বিএনপি’র টপ টু বটম নেতাদের পদত্যাগ করা উচিত : ওবায়দুল কাদের
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জনগণ মনে করে আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থতার দায়ে মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি’র টপ টু বটম নেতাদের পদত্যাগ করা উচিত।আজ সকালে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে তার সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে উদ্বোধনী বক্তব্যে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ।সেতুমন্ত্রী বলেন, যারা টাকা বিদেশে পাচার করে, তারা চিহ্নিত, চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী,অবৈধ অর্থ পাচারকারীদের কোন ভাবেই দলে রাখা যাবে না।ত্যাগী নেতাকর্মীদের দলে মূল্যায়ন করতে হবে, বসন্তের কোকিলরা দুঃসময়ে থাকবে না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সুবিধাভোগীদের দুঃসময়ে হাজার পাওয়ারের বাতি জ্বালিয়ে খুঁজে পাওয়া যাবে না।গত ১৩ বছরের বাংলাদেশের সাথে বর্তমান বাংলাদেশের তুলনা করে তিনি বলেন, এতো উন্নয়ন- অর্জন, শুধু মাত্র শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলেই সম্ভব হয়েছে।তিনি আরও বলেন, দেশের এতসব উন্নয়ন অর্জন বিএনপি চোখে দেখে না, তারা দিনের আলোয় রাতের অন্ধকার দেখতে পায়।দেশের গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ তথা বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে এমন বক্তব্য দিয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে আরও বলেন, দেশের চলমান উন্নয়ন অর্জন ধরে রাখতে হলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামীতেও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা রাখতে হবে।
আগামী জাতীয় নির্বাচন ও আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে এখন থেকেই দলকে সুসংগঠিত ও স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে হবে, এমনটা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।বিএনপি’র শাসনামলে দেশে ২৪ ঘন্টাই লোডশেডিং ছিলো বিএনপি নেতাদের স্মরণ করে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা সারা দেশে আলোয় আলোকিত করেছেন। বিএনপি নেতাদের চোখে ঠুলি পড়েছে।সেতুমন্ত্রী বিএনপি মহাসচিবকে উদ্দেশ করে বলেন, হুংকার দিয়ে লাভ নেই। দেশের জনগণকে দেখাবার মতো আপনাদের এমন কোন উন্নয়ন নেই। তাই সরকারের পদত্যাগ দাবি না করে নিজেরা পদত্যাগ করুন।ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে সম্মেলনে সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাহজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এবং ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেনসহ অন্যন্য কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।