নির্বাহী কমিটির সভা: লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাব বিরুধী অসাংবিধানিক তৎপরতার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহবান
প্রেস রিলিজ ডেস্ক
সত্যবাণী
লন্ডন: লণ্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের নির্বাহী কমিটির এক সভায় ক্লাবের বিরুদ্ধে মানহানীকর তৎপরতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়েছে ‘কোনো আইনি বা সাংবিধানিক যুক্তি ছাড়াই যারা ক্লাবের সুনাম নষ্ট করার মতো কাজে লিপ্ত রয়েছেন তাদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষনে রাখা হচ্ছে’।
সোমবার রাতে অনলাইন সভায় বলা হয়, ক্লাব তথা ইসি কমিটি বৃটেনের প্রচলিত আইন, সংবিধান ও চ্যারিটি কমিশনের নির্দেশনা যথার্থভাবে মেনেই কাজ করছে। অসফল আবেদনের ক্ষেত্রে রয়েছে যথাযথ সাংবিধানিক ব্যাখ্যা। এছাড়া ইসি কমিটির ১৫ জন সদস্য সম্মিলিতভাবেই প্রতিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অবাক করার বিষয় হচ্ছে, এই অনাকাংখিত তৎপরতায় যুক্ত ব্যক্তিরা ইতিমধ্যে স্বাক্ষর অভিযান করেছেন, এবং বিশাল অর্থ খরচ করে (যদিও ক্লাবের কোনো খরচ হয়নি) ক্লাবকে সলিসিটার নোটিশও দিয়েছেন। দুটি ক্ষেত্রেই কোনো সমাপ্তি না টেনে এখন সভা-সমাবেশের মাধ্যমে আত্মঘাতী কাজে লিপ্ত হয়েছেন তারা।
ক্লাব কর্তৃপক্ষ মনে করেন, ক্লাবের ৩২০ জন সদস্যের দু চারজন ছাড়া সবাই দায়িত্বশীল আচরন করছেন। এতো বিভ্রান্তিমূলক আয়োজনের পরও তাদের এই বিচক্ষনতা আমাদের আশাবাদী করেছে। আমরা সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।
অন্যদিকে মাত্র কয়েকজন সদস্য অফিশিয়্যাল প্রক্রিয়াকে মাঝপথে রেখে জনসম্মূখে প্রেস ক্লাবের অভ্যন্তরীন বিষয়ে গল্প-কাহিনী ছড়াচ্ছেন, যা সাধারনত এক শ্রেনীর সংগঠনে মাঝে- মধ্যেই দেখা যায়। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, তেমন পরিস্থিতিতেই ক্লাবকে টেনে নামাতেই যেনো এই তৎপরতা। অনলাইন সভা থেকে তারা এখন সংবাদ সম্মেলনেরও ঘোষনা দিয়েছেন। কিছু পত্রপত্রিকাও নূন্যতম সাংবাদিকতার নীতিমালা এবং আইনকে সম্মান না করে এক তরফা ভাবে সেইসব অগ্রহনযোগ্য ও ভিত্তিহীন সংবাদ ছাপছে। প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী এমন এক সভায় ইতিমধ্যে ক্লাবের সাবেক দুজন কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন। নাম উল্লেখ করে তাদের আর লজ্জা দিতে চায়না প্রেস ক্লাবের নির্বাহী কমিটি। এছাড়া সক্রিয় আছেন দুজন শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা, যারা সংবিধানের নিয়মে মেম্বার হিসেবে সফল হননি। এছাড়াও আছেন কিছু অসফল আবেদনকারী। এখন যেহেতু তারা মেম্বার নয়, কোনো সাংগঠনিক শৃংখলার আওতায় তার পড়েন না। কিন্তু তারা নিজেরাই বৃটিশ আইন এবং নীতিবোধ নিয়ে একটু ভাবতে পারেন। এছাড়া আগামীতে তাদের আবেদন গ্রহনে ভবিষ্যত নেতৃত্ব যাতে এসব তৎপরতা বিবেচনায় নেয়, সে বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাশ করে নির্বাহী কমিটি।
উল্লেখ্য মিথ্যাশ্রিত প্রচারনায় চাতুর্যের সাথে নাম উল্লেখ না করে বলা হচ্ছে ১২ জন মেম্বারের আবেদন রিনিউ করা হয়নি অন্যায় ভাবে এবং তাদেরকে আপিলের সুযোগও দেয়া হয়নি। কিন্তু তাদের নাম প্রকাশিত হলেই সবাই পরিস্কার বুঝতে পারবেন কেনো তারা মেম্বার হতে পারেননি। এদের মধ্যে অন্যের লেখা নিজের নামে ছাপিয়ে সেটি জমা দেয়ার লোকও আছেন, কাজের প্রমানহীন সাংবাদিকও আছেন।
এই ক্লাবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে নির্বাচনপূর্বক মেম্বারশীপ তালিকা প্রকাশ হলে, এটাই চুড়ান্ত থাকে। আপিলের প্রয়োজন পড়ে না। কারন নির্বাচনের কিছুদিন পরই আবারো মেম্বারশীপ প্রক্রিয়া উন্মুক্ত হয়। কারো যথার্থ যোগ্যতা থাকলে নিয়ম মতো তিনি আবারো পূর্ন বিবেচনার সুযোগ নিতে পারবেন। যদিও আমাদের চর্চা হচ্ছে নির্বাচন কেন্দ্রিক মেম্বারশীপের।
এছাড়া পেন্ডিং-এ থাকা চার জন মেম্বারের বাস্তবতা আলাদা। তারা সক্রিয় সাংবাদিক। এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন ঊঠছে না। এসজিএম-এ পাশ হওয়া সংবিধানের নতুন নিয়ম দলীয় রাজনীতি শীর্ষ পদে থাকাদের মেম্বারশীপ লাভে বাধার সৃষ্টি করায় তারা এই সমস্যায় পড়েছেন। তবে ইতিমধ্যে বাংলাদেশী প্রধান দলগুলোর ৫জন শীর্ষ নেতা নতুন সংবিধানের আলোকে স্ব স্ব পদ ত্যাগ করে ক্লাবে যুক্ত থেকেছেন। আর তিনটি বড় দলের তিন জন প্রধান পদের নেতা পদত্যাগ না করলেও ক্লাবের প্রতি ভালোবাসার জানান দিতে এসোসিয়েট মেম্বার হয়েছেন। ক্লাবের সংবিধান তথা মর্যাদা রক্ষার ইতিহাসে এই ৮ জনের নাম লেখা থাকবে শ্রদ্ধার সাথে। আর মাত্র ৪জন শীর্ষ নেতা স্ব স্ব পদ ত্যাগ করতে এবং এসোসিয়েট মেম্বার হতে রাজী হননি। যাদেরকে বিবেচনার জন্য পেন্ডিং রাখা হয়। কখনো সংবিধানে অথবা তাদের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন এলে তারা সকলেই ফুল মেম্বার হবার সুযোগ পেতে পারেন, সেটিও তাদের চিঠি লিখে জানানো হয়। কিন্তু তারা বেছে নিয়েছেন ভিন্ন পথ।
এটা ঠিক যে, এবারও কিছু আবেদনকারী সদস্য হিশেবে সফলকাম হননি। এবার মেম্বারশীপের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু পলিসি কারো কারো জন্য মেম্বারেশীপের যোগ্যতা প্রমানে বাড়তি চাপও সৃষ্টি করে। কিন্তু তারা ধৈর্য ধরে ক্লাবের সাথে সম্মানজনক যোগাযোগে থাকলে এবং নিজেদের মিডিয়া সক্রিয়তা নিশ্চিত করলে আবারো যুক্ত হতে পারেন সহজেই। মনে হচ্ছে, কিছু সদস্য হয়তো সিদ্ধান্তই নিয়েছেন তারা আর ক্লাবে যুক্ত থাকবেন না, তারা আক্রোশবশত আত্মঘাতি তৎপরতা শুরু করেছেন, আর এর জন্য সরল মনা মানুষজনকে ব্যবহার করছেন।
সবাইকে অনুরোধ প্রেস ক্লাবের বিরুদ্ধে যুক্তিহীন ও মিথ্যাশ্রিত প্রচারনার ক্ষেত্রে একটু সাবধান থাকবেন। সামগ্রিক বিষয়ে একটু যাচাইবাছাই করতে পারেন। দয়াকরে আমাদের প্রিয় সংগঠনটি নিয়ে ভুল কিছু প্রকাশ ও শেয়ারে নিজেদেরকে যুক্ত না করার বিশেষ অনুরোধ রইলো। মেম্বারশীপ নিয়ে যে কোনো অভিযোগের জবাবে শুধুমাত্র ওয়েবসাইট ঘেটে সংবিধান এবং মেম্বারশীপ পলিসি পড়ে নিলে আপনারাই পরিস্কার বুঝতে পারবেন।