মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে লন্ডনের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা নিবেদন
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
লন্ডনঃ বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস পালন উপলক্ষে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল আহাদ চৌধুরীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ,ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা লন্ডনের আলতাফ আলী পার্কের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ১৬ ই ডিসেম্বর সোমবার প্রথম প্রহরে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেছেন।এসময় যুক্তরাজ্য যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল আহমদ খান, লন্ডন আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন, যুক্তরাজ্য যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদ আলী, যুক্ত রাজ্য স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলিম উদ্দিন ফয়সল, সাউথ লন্ডন যুবলীগের সভাপতি মোজাহিদ আহমদ লিটন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আলা উদ্দিন, যুক্তরাজ্য যুবলীগনেতা সালেহ আহমদ, যুক্তরাজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সরোয়ার কবির, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম,নিউহ্যাম আওয়ামী লীগ নেতা কাজী জাফর,ও ছাত্র নেতা ইমরুল সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ফুলেল শ্রদ্ধাশেষে লন্ডনের আলতাফ আলী পার্কের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সভায় যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল আহাদ চৌধুরী বলেন বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একসূত্রে গাঁথা, একটি অন্যটির পরিপূরক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস রচনা করা যাবে না। যে মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি মহান বিজয় অর্জন করেছে সেটার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালির প্রাণের প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সমগ্র বাঙালি জাতির মুক্তির স্পিরিটকে ধারণ করেছিল এবং মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছিল। বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরবজ্জ্বল অর্জন চির আকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। সেই স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সমগ্র জাতি যে চেতনার শক্তিতে বলীয়ান হয়েছিল স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর মহান মুক্তিযুদ্ধের সেই চেতনা ও আদর্শ আজ সংকটের সম্মুখীন। বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতির পতাকা খামছে ধরেছে পুরনো শকুনেরা। অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূসের নেতৃত্বে সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে দমিত করার অপচেষ্টার মধ্য দিয়ে বাঙালির সম্মিলিত শক্তি ও সামর্থ্যকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করছে। আজ বাংলাদেশে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ, সংবিধান দিবস এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত দিবস অর্থাৎ জাতীয় শোক দিবস রাষ্ট্রীয় আচার থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যে রণধ্বনি বাঙালি মায়ের বীর সন্তানদের দেশমাতৃকাকে মুক্ত করার জন্য জীবন বাজি রাখতে নির্ভীক করে তুলেছিল সেই ‘জয় বাংলা’-কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হাইকোর্টের রায়ও স্থগিত করা হয়েছে। এ সকল হীন ও ঘৃণিত পদক্ষেপ শুধু রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে তা নয়, এটা সুস্পষ্টভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের ইতিহাসের প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষ থেকে করা হচ্ছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের চিন্তাশীল ও প্রগতিশীল মানুষরাও (মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি যাদের অনুরাগ রয়েছে) এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। ফলে আজ সমগ্র বাংলাদেশের শহর, নগর,বন্দর ও হাট-বাজারের প্রতিটি দেয়াল ও খাম্বায় প্রজ্জ্বলিত নক্ষত্রের মতো দ্যুতি ছড়াচ্ছে ‘জয় বাংলা’ শব্দবন্ধ। ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকারের নিয়ন্ত্রিত সীমানার চৌহদ্দি পেরিয়ে কান পাতলেই বাতাসের তরঙ্গে ভেসে আসছে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার প্রতি বাঙালির নির্ভেজাল আবেগের কারণেই সমগ্র জাতির চেতনার অন্দরমহলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও গল্পের পুনর্পাঠ শুরু হয়েছে। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এই চেতনা ও ইতিহাসের উপর রাষ্ট্রীয় মদদে যত আঘাত করবে সমগ্র জাতি আটপৌরেভাবে তার সঙ্গে তত গাঁটছড়া বাধবে। এ দেশের মানুষ সকল সংকটময় মুহূর্তে প্রতিবাদ-প্রতিরোধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে শক্তি ও সাহস জুগিয়ে হয়ে উঠেছে অপ্রতিরোধ্য। অদূর ভবিষ্যতের দিনগুলোতেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দেশপ্রেমিক জনগণ অব্যর্থ প্রয়াসের মাধ্যমে দেশবিরোধী অপশক্তির সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে বলে আমরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। মহান বিজয় দিবস জাতির অহংকার এ বিজয়কে সমুন্নত রাখবো এই হোক বিজয় দিবসে আমাদের দীপ্ত শপথ।