সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়: যাত্রালগ্নেই জামায়াত-শিবিরের ঘাঁটি

দেবব্রত রায় দিপন
সত্যবাণী

সিলেট থেকে: যাত্রালগ্নেই সমালোচনার তীরবিদ্ধ সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। আওয়ামীপন্থী ভিসি ও জামায়াতপন্থী রেজিস্টারের সীমাহীন নিয়োগ বাণিজ্যে অনিয়মের বিষয়টি উঠে এসেছে জনসম্মুখে। এই নিয়োগ বাণিজ্যে প্রাধান্য পেয়েছে জামায়াত-শিবিরের কর্মী-সমর্থকরা। নিয়োগ পেয়েছেন শেখ হাসিনা হত্যা চেষ্টা মামলার আসামির স্বজনও। নিয়োগ বাণিজ্যে দুর্নীতির অন্তরালে রয়েছেন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ডা. মুর্শেদ আহমদের শ্বশুড়ালয়ের লোকজনও। তাদের সঙ্গী হয়ে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার নঈমুল হক চৌধুরী। যিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের প্যানেলে নির্বাচন করেছেন।নগরীর সিভিল সার্জন কার্যালয় সম্মুখে অস্থায়ী কার্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। স্থান সংকুলান হলেও এরইমধ্যে ২শ’র মতো কর্মকর্তা-কর্মচারি নেওয়া হয়েছে এডহকে। এদের বেশিরভাগই জামায়াত-শিবিরের। আর রাজনৈতিক কোঠায় মন্ত্রী-এমপি, নেতাদের সুপারিশে নিয়োগ প্রাপ্তদের অনেকের বয়স ও শিক্ষাগত যোগ্যতায় মানা হয়নি সরকারি চাকুরী বিধি। সব ধরণের সমালোচনা এড়াতে সাংবাদিকদের তুষ্ট করারও চেষ্টা করা হচ্ছে। অথচ এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠমো নির্মাণ দূরে থাক, ভূমি অধিগ্রহণও হয়নি। প্রস্তাবনা পর্যায়ে রয়েছে নামকরণও। তার আগেই অনিয়ম-দুর্নীতি তকমা লেগেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। আলোর দ্যুতি ছড়ানোর আগেই কলঙ্কের তিলক নিয়ে যাত্রা করতে যাচ্ছে প্রস্তাবিত বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।

অস্থায়ী ক্যাম্পাস থেকেই অনিয়ম শুরু হওয়া প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যত যাত্রা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সিলেটবাসী। প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা দুই চৌধুরীর ভিসি ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. নঈমুল হক চৌধুরী এখন অনিয়মের কারণে সমালোচিত।ভিসি ডা. মোর্শেদ চৌধুরী সিলেটের প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক প্রয়াত দেওয়ান ফরিদ গাজীর জামাতা এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার নঈমুল হক চৌধুরী শাবি অফিসার্স ক্লাবের নির্বাচনে (২০১৮) সালে জামায়াত-বিএনপি প্যানেলে সদস্যপদে নির্বাচন করেন।এরইমধ্যে নিয়োগ বাণিজ্য হালাল করতে নেওয়া হয়েছে নিয়োগ পরিক্ষা। তাতে এডহকে নিয়োগপ্রাপ্ত পছন্দের লোকজনকে আগের রাতে প্রশ্নপত্র হাতে তুলে দেওয়ারও জোরালো অভিযোগ ওঠে।সূত্র জানায়, এডহকে চাকুরী দেওয়া লোকজনকে স্থায়ী করতে লোক দেখানো নিয়োগ পরিক্ষা নেওয়া হয়। নিয়োগপ্রাপ্তদের বৈধতা দিতে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের তৃতীয় সভার আয়োজন করা হয়। কিন্তু তার আগেই অনিয়মের বিষয়টি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন নামকরণের প্রস্তাবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হয় সিন্ডিকেট সভা। ওই সভায় প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন করে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব’ নামকরণের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।সূত্র আরো জানায়, আওয়ামী লীগ সমর্থিতদের অনেকের সুপারিশ অগ্রাহ্য করে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের কর্মকর্তা (সেকশন অফিসার) পদে নেওয়া হয়েছে। নীচের পদগুলোতে নেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য অঙ্গন থেকে সুপারিশকৃতদের।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর গ্রেনেড হামলা মামলার অন্যতম আসামী বহুল আলোচিত হারিছ চৌধুরীর আত্মীয় ও সাবেক শিবির নেতা বিলাল আহমদও চাকুরী পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। জামাত-শিবিরের সাবেক ও বর্তমান আরো ১৭ জন নেতাকর্মী প্রতিষ্ঠানের সাথে কর্মকর্তা কর্মচারী পদে যুক্ত হয়েছেন। আর সবকিছু হালাল করতে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার প্রক্রিয়াও রয়েছে অব্যাহত। মন্তব্য গ্রহণ করতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এমন ‘ম্যানেজ অফার’ শ্যামল সিলেটকেও দেওয়া হয়েছে।অস্থায়ী ক্যাম্পাসে প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম যথারীতি শুরু না হলেও প্রতিষ্ঠানে এরই মধ্যে নিয়োগ দেখানো হয়েছে ১৭৮ জনকে। স্থায়ী-অস্থায়ী ১৭৮ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মেধা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টি ছিল উপেক্ষিত। পুরোটাই সম্পন্ন হয়েছে দুর্নীতি এবং স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে। মন্ত্রী’র ডিও লেটার নিয়ে নিয়োগ পেয়েছেন কয়েকজন। নিয়োগ কার্যে আঞ্চলিকতার প্রভাবও ছিল বেশ লক্ষণীয়।নিয়োগ বাণিজ্যের এ দুই কূশীলব এরআগেও একবার সমালোচিত হয়েছিলেন গেল বছরের মার্চে।মুজিব শতবর্ষের শুরুতে প্রতিষ্ঠানের অস্থায়ী ক্যাম্পে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে জামায়াত সমর্থক ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার নঈমুল হক চৌধুরীকে সাথে নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ভিসি ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী। সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে সমালোচনা হয়।এবার নিয়োগবাণিজ্যে স্বজন ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন ছাড়াও একটি বিশেষ অঞ্চলের লোকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের নামে ঢাকার সেগুনবাগিচার ভিসির শ্বশুড়ের বাসা লিয়াঁজো অফিস হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে মোটা অংকের ভাড়া নেওয়া এই বাসাটির মালিক ডা. মোর্শেদ চৌধুরীর শ্যালক নাহিদ গাজী। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, লিয়াঁজো অফিসে কর্মকর্তা হিসেবেও নিয়োগ পেয়েছেন ভিসির শ্যালক নাহিদ গাজী ও তাঁর স্ত্রী অ্যাডভোকেট ফাহিমা আক্তার মনি। অবশ্য নাহিদ গাজী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে নিজের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি শ্যামল সিলেটের কাছে অস্বীকার করেছেন।

জানা গেছে, কয়েকটি ধাপে নিয়োগপ্রাপ্ত এই প্রতিষ্ঠানটির স্থায়ী এবং অস্থায়ী মিলে বর্তমান কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ১৭৮ জন। সম্প্রতি ওই প্রতিষ্ঠানের ১৯টি পদে স্থায়ী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলে বের হয়ে আসে থলের বিড়াল। আর তখনই আলোচনায় ফের উঠে আসে দুই চৌধুরীর নাম। কাড়িকাড়ি টাকার বদৌলতে নিয়োগ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর গ্রেণেড হামলার অন্যতম আসামী বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর আত্মীয় ও সাবেক শিবির নেতা বিলাল আহমদ। তিনি পেয়েছেন সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পদ। এখনেই শেষ নয়। সিলেট মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত সাবেক শিবির নেতাদের নামের তালিকা ও পদবীও উঠে এসেছে অনুসন্ধানে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার নঈমুল হক চৌধুরীর একাধিক আত্মীয়ের নাম রয়েছে এই তালিকায়। ভাগ্না রহমত আলী, মামাতো ভাই মোনাল চৌধুরী কে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর শাখার সদস্য আলমগীর, দেলোয়ার ও ফারুকী, সদর উপজেলা শিবিরের সাবেক নেতা সাফওয়ান আহমদ নিয়োগ পেয়েছেন।উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগ পেয়েছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) শিবিরের সাথী আশরাফ হোসেন। একই বিশ^বিদ্যালয়ের শিবির কর্মী বেলাল উদ্দিনকে সেকশন অফিসার করা হয়েছে।ভিসির শ^শুরবাড়ির আত্মীয় হিসেবে সহকারি পরিচালক (পরিকল্পনা) পদে নিয়োগ পেয়েছেন শাবি’র সাবেক শিবির কর্মী সারোয়ার আহমদ। প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পেয়েছেন শাহরিয়ার। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী আবুল হোসেনও সেকশন অফিসার পদে নিয়োগ পেয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হয়ে গেলেও তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরেননি। একই পদে ‘রাষ্ট্রপতির’ ‘ভুয়া’ আত্মীয় পরিচয়ে নিয়োগ পেয়েছেন শাবির সাবেক শিবির নেতা আশরাফুল আলম হিমেল।

একাধিক সূত্র জানায়, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও মেধা তালিকায় থাকা সত্বেও প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে শাবির সাবেক শিক্ষার্থী চাকুরী না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, দুই চৌধুরীর নিয়োগ বাণিজ্যের কাছে তার মেধা পরাজিত হয়েছে। টাকার বিনিময়ে তার স্থলে পছন্দের লোককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ‘জয় হয়েছে টাকার’। শাবির আরেক শিক্ষার্থী আওয়ামী লীগ নেতার সুপারিশ নিয়ে গেলেও তাকে চাকুরী দেওয়া হয়নি।প্রাতিষ্ঠানিক একচ্ছত্র আধিপত্যও রয়েছে নঈমুল হক চৌধুরীর। কোনো পদবী কিংবা নিয়োগপ্রাপ্ত না হলেও প্রায়ই অফিসে আসেন রেজিস্ট্রারের গুনধর ছেলে। ছেলের রয়েছে একটি বিশেষ সিন্ডিকেট। কর্মরত অধিকাংশ লোকজন ছেলেকে সমীহ করেন যথারীতি।

সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত তিনজন জানিয়েছেন, অধিকাংশ কর্মকর্তার যেখানে বসার জায়গা বা টেবিল নেই, সেখানে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের ছেলের অফিসের চেয়ার ব্যবহার নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে।বিষয়টি নিয়ে অনেকেই খেদোক্তি প্রকাশ করলেও প্রকাশ্যে কথা বলছেন না কেউই।একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে-বর্তমানে পুরো পরিবারসহ কানাডায় স্থায়ী হতে চেষ্টা করছেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার নঈমুল হক চৌধুরী।
এই যাত্রায় পিছিয়ে নেই ভিসি ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী। সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে নিজ আত্মীয় ও শ^শুরবাড়ি মিলিয়ে নিয়োগ দিয়েছেন অন্তত ১৯ জনকে। শ্যালকের স্ত্রী ফাহিমা আক্তার মনি নিয়োগ পেয়েছেন উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা-উন্নয়ন) পদে। বিশেষ দায়িত্বে রয়েছেন শ্যালক নাহিদ গাজীও।২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী সিলেট মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের প্রথম ভিসি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ দেখাতে ২২ অক্টোবর নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালে আবেদনকারীদের পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়।প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সেকশন অফিসার এই দুটি পদে নিয়োগ পরীক্ষায় ‘পছন্দের প্রার্থীদের’ হাতে আগেই প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। এদের মধ্যে সেকশন অফিসার পদে আটজন এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে ৯ জন স্থায়ী নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পেয়েছেন-এমন গুঞ্জন রয়েছে।

মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র তৈরীতে চিকিৎসকদের জড়িত থাকার কথা থাকলেও সিলেট মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ে প্রশ্নপত্রের মূল দায়িত্বে ছিলেন মামা-ভাগনা। মামা হলেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার নঈমুল হক চৌধুরী এবং ভাগনা একই বিশ^বিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা রহমত আলী।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোনো ধরনের পাঠদান বা দাপ্তরিক কার্যক্রমের চাহিদা ছাড়া বিপুলসংখ্যক নিয়োগদান অপ্রয়োজনীয়।
সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের লিয়াঁজো অফিস হিসেবে ভাড়া নেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির শ্যালক নাহিদ গাজীর সেগুনবাগিচাস্থ বাসা।
সত্যতা জানতে চাইলে বাসার মালিক নাহিদ গাজী বাসা ভাড়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, লিয়াঁজো অফিস নয়-বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গেস্ট হাউস’ হিসেবে এটি ভাড়া দেওয়া হয়েছে। মাসিক কতো টাকা ভাড়া দেওয়া হচ্ছে-এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যেহেতু ভাড়া প্রক্রিয়াটির সাথে আমি যুক্ত নই, তাই বিষয়টি আমার জানা নেই।’প্রতিষ্ঠানে উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা-উন্নয়ন) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ভিসি অধ্যক্ষ ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরীর শ্যালক নাহিদ গাজির স্ত্রী ফাহিমা আক্তার মনি। মন্তব্য জানতে চাইলে তাঁর ব্যক্তিগত সেলফোনে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে মোবাইল ফোনে তিনি জুম মিটিংয়ে আছেন বলে ক্ষুদেবার্তা প্রেরণ করেন।নিয়োগ বাণিজ্যে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি এবং শিবিরপ্রীতির বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যক্ষ ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী শ্যামল সিলেটকে জানান, শিবিরপ্রীতির বিষয়টি জানা নেই। লিয়াঁজো অফিস নয়, গেস্ট হাউস হিসেবে সেগুনবাগিচাস্থ শ্যালক নাহিদ গাজীর বাসাটি ২৯ হাজার টাকায় মাসিক ভাড়া হিসেবে নেওয়া হয়েছে। গেস্ট হাউস দেখভালের দায়িত্বে ৪ জন স্টাফ রয়েছেন বলেও জানান ভিসি। এক প্রশ্নের জবাবে ভিসি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়েছে।

You might also like