ইউএনও’র ওপর হামলা : ২ আসা‌মির ৭ দি‌নের রিমান্ড

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

দিনাজপুর: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি আসাদুল ইসলামের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বিচারক।রোববার (০৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দিনাজপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আমলি আদালত-৭) মনিরুজ্জামান সরকারের আদালতে আসাদুল ইসলামকে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে তার সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় আসাদুলকে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশে হস্তান্তর করে র‌্যাব। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে আসাদুলকে দিনাজপুর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ।দিনাজপুর ডিবি পুলিশের ওসি ইমাম জাফর বলেন, অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসাদুল ইসলামের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলাম। বিচারক সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলাটি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি।ইমাম জাফর বলেন, এটি চুরির মামলার রিমান্ড নয়; যাবতীয় বিষয়গুলো জানার জন্য তাকে রিমান্ড নেয়া হয়েছে। আশা করছি রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেবে আসাদুল ইসলাম।শনিবার একই মামলার অপর আসামি রঙমিস্ত্রি নবিরুল ইসলাম ও সান্টু রায়ের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন দিনাজপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিশির কুমার বসু। রোববার সকাল থেকে নবিরুল ও সান্টু রিমান্ড শুরু হয়েছে।

গত বুধবার রাতে সরকারি ভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙে বাসায় ঢুকে ইউএনও ওয়াহিদা ও তার বাবার ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় ইউএনওর মাথায় গুরুতর আঘাত এবং তার বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়।পরে ইউএনওকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হয়। তিনি বর্তমানে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।এ হামলার ঘটনায় ইউএনও ওয়াহিদার ভাই শেখ ফরিদ বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ঘোড়াঘাট থানায় মামলা করেন। একই সঙ্গে ঘটনা তদন্তে বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) জাকির হোসেনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল ওয়াহাব।

You might also like