প্রস্তাবিত বাজেট সরকারের গত ১৩ বছরের উন্নয়ন-অগ্রগতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখার দিকনির্দেশনা : সরকারি দল

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ জাতীয় সংসদে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেট শেখ হাসিনার সরকারের গত ১৩ বছরের দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখার দিকনির্দেশনা।গত ৯ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংসদে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার এ বাজেট প্রস্তাব পেশ করেন। এর আগে গত ১৩ জুন সংসদে চলতি অর্থ বছরের সম্পূরক বাজেট পাস করা হয়।
বাজেটের ওপর আলোচনায় আজ অংশ নেন, সরকারি দলের সদস্য মুসলিম উদ্দিন, মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীরোত্তম, এডভোকেট কামরুল ইসলাম, বীরেন সিকদার, নুরুল আমিন, মোসলেম উদ্দিন আহমেদ, শামসুল আলম বদু, তানভীর ইমাম, সাইমুম সরওয়ার কমল, মকবুল হোসেন, শহীদুল ইসলাম বকুল, কাজিম উদ্দিন আহমেদ, বেগম শামসুন্নাহার, পারভীন হক সিকদার,বেগম জন্নাতুল বাকিয়া, জাসদের হাসানুল হক ইনু এবং ওয়ার্কার্স পার্টির মোস্তফা লুৎফুল্লাহ।

আজ বাজেট আলোচনা শুরুর আগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনায় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাষণ দেন। এছাড়া এ উপলক্ষ্যে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রবীণ সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ। এর পরই সংসদে বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা শুরু হয়।প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেন, আগামী ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঙালির স্বনির্ভরতা আর মর্যাদার প্রতীক পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার পর জাতির আরেকটি বিশাল অর্জনের উন্মোচন করবেন। এ পদ্মা সেতু চালু হলে দেশে অর্থনৈতিক অগ্রগতি আরো তরান্বিত হবে।তারা বলেন, বাঙালির গর্ব এ পদ্মা সেতু নিয়ে আগেও বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্র করেছে। এ সেতু যেন না হয়, সে জন্য কাল্পনিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সাথে ঘাষণা করেন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করা হবে। সে ঘোষণা অনুযায়ি আজ এ সেতু এখন বাস্তব। এখনো তারা ষড়যন্ত্র করছে। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
জাসদের হাসানুল হক ইনু আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন, বাঙালি মেধায় -মননে আর বিচক্ষণতায় বিশ্বের যে কোন উন্নত জাতির সমকক্ষ। তিনি এ সেতুকে জাতির আত্মমর্যাদার প্রতীক বলে উল্লেখ করেন।

তিনি বাজেট বাস্তবায়নে দেশে রাজনৈতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন। আর সাথে সাথে দেশ ও জনগণের মৌলিক বিষয়ে আইন, বিধি-বিধান প্রণয়নের প্রস্তাব দেন। এছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার ওপর জোর দেন। প্রয়োজনে ভর্তুকি দিয়ে নিত্য পণ্যের দাম জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনার ওপরও গুরুত্ব দেন। তিনি প্রস্তাবিত বাজেটে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরৎ আনার যে বিধানের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে তা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেন।আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের অন্য সদস্যরা বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে কোন নিত্য পণ্যের ওপর করারোপ করা হয়নি। বরং অনেক জরুরী পণ্য ও খাতকে কর অবকাশ দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে বাজেটে বিলাস দ্রব্যের ওপর কর বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে এটা অত্যন্ত বাস্তবসম্মত।তারা বলেন, শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনায় সর্বক্ষত্রে শতভাগ সাফল্য অর্জন করে বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বিশেষ করে ১৩ বছরে এ সরকারের দেয়া সব বাজেট গড়ে ৯১ ভাগের বেশী বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। এ বাজেটও সফলভাবে বাস্তবায়িত হবে।তারা বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের রক্তচক্ষুকে তোয়াক্কা না করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু সেতু নির্মাণ করে বিশ্বকে চমকে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বৈশ্বিক মহামারি সংক্রমণের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োচিত পদক্ষেপের ফলে সফলভাবে করোনা মোকাবেলা করা সম্ভব হয়েছে। তার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী পদক্ষেপে দেশের আর্থ-সামাজিক কর্মকা- সচল রেখে উন্নয়ন অগ্রগতি সচল রাখা সম্ভব হয়েছে। তাঁর এ সাহসী পদক্ষেপ বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে।

You might also like