যুক্তরাজ্যে সেরা শেফ ও রেস্তোরাঁ মালিকদের সম্মাননা জানালো কারি লাইফ

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

লন্ডন: নান্দনিক আয়োজনে যুক্তরাজ্যের বাছাই করা সেরা শেফ ও রেস্তোরাঁ মালিকদের সম্মাননা দিয়েছে ‘কারি লাইফ মিডিয়া গ্রুপ’।

রোববার সেন্ট্রাল লন্ডনের লন্ডন ম্যারিয়োট হোটেলের ওয়েস্টমিন্সটার বলরুমে এটি ছিলো ‘কারি লাইফ অ্যাওয়ার্ডস ও গালা ডিনার’ এর ১৪তম আয়োজন।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এবার পাঁচটি বিভাগে মোট ৪৪টি সম্মাননা দেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে কারি লাইফ এডিটর চয়েস রেস্টুরেন্টস অ্যাওয়ার্ডস, কারি লাইফ বেস্ট রেস্টুরেন্ট অ্যাওয়ার্ডস, কারি লাইফ বেস্ট শেফ অব দ্য ইয়ার, বেস্ট টেকওয়ে অব দ্য ইয়ার এবং কারি লাইফ রেকমেন্ডেড রেস্টুরেন্ট ২০২৩।

মঞ্চে আয়োজনের শুরুতে অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দেন কারি লাইফ ম্যাগাজিনের প্রধান সম্পাদক সৈয়দ নাহাস পাশা।

আইটিভির সংবাদপাঠক লুকরেসিয়া মিলারিনির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথিদের মধ্যে ছিলেন কনফেডারেশন অব ব্রিটিশ ইন্ডাস্ট্রিজের (সিবিআই) সাবেক প্রেসিডেন্ট ও হাউজ অব লর্ডসের সদস্য লর্ড করন বিলিমোরিয়া, লন্ডন বিষয়ক উপমন্ত্রী টেক ও ডিজিটাল ইকোনোমি বিষয়ক পার্লামেন্টারি আন্ডার সেক্রেটারি পল স্কালি, ওয়ার্থিং ওয়েস্টের সাংসদ ফাদার অব দ্য হাউস অব কমন্স পিটার বোটোমলি, সেন্ট অস্টেল অ্যান্ড নিউ কি আসনের সাংসদ জুনিয়র লর্ড কমিশনার স্টিভ ডাবল এবং শ্যাডো ইনভেস্টমেন্ট ও স্মল বিজনেস মন্ত্রী বেথনাল গ্রিন বো আসনের সাংসদ রুশনারা আলী।

বক্তব্য রাখছেন কারি লাইফ প্রধান সম্পাদক সৈয়দ নাহাস পাশা

সৈয়দ নাহাস পাশা জানান, তিনি ও তার ভাই সৈয়দ বেলাল আহমদ ৭০ দশকে যুক্তরাজ্যে আসার পর কারির প্রতি ব্রিটিশদের আগ্রহের মাত্রা দেখে অবাক হয়েছিলেন। ভারতীয় উপমহাদেশের বাইরে কারির এই নতুন আবাস খুঁজে পাওয়ার বিষয়টিকে তারা উদযাপন ও সামনে এগিয়ে নেওয়ার ইচ্ছে থেকে দুই ভাই মিলে ২০ বছর আগে কারি লাইফ ম্যাগাজিন শুরু করেন। তারপর ২০০৯ সালে শুরু করেন ‘কারি লাইফ অ্যাওয়ার্ডস’।

যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে বছরে প্রায় ৪ বিলিয়ন পাউন্ডের অবদান রাখে কারি ইন্ডাস্ট্রি। এখন ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলংকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ ব্রিটিশ কারির কদর করেন বলে জানান সৈয়দ নাহাস পাশা।

রেস্টুরেন্টগুলোর বিজনেস রেইট কমাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে কোবরা বিয়ারের মালিক করন বিলিমোরিয়া বলেন, “রেস্টুরেন্ট পরিচালনা কেবল একটি ব্যবসা নয়, এটি নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বাহন। আবার অনেকের কাছে এটি পারিবারিক ঐতিহ্য।”

বিলিমোরিয়া জানান, ব্রিটেনের অর্থনীতি ষষ্ঠ অবস্থানে হতো না অভিবাসীদের অবদান ছাড়া। তিনি অভিবাসীর সংখ্যা বেড়ে গেছে বলে ‘নেতিবাচক প্রচারণা’ বন্ধ এবং রেস্টুরেন্ট-হসপিটালিটি খাতে কর্মী সংকটের দিকে নজর দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রায় পাঁচ শতাধিক অতিথির এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ রাজনীতিক, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ব্যক্তিরা। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন কারি ইন্ডাস্ট্রির নেতা, রেস্তোরাঁ মালিক ও শেফরা। উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানের প্রধান স্পন্সর ‘জাস্ট ইট’-এর প্রতিনিধি মাট হপার।

 

 

You might also like