তাহিরপুরে বাদাঘাট ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক নিরীহ পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকির ঘটনায় অভিযোগ দায়ের
শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী
সুনামগঞ্জ থেকেঃ পূর্ববিরোধের জেরে সুৃনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ৫নং বাদাঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও তার সহযোগি কর্তৃক স্থানীয় ঘাগড়া গ্রামের নিরীহ আব্দুল হাই এর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম(২৮)ও তার পরিবারের সদস্যদের মোবাইল ফোনে প্রাণে মারার হুমকির ঘটনায় পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৯ এপ্রিল বিকেলে জাহাঙ্গীর আলম বাড়ি ফেরার পথে প্রতিপক্ষ নিজাম মিয়ার এই ০১৭৪৬-৮৬৩৭২৭ নম্বরে তাকে ফোন দিয়ে কথা বলার এক ফাকেঁ ইউপি চেয়ারম্যান আপ্তাব উদ্দিন ফোন ধরে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ তাকে কলম দিয়ে ঘা মারিয়ে খুন করিবে মর্মে প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছে বলে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তার ও পরিবারের সদস্যদের জানমালের নিরাপত্তার জন্য তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার বরাবরে জাহাঙ্গীর আলম পৃথক আরো একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগসূত্রে জানা যায়, বাদাঘাট ইউপি চেয়ারম্যান ও সুহালা গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে মো. আপ্তাব উদ্দিন,ইছবপুর গ্রামের মৃত ছায়েদ মিয়ার ছেলে মো. দানিছ মিয়া,ঘাগড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে মো. মানিক মিয়া ও মোল্লাপাড়া গ্রামের মৃত গোলাপ মিয়ার ছেলে নিজাম মিয়া কর্তৃক ঘটনার দিন তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছেন । এছাড়া ও দানিছ মিয়া তার বাবাকে মারপিঠ করবে বলেও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। তাছাড়া মানিক মিয়া তাকে রাস্তায় একা ফেলে মোটর সাইকেল উপরে উঠাইয়া প্রাণে মারার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে গত ২০ এপ্রিল ৩০/৪০জন জড়ো হয়ে তার বসতবাড়িতে প্রবেশ করে তাকে না পেয়ে তার পিতামাতাকে হুমকি দামকী দিয়ে আসে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে অভিযোগকারী মো. জাহাঙ্গীর আলমের সাথে যোগাযোগ করা বলে তাকে মোবাইল ফোনে আপ্তাব কর্তৃক হুমকির বিষয়টি স্বীকার করে জানান তিনি বর্তমানে তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগতেছেন।এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বাদাঘাট ইউপি চেয়ারম্যান মো. আপ্তাব উদ্দিনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।।এ ব্যাপারে তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল লতিফ তরফদার অভিযোগ পাওয়ার বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে জানান বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।