করোনা ভাইরাস: টাওয়ার হ্যামলেটসে আক্রান্তদের বেশীরভাগই এথনিক কমিউনিটির, তদন্তের আবেদন মেয়রের

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

টাওয়ার হ্যামলেট্সঃ করোনা ভাইরাসে এথনিক কমিউনিটির মানুষজন কেন বেশী আক্রান্ত হচ্ছেন তা খতিয়ে দেখার জন্য প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে বিশেষ চিঠি দিয়েছেন টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র জন বিগস।এর বাইরে মেয়রের নির্দেশে কুইনম্যারী ইউনিভার্সিটির বিশেষজ্ঞ দল এবং স্থানীয় জিপিদের সম্মনয়ে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলও বিশেষ একটি গবেষনা শুরু করেছে। তাদের প্রাথমিক বিশ্লেষনে দেখা গেছে যে, বারায় বসবাসরত বাসিন্দাদের মধ্যে শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় দক্ষিণ এশীয় বাসিন্দাদের মধ্যে করোনা ভাইরাসে সংক্রমনের হার প্রায় দ্বিগুন (১.৯ গুন বেশী)।

অর্থ্ াপ্রতি ৩০ জন আক্রান্তের মধ্যে প্রায় ২০ জনই দক্ষিন এশিয়। অন্যদিকে কালোদের বেলায় এই হার ১.৬ গুন বেশী। এই পটভূমিতে মেয়র জন বিগস জরুরী ভিত্তিতে এই বিষয়টি জাতীয়ভাবে খতিয়ে দেখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানালেন।

উল্লেখ্য যে,জাতীয়ভাবেও এথনিক কমিউনিটির বাসিন্দাদের মধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্তের হার অনেক বেশী। দেখা গেছে যে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে রয়েছেন এমন রুগীদের মধ্যে ৩৫%ই হচ্চেছন এথনিক কমিউনিটির।

অথচ তারা এদেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১৪%। এনএইচএস স্টাফদের বেলায় এই হার আরো করুন।এপর্যন্ত ৫৩ জন অশ্বেতাঙ্গ এনএইচএস স্টাফ মৃত্যু বরন করেছেন। শতকরা হিসাবে এই মৃতের হার ৬৮%। মেয়র তার চিঠিতে উল্লেখ করেন, এথনিক কমিউনিটির বাসিন্দারা এনএইচএস ছাড়াও বিভিন্ন ফ্রন্ট লাইন সার্ভিস যেমন ট্রান্সপোর্ট, ডেলিবারী ইত্যাদি সেক্টরে বেশী কাজ করেন।

অন্যদিকে স্বাস্থ্যগত বৈষম্যের শিকারের পাশাপাশি তাদের নানা শারীরিক সমস্যাও রয়েছে। এই সমস্যাকে আরো বিষদভাবে বুঝতে এবং জানতে জাতীয়ভাবে পর্যালোচনা ছাড়া অন্য কোন বিকল্প নেই। তিনি জানান, টাওয়ার হ্যামলেটসে বসবাসরত বিপুলসংখ্যক বাঙ্গালীসহ অন্যান কমিউনিটির বাসিন্দাদের মধ্যে জরুরী তথ্যাবলী পৌছে দিতে কাউন্সিল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্চেছ।

ওমেন এন্ড ইকুয়ালিটিস বিষয়ক পার্লামেন্টারী সিলেক্ট কমিটি এবং লেবার লিডার স্যার কিয়ার স্টার্মার এর রেস রিলেশন বিষয়ক এডভাইজার লর্ড ডরেন লরেন্সের নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটির কাছে এ বিষয়ে সঠিক তথ্যপ্রমান তুলে ধরার লক্ষ্যে কাউন্সিলকে আরো ব্যাপকভাবে কাজ করার নির্দেশ দানের কথাও মেয়র চিাঠতে উল্লেখ করেন। জন বিগস বলেন, আমি এথনিক অধ্যূষিত একটি এলাকার মেয়র এবং বর্তমানে স্থানীয় পার্টনারদের সাথে নিয়ে এবিষয়ে কাজ করছি। এটি প্রতিরোধে জরুরীভিত্তিতে এর কারন জানাটা দরকার। আর এজন্যই প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই আবেদন জানিয়েছি।

তিনি বলেন, বলা হয়েছিলো করোনা ভাইরাস নির্বিচারে সবাইকে আক্রান্ত করছে। কিন্তু এথনিক জনগোষ্ঠিকে কেন বেশী আক্রান্ত করছে এই প্রশ্নের উত্তর জানাটাও জরুরী। ডেপুটি মেয়র এবং কমিউনিটি সেইফটি বিষয়ক কেবিনেট মেম্বার কাউন্সিলার আসমা বেগম বলেন, এই পরিসংখ্যান একটি ক্ষুদ্রচিত্র এবং এর মনিটরিংটা খুবই গুরুত্বপূর্ন। আমরা জানি যে, সারাদেশের এথনিক কমউনিটির বাসিন্দারা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্চেছন বেশী। আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা এবং তথ্য স্থানীয়ভাবে শেয়ার করার পাশাপাশি এই ভাইরাস থেকে সবাইকে রক্ষার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।

You might also like