“ইকুয়েটোরিয়াল গিনি” বাংলাদেশিদের জন্য সম্ভাবনাময় একটি দেশ
কবির আল মাহমুদ
সত্যবাণী
মাদ্রিদ,স্পেন থেকেঃ আফ্রিকা মহাদেশের ক্ষুদ্রতম দেশ ইকুয়েটোরিয়াল গিনি অভিবাসীদের জন্য নতুন সম্ভাবনাময় একটি দেশ। রাষ্ট্রপতি শাসিত দেশটির জনগনের মাথাপিছু আয় ১৭,০০০ মার্কিন ডলার যা আফ্রিকা মহাদেশে সর্বোচ্চ।দেশটির আয়তন ২৮০৫১ বঃকিঃমিঃ। উন্নত এই দেশটিতে বিভিন্ন খাতে দক্ষ প্রবাসী বাংলাদেশীদের চাকুরীর যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। ফ্রান্স-স্পেনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের পাশাপাশি বর্তমানে প্রায় দুইশত বাংলাদেশী এখানে বিভিন্ন পেশায় কর্মরত রয়েছে।সম্ভাবনাময় নতুন এই দেশটিতে সোমবার (৪এপ্রিল ২০২২) স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ, এনডিসি এন্ডোরা ও ইকুয়েটোরিয়াল গিনিতে সমবর্তি দায়িত্বে নিযুক্ত হয়েছেন। আগামী ৭ই এপ্রিল ইকুয়েটোরিয়াল গিনির রাষ্ট্রপতি থিয়ডোরো অবিআং এনগুয়েমা-এর নিকট রাষ্ট্রদূত তার পরিচয়পত্র পেশ করার জন্য বর্তমান দেশটির রাজধানী মালাবোতে রয়েছেন।
এদিকে বাংলাদেশের কোন রাষ্ট্রদূত সর্বপ্রথম ইকুয়েটোরিয়াল গিনি সফর করায় মালাবোতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়ে যায়। তারা সোমবার (৪ এপ্রিল) রাতে দেশটির রাজধানী মালাবোতে স্থানীয় একটি হোটেলে রাষ্ট্রদূত সারওয়ার মাহমুদ ইকুয়েটোরিয়াল গিনি প্রবাসী বাংলাদেশীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।সভায় প্রবাসীরা জানান, পশ্চিম আফ্রিকায় অবস্থিত এ দেশটিতে প্রবাসী বাংলাদেশীরা বিভিন্ন কোম্পানিতে ফাইন্যন্স ম্যনেজার, আইটি এক্সপার্ট, শিপিং এজেন্টসহ অন্যান্ন পেশায় অত্যন্ত সুনামের সাথে উচ্চ বেতনে কাজ করছেন। প্রবাসীরা আনন্দচিত্তে জানান যে তাদের কর্মদক্ষাতা, নিষ্ঠা ও দায়িত্ববোধ কোম্পানীগুলোকে আরো অধিক সংখ্যক বাংলাদেশী দক্ষ্য কর্মী নিয়োগ দানে আকৃষ্ট হচ্ছে। অপেক্ষাকৃত ভাল বেতন, চাকুরির মর্যাদা ও সামাজিক নিরাপত্তা বিবেচনায় বর্তমানে কর্মরত প্রবাসীদের অধিকাংশই প্রতিবেশী দেশ ক্যমেরুন, গ্যাবন, বেনিন, বুর্কিনাফাসো থেকে এমনকি সুদুর স্পেন, ফ্রান্স থেকেও এখানে পাড়ি জমিয়েছেন। এখানে কাজ করে তারা অত্যন্ত খুশী যে তারা নিয়মিতভাবে দেশে পরিবারের নিকট রেমিট্যান্স প্রেরণ করতে পারছেন।
তারা আরো জানান, বাংলাদেশে এয়ারপোর্টসহ বিভিন্ন পর্যায়ে নানা হয়রানি থাকা সত্বেও গত ছয় মাসে ১৫-২০ জন বাংলাদেশী এদেশে বিভিন্ন কোম্পানিতে উচ্চ বেতনের চাকুরীতে যোগদান করেছে। বর্তমানে প্রায় দুইশ জন প্রবাসী বাংলাদেশী এখানে বিভিন্ন পেশায় উচ্চ বেতনে কর্মরত রয়েছে।এখানে উল্লেক্ষ্য ইকুয়েটোরিয়াল গিনি আফ্রিকা মহাদেশের ক্ষুদ্রতম দেশ যা দীর্ঘ ১৯০ বছরের স্প্যানিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে ১৯৬৮ সালে স্বাধীনতা অর্জন করে। রাষ্ট্রপতি শাসিত দেশটির জনগনের মাথাপিছু আয় ১৭,০০০ মার্কিন ডলার যা আফ্রিকা মহাদেশে সর্বোচ্চ। দেশটির আয়তন ২৮০৫১ বঃকিঃমিঃ। দেশটিতে সেবাখাতে স্প্যানিশ ভাষা জানা দক্ষ প্রবাসী বাংলাদেশীদের চাকুরীর যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।রাষ্ট্রদূত সারোয়ার মাহমুদ মাদ্রিদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে ইকুয়েটোরিয়াল গিনি প্রবাসী বাংলাদেশীদেরকে অনলাইনে কনস্যুলার সেবাসহ যে কোন সেবা অগ্রাধিকারভিত্তিতে প্রদানের আশ্বাস দেন। ইকুয়েটোরিয়াল গিনিতে আগমনে চাকুরী প্রত্যাশী প্রত্যেক বাংলাদেশীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য রাষ্ট্রদূত বংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়সহ ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করার আশ্বাস দেন।