সিজন অব বাংলা ড্রামা’ শুরু হচ্ছে ১ নভেম্বর

বিলাতের মাটিতে বাংলা সংস্কৃতি চর্চার  উজ্জ্বল আয়োজন

হামিদ মোহাম্মদ
অতিথি করেসপন্ডেন্ট, সত্যবাণী

লন্ডন, ২১ অক্টোবর: লন্ডনে সিজন অব বাংলা ড্রামাবা বাংলা নাট্যোতসব শুরু হচ্ছে ১ নভেম্বর। পূর্ব লন্ডনের হ্যানবারী স্ট্রিটের ব্রাডি আর্টস সেন্টারে উদ্বোধন হবে এদিন সন্ধ্যা ৭টায়। উদ্ধোধনী সন্ধ্যায় মঞ্চশৈলীর উপস্থাপনায় রয়েছে দ্যা থিপ অব হোয়াইট চ্যাপেলনাটক। মাসব্যাপী আয়োজনে প্রায় প্রতিদিন রয়েছে  নাটকসহ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। বিলাতের মাটিতে বাংলা সাংস্কৃতিক চর্চার  উজ্জ্বল এ আয়োজন ১ নভেম্বর থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।

প্রতি বছর শীত মৌসুম শুরু হতেই মাসব্যাপী এ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বাঙালিপাড়া প্রতি বছর মুখর হয়ে ওঠে। কর্মচঞ্চল জীবনের ফাঁকে বাঙালিরা এ সময়  উপভোগ করেন সৃজনশীল বিচিত্র আয়োজন।

জানা গেছে, লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস বারার উদ্যোগে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বাংলা নাট্যোতসবে থাকছে নাটক, সেমিনার, আলোচনা,গল্পবলা, ওয়ার্কসপ,চিত্রপ্রদর্শনী, নৃত্য,নৃত্যনাট্য বিতর্কসহ নানা সাংস্কৃতিক কর্মসূচী। এতে অংশ নিচ্ছে মঞ্চশৈলী, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র ইউকে, মুক্তমঞ্চ, বাংলা মূভমেন্ট থিয়েটার, কুইন অব আর্টস থিয়েটার কোম্পানি, অদিতি ডান্স সিআইসি, থিয়েটার শৈশব, দক্ষিণায়ন ইউকে, সুরবন্ধন, রোকেয়া প্রজেক্ট, ম্যাসেজ কালচারাল গ্রæ, আয়না আর্টস, পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইন্সটিটিউট, আবিনা গ্যালারী অব ফাইন আটর্স, সেন্টার স্টেইজ, মহিলা অঙ্গন, ব্রিটিশ বাইল্যাঙ্গুয়েল পয়েট্রি কালেক্টিভ, সৌধ সোসাইটি অব পয়েট্রি এন্ড ইন্ডিয়ান মিউজিক, স্বাধীনতা ট্রাস্ট, দিদেলাস  থিয়েটার কোম্পানি, ব্রিট বাংলাসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান।

বৈচিত্রপূর্ণ এসব পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হবে টাওয়ার হ্যামলেটসের বিভিন্ন হল ও সাংস্কৃতিক  কেন্দ্রের মধ্যে হ্যানবারী স্ট্রিটের ব্রাডি আর্টস সেন্টার, বেথনাল গ্রীনের  রিচমিক্স, মাই ল্যান্ডের ক্লিনটন রোডের আর্ট প্যাভেলিয়ান, হ্যানবারী স্ট্রিটের কবি নজরুল সেন্টার, মাই ল্যান্ডের গ্রোভ রোডের ইকোলজি প্যাভেলিয়ান, মাই ল্যাণ্ড রোডের আর্টস ওয়ান, বো রোডের রুট, ওল্ডফোর্ড রোডের সেন্ট মার্গারেটস ও টাওয়ার অব লন্ডনের হলে।

উল্লেখ্য, ২০০৩ সাল হতে বাঙালি অধ্যূষিত পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস বারা এই সাংস্কৃতিক আয়োজন করে আসছে। বিলাতে বাঙালির অভিবাসন যাত্রায় এ ধরনের আয়োজন বাংলা সংস্কৃতিচর্চা ও বিকাশে গত ২১ বছর ধরে এক ঐতিহাসিক সাংস্কৃতিক অভিযাত্রা হিসাবে উজ্জ্বল ভূমিকা  রেখে আসছে।

You might also like