দেখার হাওরে কৃষকের ধান কেটে দিলেন উপজেলা প্রশাসন ও সুনামগঞ্জ জেলা যুবলীগ

শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী

সুনামগঞ্জ থেকেঃ করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুনামগঞ্জের হাওর এলাকার বোরো ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়ে গেছে।সোমবার সকালে দেখার হাওরে স্থানীয় কৃষক সহিবুর রহমানের এক কেদার পাকা জমির ধান কেটে দিলেন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা প্রশাসন ও জেলা যুবলীগের শতাধিক নেতাকর্মীরা । জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান শাহারিয়ারের নেতৃত্বে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হাওরে গিয়ে এই কৃষকের ধান কেটে দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন,জেলা আওয়ামীলীগ নেতা এড. মজিানুর রহমান মিজান,জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক সীতেশ তালুকদার মঞ্জু,জেলা যুবলীগের সিনিয়র সদস্য সবুজ কান্তি দাস,নুরুল ইসলাম বজলু,সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিগার সুলতানা কেয়া,জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দিপংঙ্কর কান্তি দে জেলা ছাত্রলীগ নেতা অরিন্দম মৈত্র অমিয়,লক্ষণশ্রী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহীনুর রহমান,সাধারন সম্পাদক সুহেল আহমদ,ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সহিবুর রহমান,সিনিয়র সহ সভাপতি আবু হানিফা প্রমুখ।

সুনামগঞ্জ জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল বলেছেন,আমাদের হাওরের জেলা সুনামগঞ্জে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নজরদারি ও আমাদের যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারন সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নির্দেশে গেলবছরের মতো এই করোনাকালীন সময়ে সুনামগঞ্জ জেলা যুবলীগ,উপজেলা ও ইউনিয়ন যুবলীগের প্রতিটি ইউনিটের নেতাকর্মীদের প্রতিটি কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানানো হয়েছে। তিনি বলেন এবার হাওরে কোন ধান কাটা শ্রমিকের সংকট নেই তারপরেও যুবলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীরা জেলার বিভিন্ন হাওরে কৃষকদের পাকা ধান কেটে গোলায় তুলে দিতে প্রস্তুতের অংশ হিসেবেই আজ যুবলীগের শতাধিক নেতাকর্মীরা দেখার হাওরে এক কৃষকের এক কেদার পাকা ধান কেটে দিয়ে শুরু করা হলো ধান কাটা উৎসব এবং শেষদিন পর্যন্ত কৃষকদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য চলতি বছর এ জেলায় প্রতিটি হাওরে ২ লাখ ২৩ হাজার ৩৩০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানাযায়, গেল বছরের চেয়ে এবার ৪ হাজার ৩০ হেক্টুর জমি বেশী চাষাবাদ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৫ হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা ও মাড়াই হয়ে গেছে। তবে চলতি বছরে সরকারীভাবে ৮ লাখ ৮৫ হাজার ২৯৯ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে যার বাজার মূল্য সরকারী হিসেবে ৩ হাজার ৫ শত কোটি টাকার উপরে। সরকার ইতিমধ্যে প্রশাসনের মাধ্যমে ১০৭টি কম্পাইন্ড হারভেস্টর মেশিন কৃষকদের মাঝে দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলা ২ হাজার ১৭২জন ধান কাটার শ্রমিক আনা হয়েছে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ও প্রচুর শ্রমিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

You might also like