নতুন স্বপ্নে পথচলা: বিদায় একুশ, স্বাগত ২০২২

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ নিজের নিয়মে বয়ে যায় সময়। গতকাল যে সূর্য অস্ত গিয়েছিল আজ তা উদয় হয়েছে নতুন ভোরকে সঙ্গী করে, সেসঙ্গে জানান দিয়েছে নতুন বছরের আগমনের। আজ ১ জানুয়ারি ২০২২ খ্রিস্টাব্দ। ইংরেজি বর্ষপঞ্জিতে সূচনা হলো নতুন একটি বছরের। আর আগত বছর নিয়ে সবার প্রত্যাশা, গেল বছরের অপ্রাপ্তিগুলো ঢেকে যাক প্রাপ্তির চাদরে, মুছে যাক সব হতাশা।পুরনোকে পেছনে ফেলে নতুনের পথে হাঁটার প্রত্যয়ে নতুন বছর শুরু করেছে বিশ্ববাসী। গতকাল (৩১ ডিসেম্বর) থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের মাধ্যমে নতুন বছরকে বরণ করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ। পশ্চিম থেকে মধ্যপ্রাচ্য উদযাপনে পিছিয়ে থাকেনি এশিয়ার দেশগুলোও। আলোকসজ্জা, আর রং তুলির আঁচড়ে সেজেছে বৃহৎ স্থাপনা। ঘড়ির কাঁটায় রাত ১২টা বাজতেই বিশ্বজুড়ে শুরু হয় নতুন বছরকে বরণের আনুষ্ঠানিকতা। আতশের আলোর ঝলকানিতে মেতে ওঠে পুরো বিশ্ব।

তবে এবারও করোনাভাইরাস মহামারির ছায়াতেই বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ নতুন বছরকে স্বাগত জানাচ্ছে। এর মধ্যে নতুন উদ্বেগ বাড়িয়ে চলছে ওমিক্রন নামের করোনার ধরন। যার কারণে অনেক দেশ ইংরেজি নববর্ষের উৎসব বাতিল করছে। ইংরেজি নববর্ষ বরণ অনুষ্ঠান উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে বেশ কিছু নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।এ দিকে, ‘খ্রিষ্টীয় নববর্ষ-২০২২’ উপলক্ষে পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।নতুন বছরে বিশ্ববাসীর মূল প্রত্যাশা করোনা মুক্ত বিশ্ব। এর পাশাপাশি অর্থনীতি ও সামাজিক ক্ষেত্রে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসুক তাও কাম্য। সর্বোপরি নতুন বছর সবার জীবনে নিয়ে আসুক সুখময় বার্তা।

এক পলকে খ্রিস্টাব্দ :বর্ষপঞ্জি প্রথম উদ্ভব হয়েছিল সুমেরীয় সভ্যতায়।মিশরীয় সভ্যতাই সৌর ক্যালেন্ডার আবিষ্কার করে বলে কথিত রয়েছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বেরিয়ে আসে যে, খ্রিস্টপূর্ব ৪২৩৬ অব্দ থেকে ক্যালেন্ডার ব্যবহার শুরু হয়। ৩৬৫ দিনে সৌর বর্ষ গণনা করত মিশরীয়রা। তবে ৫৩২ অব্দ থেকে রোমানদের হাত ধরে খ্রিস্টাব্দের সূচনা হয়।

You might also like