জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সভা

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ বৈশ্বিক মহামারী করোনা বিপর্যয়ের মধ্যে সমাজের সর্বস্তরে মানুষের অসহায়ত্ব, নিরাপত্তাহীনতা, সামাজিক সুরক্ষাহীনতা ও অনিশ্চয়তা দিন দিন প্রকট আকার ধারন করছে। সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের দেশে দ্রব্যমূল্যের বিদ্ধমান উর্ধ্বগতিতে যখন সাধারণ মানুষ দিশেহারা তখন হঠাৎ জ্বালানী তেলের মূল্যবৃদ্ধি করা মানুষের জীবনকে নিয়ে তামাশা করার শামিল বলে আমাদের কাছে প্রতিয়মান হয়। তেলের মূল্য বৃদ্ধির ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। সবচেয়ে বেশি নৈরাজ্য চলছে পরিবহণ খাতে মালিক-সরকারের যোগসাজসে সকল প্রকার পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধির ঘোষণা কোন অবস্থাতেই দেশবাসী মেনে নিতে পারেনি তার উপর ঢাকা শহরে কোথাও সিটিং সার্ভিস, গেইটলক, বিরতিহীন আবল পদ্ধতি নামক হাস্যকর প্রথা চালুর মধ্যদিয়ে বিভিন্ন রুটে বাসের ভাড়া কোথাও কোথাও দ্বিগুণ-তিনগুণ আদায় করা হচ্ছে। আমরা ঢাকাসহ সারাদেশের বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার এবং প্রকৃত মাইল মিটার অনুযায়ী নির্ধারণ করার দাবি জানাচ্ছে।

আজ বেলা ৪টায় সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির ঢাকাস্থ নেতৃবৃন্দের সভায় বক্তারা উপরোক্ত মন্তব্য করেন। সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য রোবায়েত ফেরদৌসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য পঙ্কজ ভট্টাচার্য (ভার্চুয়াল), জয়ন্তী রায় (ভার্চুয়াল), আলোচনায় আরো অংশ নেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একে আজাদ, সানোয়ার হোসেন সামছী, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সবুজ, সাম্পাদক মÐলীর সদস্য এড. পারভেজ হাসেম, অলক দাশ গুপ্ত, আব্দুর রাজ্জাক, ইয়াসরেমিনা বেগম সীমা, কেন্দ্রীয় নেতা মোঃ নূরল আমিন, তনিমা শরীফ, বেলায়েত হোসেন, জুবায়ের আলম, গোতম শীল, কামরানুর রশিদ তুহীন, শাহ আলম শাহপুরী, শাহজালাল আলিফ প্রমুখ।

সভায় পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, নারী-শিশু, সংখ্যালঘু আদিবাসী নিপীড়নের ঘটনা প্রবাহ আমাদের দেশটিতে এখন প্রতিনিয়ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করা হচ্ছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার ছিলো ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সহঅবস্থান ও সবার জন্য সমান সুযোগের স্বদেশ প্রতিষ্ঠা করা। দুভাগ্যজনক হলো ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তে রঞ্জিত বাংলাদেশের সংবিধানের সুশাসনের সংকটে পড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে দূর্গাপুজাকে কেন্দ্র করে ১৮টি জেলায় যে তাÐব চালানো হলো তাতে সমাজের সংখ্যালঘু মানুষগুলো জীবনে অন্ধকার নেমে এসেছে। এই ঘটনাতো এখানেই শেষ না। নির্বচন আসলেই সংখ্যালঘুদের হাতিয়ার বানানোর ষড়যন্ত্রের খেলা শুরু হয়। এখানে সাম্প্রদায়িকতাকে পুঁজি বানিয়ে ক্ষমতা দখলের প্রতিযোগিতা সুবিধাবাদীরা মেতে উঠে। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে এই জঘন্য বর্বরতা চলতে দেয়া যায় না। আজকে দেশপ্রেমিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ছাত্র-যুব, নারী ও পেশাজীবীদের নিয়ে জাতীয় জাগরণ গড়ে তুলেতে হবে।

রোবায়েত ফেরদৌস বলেন,সম্প্রতি মাননীয় হাই কোর্ট ধর্ষণের মামলার বিচারের রায়ে নির্দেশনায় আমরা যে দেখলাম তা মৌলিক মানবাধিকার পরিপন্থী।এতে ধর্ষকরা আরো উৎসাহিত হবে। সমাজের দুর্বল মানুষগুলো এমনিতেই আতংকিত সময় পার করছে তার উপর বিচার ব্যবস্থার দুর্বলতা বিবেকবানদের হতাশ করেছে।সভায় সাম্প্রদায়িকতা,জঙ্গিবাদ,দুর্নীতি,লুটপাট,হত্যা,ধর্ষণ, নারী-শিশু নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহŸান জানানো হয়।

You might also like