গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মিসবাহ জামালের উপর বই প্রকাশ হচ্ছে
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ডেস্ক
সত্যবাণী
লন্ডন: লন্ডনের বহুল আলোচিত ও প্রচারিত সানরাইজ রেডিও’র বাংলা অনুষ্ঠান ও স্পেকট্রাম রেডিও অনুষ্ঠানের পরিচালক বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব মিছবাহ জামাল এর মিডিয়ার জীবনের উপর একটি আত্মজীবনীমূলক বই শীগগিরই প্রকাশিত হবে। এ উপলক্ষে গত রবিবার(১১ সেপ্টেম্বর) লন্ডনে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ‘দেশ’ সম্পাদক তাইছির মাহমুদ, মিছবাহ জামাল এর পরিবারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন তার চাচাতো ভাই হল্যান্ড এর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী খায়রুল আমিন মোহাম্মদ বাবলা ও তাঁর সহধর্মিণী বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী নিয়াজমিন চৌধুরী। আলোচনায় অংশ নেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বাংলাদেশ সেন্টার এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান, বই এর লেখক ও প্রকাশক কবি গীতিকার আব্দুল মুক্তার মুকিত, সিলেট হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের পার্মানেন্ট মেম্বার শেখ ফারুক আহমেদ, আবদুস শহীদ খান, পান্না শহীদ খান ও ফরিদা খান।
আলোচকেরা বলেন, আজ থেকে বিয়াল্লিশ বছর আাগে মিছবাহ জামাল তার রেডিও জীবনের সূচনা করেন সিলেট এবং ঢাকা রেডিওতে ১৯৮০ থেকে ১৯৮৬ পর্যন্ত। পরবর্তীতে ১৯৯০ সাল থেকে স্পেকট্রাম রেডিও ইউকে ও সানরাইজ রেডিও ইউকেতে মিডিয়ার কাজ নেশা থেকে পেশায় পরিনত করেন।বক্তারা বলেন, প্রবাসীদের স্নেহ ভালবাসা ও সহযোগিতায় আজও মিছবাহ জামাল তাঁর রেডিওর কাজ চলমান রেখেছেন। বৃটেনের বাঙ্গালী কমিউনিটির সুখ দুঃখের সংবাদ,দেশের সংবাদ, কমিউনিটির উন্নয়ন কর্মকান্ড তরান্বিত করার বিভিন্ন অনুষ্ঠান তিনি উপহার দিয়েছেন তাতে কমিউনিটিতে যথেষ্ট সাড়া জাগে। তারা বলেন, মিছবাহ জামাল দেশ থেকে প্রতিভাবান শিল্পীদের ইউকে’র মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে প্রবাসীদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করেছেন পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকে দেশীয় সংস্কৃতি উপলব্ধি করার সুযোগ করে দিয়েছেন।
১৯৮০ সালে দেশে নবীনদের জন্য অনুষ্ঠানে মিছবাহ জামালের রেডিওর কাজের অভিজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন ১৯৯৪ সালে সানরাইজ রেডিওর বাংলা অনুষ্ঠানে ইউকের সে সময়ের শিশু ও নবীনদের অংশ গ্রহণ করানোর মধ্যদিয়ে, আজ তারা এই লন্ডনে কেউ ব্যারিস্টার ,কেউবা ডাক্তার, কেউ টিচার, কেউ সংগীত শিল্পী, কাউন্সিলার, কমিউনিটির লিডার, অথবা কেউবা আবার মিডিয়ার সাথে সম্পৃক্ত। তাই আজ সফল সার্থকভাবে এই রেডিও ও মিছবাহ জামালের মিডিয়া জীবনের কথা লিপিবদ্ধ করে ইতিহাস আকারে তুলে ধরার জন্য উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানান বক্তারা। সবশেষে সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন মিছবাহ জামালের সহধর্মিণী নাহিদা মিছবাহ।