জুয়াড়ী হারুনকে এলাকা থেকে বিতাড়িত করতে হবে-কাউন্সিলর লিপন বক্স

সত্যবাণী
সিলেট অফিসঃ সিলেট সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর তৌফিক বকস লিপন বলেছেন, ২৬নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে যেসব জুয়ার আখড়া গড়ে উঠেছে, এর সবগুলোই জুয়াড়ী হারুনের প্রত্যক্ষ মদদে চলছে। কুখ্যাত জুয়াড়ী হারুনের ঘৃণ্য কার্যকলাপে স্থানীয় যুবসমাজ থেকে শুরু করে এলাকার সাধারণ মানুষজন অতীষ্ঠ। রাতদিন কিংবা ভোর, ওয়ার্ডের জুয়ার আস্তানাগুলোতে রীতিমতো প্রতিযোগিতা করে চলছে রমরমা জুয়া খেলা। উঠতি বয়সী তরুণরা এসব অপকর্মের আখড়ায় অংশ নিয়ে তাদের জীবন ধংসের যাচ্ছে। কিছুদিন পূর্বে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ এসব আস্তানায় অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে পাকড়াও করলেও জুয়াড়ী হারুন তার আস্তানাগুলো সচল করতে তৎপর রয়েছে। এই কুখ্যাত অপরাধীকে দক্ষিণ সুরমা থেকে বিতাড়িত করতে আমি এলাকাবাসীর পক্ষে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
২৫ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে কদমতলিতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)’র উদ্যোগে বিট পুলিশিং ও কমিউনিটি পুলিশিং এর সভায় বিশেষ অতিথি’র বক্তব্যে তিনি একথাগুলো বলেন। দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি মো. ইয়ারদৌস হাসানের সভাপতিত্বে এবং দক্ষিণ সুরমা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আবুল হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় তিনি আরো বলেন, দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ছিনতাই-রাহাজানি অনেকটা নেই বললেই চলে, মাঝে-মধ্যে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটলেও দক্ষিণ সুরমা ফাঁড়ি পুলিশের নিয়মিত টহল থাকায় ছিনতাইকারী চক্র দক্ষিণ সুরমায় অবস্থান করতে পারছে না। শিগগিরই হযরত শাহজালাল (রহ.) সেতুর ওভারব্রিজ এলাকার যানজট নিরসনে সেতু থেকে হুমায়ুন রশীদ চত্বর পর্যন্ত রাস্তার দু’দিকে গ্রিল লাগানোর পাশাপাশি ওভারব্রিজের সিঁড়ি ভেঙে ফেলা হবে।
সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে এসএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ও জনগণ মিলেমিশে কাজ করতে হবে। সাধারণ মানুষ আর পুলিশ এক হয়ে কাজ করলে সমাজ থেকে অপরাধপ্রবণতা দুর করা সম্ভব। বর্তমান সরকার পুলিশের সাথে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপনের জন্য একটি ডিজিটাল মাধ্যম চালু করে রেখেছেন, আর তা হলো ৯৯৯। এই ৩টি নম্বরে ফোন দিলে অপরাধের বিরুদ্ধে তথ্যদাতার পরিচয় সবসময় গোপন রাখা হয়। তাই সবাই যেখানে অপরাধ কিংবা অপরাধীদের অবস্থান দেখবেন, তখনই ৯৯৯ এ কল দিয়ে সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারেন। একজন সাধারণ মানুষ কিন্তু অপরাধীকে গ্রেফতার করতে পারেন। যেমন, কোনো অপরাধীকে অপরাধ সংঘটনকালে আপনি আটকিয়ে রেখে নিকটস্থ থানায় ফোন দিলেন। পুলিশ আসার আগ পর্যন্ত আপনি কিন্তু পুলিশের দায়িত্ব পালন করলেন’।
সভায় বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য রাখেন, এসএমপি’র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) সুবাস চন্দ্র সাহা, দক্ষিণ সুরমা থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার মানবেন্দ্র সরকার, ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র রোটারিয়ান তৌফিক বকস্ লিপন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল হক, দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি (তদন্ত) মো. আবুল হোসেন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কদমতলী দরিয়া শাহ (রহ.) মাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি, সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তা মো লুলু মিয়া, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সদস্য ও সাবেক তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক এমএ মালেক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মির্জা আলী হোসেনসহ বিভিন্ন শ্রমিক, পেশাজীবি ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

You might also like