অবনতিশীল করোনা পরিস্থিতিতে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের উদ্বেগঃ নাগরিক উদ্যোগ গড়ার আহ্বান

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ বৈশ্বিক মহামারী করোনার বিপর্যয়ে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা ও অবনতিশীল পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে জাতীয় উদ্যোগ গ্রহণ জরুরী হয়ে পড়েছে। সামগ্রীকভাবে সরকারের আন্তরিক সদিচ্ছা থাকা সত্বেও সারাদেশের সার্বিক করোনা পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত উদ্বেগজনকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাসপাতাল গুলোতে নানান ধরণের সীমাদ্ধতার সত্বেও চিকিৎসক ও নার্সদের আন্তরিকতা প্রসংশনীয় হলেও জাতীয় জীবনের এই বিপর্যয়ে সর্বোচ্চ নাগরিক উদ্যোগ জরুরী বলে মত দিয়েছেন সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সম্পাদকবৃন্দ। দেশের বিত্তবান নাগরিকদের পাশাপাশি সরকারী-বেসরকারী সংস্থা ও আমাদের বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র সমুহের আন্তরিক সহযোগীতাও প্রত্যাশা করেন এই নাগরিকরা।

আজ বিকেল ৫ টায় সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সম্পাদক মন্ডলীর ভার্চুয়াল সভায় নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত মন্তব্য করেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ কে আজাদ, সানোয়ার হোসেন সামছি, কাজী সালমা সুলতানা, জহিরুল ইসলাম জহির, সিরাজুল ইসলাম, সম্পাদক সন্ডলীর সদস্য অলক দাশগুপ্ত, এ্যাডভোকেট পারভেজ হাসেম, আব্দুর রাজ্জাক, ইয়াসরেমিনা বেগম সীমা, সাজেদুল আলম রিমন, বিপ্লব চাকমা প্রমুখ।

সভার এক প্রস্তাবে বলা হয়, মহামারী করোনা মোকাবেলার পাশাপাশি দেশে দীর্ঘ প্রায় ২ বছর যাবৎ সব ধরণের উৎপাদন, বন্টন, বাণিজ্য সহ শিল্প-কলকারখানা, শিক্ষা কার্যক্রম ও শপিংমল সমূহে লকডাউন অবস্থা বিরাজমান। এমতাবস্তায় জনসাধারণের মধ্যে করোনা আতঙ্কের পাশাপাশি বেকারত্ব ও পরিবার পরিজন নিয়ে অনিশ্চয়তা ও নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছে। হেন পরিস্থিতিতে আইন শৃংঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সামাজিক অস্থিরতা তীব্রতর হচ্ছে। অন্যদিকে চলতি বর্ষা মৌসুমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নদীর পানি বৃদ্ধি, নদী ভাঙ্গঁন, বন্যা মরার উপড় খাড়ার ঘা হিসেবে হাজির হয়েছে।

এই বিপর্যয় ও দেশের সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবেলা সরকারের গৃহীত উদ্যোগকে সফল করতে হলে এলাকা ভিত্তিক জনপ্রতিনিধি, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির শক্তিশালী জাতীয় বিপর্যয় প্রতিরোধ বিগেট গড়ে তুলতে হবে বলেও মনে করেন তারা। এক্ষেত্রে সকলের জন্য বিনামূল্যে টিকা প্রদানের ব্যবস্থা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচায় নিতে হবে এবং সরকার ও প্রশাসনের সকলকাজে স্বচ্ছতা ও জবাব দিহীতা নিশ্চিত করতে হবে বলেও দাবী করেন তারা।

সভায় আরো বলা হয়, প্রাথমিকভাবে সবচেয়ে নিরীহ, দুঃস্থ ও কর্মহীন নাগরিকদের চিহ্নিত করে পরিবার ভিত্তিক উপযুক্ত খাদ্য সামুগ্রী সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি করোনা মহাদুর্যোগ মোকাবেলায় স্বাস্থ্য বিধি ও প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রীর বিষয়ে ব্যাপক প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। যে কোনো ধরণের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্তা গ্রহণ করতে হবে।এছাড়া সভায় নারায়গঞ্জে জুস কারখানায় অগ্নিকান্ডে নিহত অর্ধশতাধিক কর্মরত শ্রমিকদের স্মরণে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয় এবং আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা, অব্যবস্থাপনার জন্য দায়ীদের শাস্তি ও ক্ষতিগ্রস্তদের উপযুক্ত আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের আহ্বানও জানানো হয়।

You might also like