিলিয়ন, ক্যামব্রিজে ২১৪ মিলিয়ন, কার্ডিফে ১৮১ মিলিয়ন ও গ্রাসগ্লোতে ১৭১ মিলিয়ন পাউন্ড অবদান রেখেছেন। যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের এ অবদান তৃতীয় বৃহত্তম প্রভাব হিসেবে উল্লেখ করে ১৬ মে এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। উপরন্তু শিক্ষার্থীরা খণ্ডকালীন কাজ করে বিভিন্ন সেক্টরে কর্মী সংকট নিরসনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। অথচ স্টুডেন্ট ভিসাকে সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান এমন হিসেবে উল্লেখ করছেন যেনো, আর্ন্তজাতিক শিক্ষার্থীরা যুক্তরাজ্যের জন্য বোঝা হয়ে গেছেন!”
মিসেস ব্র্যাভারম্যান বলেছেন: “আমরা দেখেছি যে শিক্ষার্থীদের স্পাউসের সংখ্যা অভূতপূর্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। “আমরা অভিবাসন সংখ্যা কমাতে পারি এবং নেট মাইগ্রেশন কমানোর জন্য ব্রিটিশ জনগণের কাছে সরকারের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারি তা নিশ্চিত করার জন্য এই রুটটি আরও কঠোর করার সময় এসেছে। সুয়েলা ব্র্যাভারম্যানের বক্তব্য শোনে আমরা খুবই হতাশ হয়েছি। অভিবাসন নিয়ে তাঁর নতুন ঘোষণার ফলে যুক্তরাজ্যে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসবাসের জন্য স্বামী/স্ত্রী/সঙ্গী ও সন্তানরা আবেদন করতে পারবেন না। একটা সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন। কিন্তু সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান শিষ্টকে দমন করে দুষ্টকে লালন করছেন। তিনি স্ক্যামিং এর সাথে জড়িত ব্যাক্তি, অসাধু এডমিশন কনসালটেন্ট ফার্ম ও অসাধু সলিসিটরস ফার্মের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অবিশ্বস্ত শিক্ষা এজেন্টদের বিরুদ্ধে ক্র্যাকডাউনে না গিয়ে উল্টো ভিক্টিম ছাত্রদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। অথচ ছাত্ররা স্ক্যামিং এর সাথে জড়িত নয়। ছাত্ররা এখানে উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন নিয়ে আসেন। কেউ ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে আসেন, কেউ ইন্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে আসেন, কেউ বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে আসেন, কেউ গবেষক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে আসেন, কেউ শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে আসেন, কেউ আইনজীবী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে আসেন, কেউ আপনাদের মত সাংবাদিক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে আসেন। তারা কেনো এসব স্ক্যামের সাথে জড়িত হতে যাবেন? আন্ডার গ্র্যাজুয়েট কোর্সের একজন ছাত্র এসবের কী বুঝেন!
তিনি আরও বলেন, “হোম অফিসের নতুন এই নিয়ম আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করা কঠিন করে তুলবে। অনেক আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী এমন দেশ থেকে আসেন যেখানে পরিবারকে অত্যন্ত গুরুত্ব ও মূল্য দেওয়া হয়। উচ্চতর পড়াশোনা করতে এসে স্পাউসদের সাথে আনতে না পারলে তা শিক্ষার্থীদের মানসিক যন্ত্রণার কারণ হবে। এতে তাদের শিক্ষা জীবন ব্যাহত হবে। নতুন এই নিয়ম যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তাই, আমরা সম্মানের সাথে হোম অফিসকে এই নতুন নিয়মটি পর্যালোচনা করতে এবং আন্তর্জাতিক ছাত্রদের এবং তাদের পরিবারের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে এর প্রভাব বিবেচনা করে পরিবর্তন করার জন্য অনুরোধ করছি। এবং এই পরিবর্তনের জন্য আপনাদের মাধ্যমে সবাইকে মাত্র ১ মিনিট সময় ব্যয় করে আমাদের অনলাইন পিটিশনটি সাইন করার অনুরোধ করছি।”
তিনি ক্লাবে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে সংগঠনের নানা ইতিবাচক কাজ তুলে ধরে বলেন, “যুক্তরাজ্যে উচ্চতর পড়াশোনা করতে আসা সাউথ এশিয়ার শিক্ষার্থীদের মাঝে পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি, কালচার বিনিময়, কোর্সওয়ার্ক ও অন্যান্য শিক্ষা সহায়তা এবং ইকুয়্যাল রাইটস চেতনা নিয়ে ২০০৯ সালে সাউথ এশিয়ার প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্ররা মিলে ‘সাউথ এশিয়ান স্টুডেন্টস ইউনিয়ন’ গঠন করি। পরে এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলের ছাত্রদের অনুরোধে আমরা ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে নাম পরিবর্তন করে ‘এশিয়ান স্টুডেন্টস ইউনিয়ন’ গঠন করি। এরপর পৃথিবীর অন্যান্য দেশের আর্ন্তজাতিক শিক্ষার্থীদের অনুরোধে আমরা ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে নাম পরিবর্তন করে ‘ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন‘ গঠন করি। ছাত্র সংগঠনের মাধ্যমে আমরা মূলত ছাত্রদের আবাসন সমস্যা, একাডেমিক সমস্যা, ইমিগ্রেসন সমস্যা, পার্টটাইম জবের ব্যবস্থা এবং কালচার শক ও হোমসিকনেসসহ নানা মানসিক সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করি। অনেকটা নীরবেই আমরা কাজ করি। নীরবে কাজ বা সহায়তা করতেই আমরা বেশি পছন্দ করি। বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে থাকা আর্ন্তজাতিক শিক্ষার্থীদের ইউনিয়ন, ক্লাব ও হাবগুলোর গার্ডিয়ান সংস্থা হিসেবে আমরা কাজ করি। কাজ করতে গিয়ে আমরা ছোট খাটো অনেক সমস্যাও মাঝে মাঝে ফেইস করি। তবে এবারের যে সমস্যা এটার মত বড় সমস্যা আমরা আর আগে ফেইস করিনি। এজন্য আগে কখনো সহযোগিতার জন্য আপনাদের দ্বারস্থ না হলেও এবারে আপনাদের দ্বারস্থ হয়েছি। আপনারা আগে না চাইতেই আমাদের সহযোগিতা করেছেন। আর্ন্তজাতিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে ইতিবাচক রিপোর্ট করে আপনারা আমাদের কাজটাকে সহজ করে দিয়েছেন। এমনও দেখা গেছে যে এক বছরে আমাদের ইউনিয়নের মাধ্যমে যতজন ছাত্র উপকৃত হয়েছেন, আপনাদের একটা রিপোর্টের মাধ্যমে তারচেয়ে বেশি ছাত্র উপকৃত হয়েছেন। আপনাদের কলমের শক্তির কাছে কোন সংগঠনই তেমন কিছু না। একথা আমরা গর্বের সাথে বলি এবং আর্ন্তজাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য আপনাদের অবদানকে আমরা কৃতজ্ঞচিত্তে স্বরণ করি। যুক্তরাজ্যে আগত আর্ন্তজাতিক শিক্ষার্থীদেরকে আপনারা যতটা ভালোবাসেন, আর্ন্তজাতিক শিক্ষার্থীরাও আপনাদেরকে ততটা ভালোবাসেন। সন্মান করেন। আপনারা সমাজের স্মম্ভ, আপনারা জাতির বিবেক। আশাকরি অন্যসব ইস্যুর মত, এই ইস্যুতেও আপনারা আর্ন্তজাতিক শিক্ষার্থীদের পাশে দাড়াঁবেন।”
সাংবাদিক সমাজের সহযোগিতা চেয়ে তিনি আরও বলেন, “আমরা ছাত্র ইউনিয়নের সদস্যরা আজ থেকে ১২টি দলে ভাগ হয়ে এই ‘পিটিশন সাইন ক্যাম্পেইন’ পরিচালনা করছি। প্রথমে আমরা যুক্তরাজ্যে বসবাসরত আর্ন্তজাতিক কমিউনিটির মানুষের কাছে যাচ্ছি। আমরা আমাদের নিজ নিজ কমিউনিটির মানুষের কাছে যাচ্ছি। বাঙালি কমিউনিটির মানুষ হিসেবে আমি তৃতীয় বাংলাখ্যাত বিলেতের বাঙালি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসে এ এসেছি। পর্যায়ক্রমে আমরা লোকাল কমিউনিটিসহ যুক্তরাজ্যে বসবাসরত অন্যান্য কমিউনিটির মানুষের কাছে যাবো। উইকেএন্ডে আমাদের একটা টিম বাসায় বাসায় লিফলেট বিলি করবে। আপনাদের যেকোন পরামর্শ থাকলে আমাদেরকে দিবেন, আমাদেরকে আপনারা সহযোগিতা করবেন। আপনারা অতীতেও আর্ন্তজাতিক শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলেন। এখনো আছেন। ইনফ্যাক্ট হোম অফিসের এই নতুন নিয়মটি আপনারাই সর্বপ্রথম আমাদের অবগত করেছেন। এই নিয়মটি পর্যালোচনা করা প্রয়োজন কারণ এটি আন্তর্জাতিক ছাত্র এবং তাদের পরিবার উভয়ের উপরই খুব নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আশাকরি অতীতের মত ভবিষ্যতেও এভাবে আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন। হোম অফিসের এই নতুন নিয়মটি যে আবেদনকারীর মানবাধীকার পরিপন্থি ও আর্ন্তজাতিক শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্যমূলক এবং এটা যে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির জন্যও খুবই ক্ষতিকর আপনারা তা মিডিয়ায় ভালোভাবে তুলে ধরবেন। change.org সাইটে গিয়ে মাত্র এক মিনিট সময় ব্যয় করে পিটিশনটিতে সবাই স্বাক্ষর করবেন ও শেয়ার করবেন এবং অন্যদের স্বাক্ষর ও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে শেয়ার করতে উদ্বুদ্ধ করবেন। সর্বোপরি পিটিশনে একশো হাজার মানুষের স্বাক্ষর পেতে পিটিশনটিকে সবাই change.org তে প্রমোট করবেন এবং হোম অফিসের নতুন নিয়মটি পর্যালোচনা ও পরিবর্তন করতে আপনারা আমাদেরকে সহায়তা করবেন।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এরপর তাঁরা পিটিশন নিয়ে এমপিদের কাছে যাবেন। প্রয়োজনে তাঁরা আদালতে যাবেন। আদালতে আইনজীবীদের একটা চৌকস দল তাদের সহায়তা করবেন।” এসময় আইনজীবী দলের ব্যারিস্টার নাজির আহমেদ, ক্যাম্পেইন সমর্থনকারী মানবাধিকার সংগঠন ‘ইকুয়েল রাইটস ইন্টারন্যাশনাল’ এর প্রেসিডেন্ট মাহবুব আলী খানশূর, নর্থামব্রিয়া ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্টস রিপ্রেজেন্টটিভ ও ক্যাম্পেইনার মোহাম্মদ হাসান শোয়াইব অনন্ত প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। নেতৃবৃন্দ স্বাক্ষর ক্যাম্পেইনে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।