নির্বাচনী মাঠে এলে খেলা হবে-পরিকল্পনামন্ত্রী

সত্যবাণী
সিলেট অফিসঃ পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি বলেছেন, দেশের এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় যারা নির্বাচনে না এসে হরতাল-অবরোধ করে বাসে আগুন দেয়, মানুষকে কষ্ট দেয়। এইসব নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের কঠোরভাবে প্রতিহত করতে হবে। বিএনপির কাছে অনুরোধ বাসে-ট্রাকে আক্রমণ করবেন না। মানুষকে কষ্ট না দিয়ে ভোটে আসেন।  দেশে অশান্তি সৃষ্টি করে ক্ষমতায় আসা যাবে না। আইন মেনে নির্বাচনে আসেন, ভোটের মাঠে খেলা হবে।
শান্তিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা জানান, ৮ নভেম্বর বুধবার সকাল ১১ টায় শান্তিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আব্দুল মজিদ কলেজের হলরুমে পরিকল্পনামন্ত্রীর স্বেচ্ছা তহবিল হতে হত দরিদ্রদের মাঝে অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন আলোয় আলোকিত পুরো দেশ। এই সরকার উন্নয়নের সরকার। এই সরকারের আমলে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতাসহ নানা রকমের ভাতাসহ মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন হয়েছে, এর আগে কোন সরকার এতো সহায়তা করেনি। একমাত্র শেখ হাসিনাই করেছেন। অন্যরা ফুটানির দল, সাহেবদের দল। তারা জনগণের পাশে থাকে না। ওনারা শহরে বাস করেন। একমাত্র শেখ হাসিনাই গ্রামের দিকে নজর দিয়েছেন। গ্রামে-গ্রামে সড়ক, ব্রিজ-কালভার্ট, টিউবওয়েল, ল্যাট্রিন থেকে শুরু করে যা প্রয়োজন সব করে দিচ্ছেন। আ’লীগ চায় দেশের মানুষ শান্তিতে থাকুক। তাই দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি বেগবান রাখতে শেখ হাসিনাকে আবারো ক্ষমতায় আনতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন,  সামনে নির্বাচন, শেখ হাসিনা সুযোগ দিলে আবারও আসব। আমি যদি ভাল কাজ করে থাকি, উন্নয়ন করে থাকি। তাহলে আমাকে মনে রাখবেন। এটাই আমার জীবনের শেষ নির্বাচন৷ আমি চাই আপনাদের সেবা করতে। নিজেকে আপনাদের মাঝে বিলিয়ে দিতে। আপনারা নৌকায় সিল মারলে কেউ আটকাতে পারবে না। দেশের উন্নয়নে মিলেমিশে সবাইকে নিয়ে একসাথে এগিয়ে যেতে চাই।
ইউএনও সুকান্ত সাহার সভাপতিত্বে ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নূর হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আ’লীগ সভাপতি সিতাংশু শেখর ধর সিতু, সিনিয়র সহ-সভাপতি পরিকল্পনামন্ত্রীর পুত্র সাদাত মান্নান অভি, সাধারণ সম্পাদক হাসনাত হোসেন, আব্দুল মজিদ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাসুদুর রউফ পল্লব, শান্তিগঞ্জ থানার ওসি খালেদ চৌধুরী ও জয়কলস ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত সুজনসহ প্রমুখ।
এ সময় উপজেলা আ’লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ ৮ ইউনিয়নের উপকারভোগীগণ উপস্থিত ছিলেন।

You might also like