লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে হাত-পা বেঁধে এক সন্তানের জননীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।অভিযুক্তরা হলেন- ভুক্তভোগীর ননদের জামাই জামাল আহমেদ এবং তার সহযোগী আশরাফ ও নুর ইসলাম।সোমবার সেহরির সময়ে উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড দক্ষিণ টুমচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।ঘটনার সঠিক তদন্ত করে বিচার দাবি করেছেন স্থানীয়রা।

জানা যায়, ভুক্তভোগী সোমবার সেহরির সময়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বসতঘরের বাইরে বাথরুমে যান।এ সময় কিছু বুঝে ওঠার আগে দুই ব্যক্তি তাকে জাপটে ধরে নির্জন একটি জায়গায় নিয়ে যান।পরে হাত-পা ও মুখ বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে ধর্ষকরা তাকে রেখে চলে যান। জ্ঞান ফেরার পর চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে ভুক্তভোগীকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করেন।ওই নারীকে উদ্ধার করা একাধিক নারী জানান, ভোররাতে সেহরি খাওয়ার কিছু সময় পর ভুক্তভোগীর চিৎকার শুনে এগিয়ে যান তারা।এ সময় তাকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ভুক্তভোগী তাদের জানান, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গেলে জামালসহ অপরিচিত চার থেকে পাঁচজন মিলে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করেছে।

ভুক্তভোগী নারী জানান, তার বাড়ি সিলেট জেলায়। ওই এলাকার স্থানীয় এক ব্যক্তির সঙ্গে দুই বছর আগে তার বিয়ে হয়। এক সন্তান নিয়ে সুখেই কাটছে তাদের সংসার। বিয়ের কিছুদিন পর পাশের গ্রামে ননদের বাড়িতে বেড়াতে যান তিনি। সেখানে ননদের জামাই জামাল আহমেদ তাকে কুপ্রস্তাব দেয়। এ নিয়ে পারিবারিকভাবে বিবাদ চলে আসার কয়েক মাস পর জামাল তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে বিচার দাবি করলে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও নিজে আওয়ামী লীগের নেতা এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পার পেয়ে যায় জামাল। আগের ক্ষোভ থেকে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে গণধর্ষণের এ ঘটনা ঘটিয়েছে জামাল।রামগতি থানার ওসি মো. কবির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে যুগান্তরকে জানান, বিষয়টি গণধর্ষণ নয়। ভুক্তভোগীকে তার ননদের জামাই জামাল ধর্ষণ করেছে।এ ঘটনায় আশরাফ ও নুর ইসলাম নামের দুজন ধর্ষণে তাকে সহযোগিতা করেছে। ভুক্তভোগী নারী জামালকে প্রধান করে আরও ৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে এজাহার দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।

You might also like