দুই ছেলেসহ প্রতিমন্ত্রী পলক করোনায় আক্রান্ত

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ মহামারি করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।প্রতিমন্ত্রী পলক লিখেছেন, কিছুক্ষণ আগে কোভিড টেস্ট রিপোর্ট পেয়েছি। রিপোর্টে আমার, আমার বড় ছেলে অপূর্ব এবং মেজো ছেলে অর্জনের কোভিড পজিটিভ এসেছে। আমার পরিবারের জন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করছি। সকলেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। টিকাগ্রহণ করুন। মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে নিরাপদে রাখুন। আমিন।সম্প্রতি দেশে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া কোভিডের দক্ষিণ আফ্রিকান ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত কয়েকজনও শনাক্ত হয়েছে। এ জন্য আবারও বিধিনিষেধের পথে হাঁটতে যাচ্ছে সরকার। আপাতত বিভিন্ন খাতে সীমিত পরিসরে বিধিনিষেধ কার্যকর করা হবে। এরপর পরিস্থিতি বিবেচনায় পরিসর বাড়তে পারে।

মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ওমিক্রন মোকাবিলায় অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলাচলের বিষয়ে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রাত ১০টার পরিবর্তে ৮টা পর্যন্ত দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।মন্ত্রী বলেছেন, আমাদের দেশেও ওমিক্রন আক্রান্ত কিছু রোগী শনাক্ত হয়েছে। আমরা লক্ষ্য করছি, সপ্তাহ খানেক যাবত করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। গেল ১০ দিন আগেও এটি ২০০ থেকে ২৫০-এর মধ্যেই ছিল।যেভাবে বাড়ছে এটা আশঙ্কাজনক বলে মন্তব্য করে জাহিদ মালেক দাবি করেন, ওইসব চিন্তাভাবনা করেই মন্ত্রিপরিষদের সঙ্গে গতকালই মিটিং হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব সেই সভা আহ্বান করেছিলেন। আমি ছিলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। সচিবরাও ছিলেন। বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি, এসপি, সিভিল সার্জনসহ অন্যান্যরা যুক্ত ছিলেন। উনাদের বেশকিছু পরামর্শ ও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেগুলো এখনো ফাইনাল না, মন্ত্রিপরিষদ থেকে ফাইনাল চিঠিটা যাবে।তিনি আরও বলেন, ফাইনাল হওয়ার আগে যে আলোচনা ও প্রস্তাবনা হয়েছে সেগুলো গতকালও বলেছি। করোনা এবং ওমিক্রনকে রুখতে হবে। সে কারণেই এ সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হচ্ছে।

জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, যানবাহনে (বাস, ট্রেন ও স্টিমার) মাস্ক ছাড়া চলাচল করা যাবে না। যদি কেউ চলাচল করে তাহলে জরিমানার মধ্যে পড়বে। এই সিদ্ধান্ত মোটামুটি হয়েছে, সংশ্লিষ্টদের প্রস্তাবনা রয়েছে।মন্ত্রী মনে করেন, যাত্রীসংখ্যা বাসে ও অন্যান্য যানবাহনে অর্ধেক নেওয়ার প্রস্তাবনা করা হয়েছে। হোটেলে-রেস্টুরেন্টে মাস্ক পরে যেতে হবে। মাস্ক ছাড়া গেলে দোকানদারেরও জরিমানা হবে, যে যাবে তারও জরিমানা হতে পারে।তিনি আরও বলেন, দোকানের সময়সীমাও কমিয়ে আনা হয়েছে। ১০টার পরিবর্তে রাত ৮টা পর্যন্ত। এটাও প্রস্তাবনা করা হয়েছে।করোনা প্রতিরোধী ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য তাগাদা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, রেস্টুরেন্ট ও হোটেলে খেতে হলে মাস্ক পরে যেতে হবে। হয়তো খাওয়ার সময় মাস্ক খুলে খাবে, তারপর আবার মাস্ক পরে চলে আসবে।স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দাবি, স্কুল চলবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে। যদি সংক্রমণ বৃদ্ধি পায় তাহলে স্কুলের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে, স্কুল চালিয়ে রাখা যাবে কি-না।

You might also like