পর্তুগালে জাতীয় নির্বাচন ৩০ জানুয়ারি
শাহ মোহাম্মদ তানভীর
সত্যবাণী
পর্তুগাল থেকেঃ আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্তুগালের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি মার্সেলো রেবেলো ডি সজা বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচনের এই তারিখ ঘোষণা করেন।উল্লেখ্য গত সপ্তাহে সংসদে দেশটির ২০২২ সালের বাজেট উপস্থাপন করা হয়। সংসদে বাজেট অনুমোদন সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।পর্তুগালের সংবিধান অনুযায়ী এখন বাজেট অনুমোদন করতে হলে নতুন সরকার গঠন করতে হবে।ফলে দেশের প্রধান হিসেবে রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হয়েছে ।উল্লেখ্য ২০১৫ ও ২০১৯ সালে পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী আন্তোানিও কস্তার সরকার ক্ষমতায় আসে।এদিকে বাজেট অনুমোদন না হওয়ায় এটিকে সরকারি দলের একটি বড় পরাজয় হিসেবে দেখছেন দেশটির জনসাধারন।
এর আগে গত বুধবার পর্তুগালের অর্থমন্ত্রী পেড্রো সিজা ভিয়েরা গনমাধ্যমকে বলেন,এই অচলাবস্থার অবসান ঘটানোর জন্য একটি দ্রুত নির্বাচনকে সর্বোত্তম বিকল্প বলে মনে হচ্ছে।গত ছয় বছর ধরে পর্তুগালে বেশ ভালোভাবেই সোশ্যালিস্ট কোস্টা সরকার চালাচ্ছিল।কোস্টার সাবেক শরিকেরা রক্ষণশীলদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাজেট বিলের বিপক্ষে ভোট দেয়।এই বাজেট বিলে মধ্যবিত্তের জন্য আয়কর কমানো এবং করোনা-পরবর্তী সময়ে সরকারি বিনিয়োগ বাড়ানোর কথা বলা হয়েছিল। বাজেটে ঘাটতি কমিয়ে ৩ দশমিক ২ শতাংশ করার কথা বলা হয়েছিল।বামপন্থী পার্লামেন্ট সদস্যরা বলেছেন, সরকার ঘাটতি কমানোর ওপরেই সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছিল। শ্রমিক সুরক্ষার দিকটা অবহেলিত ছিল।সামাজিক সুরক্ষার কোনো উন্নতি ঘটানো হয়নি। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সরকারি বিনিয়োগ বাড়ানো হয়নিৃ।