মেরী ক্রীস্টমাসঃ পাতা ঝরে,আলো জ্বলে

সুশান্ত দাস (প্রশান্ত)

ভাটির হাওরের পৌষসংক্রান্তি,শহরে দুর্গাপূজা কিংবা রোজার ইফতারি ও ঈদ আনন্দ ছাড়া খ্রীস্টমাসের আমেজ পাশ্চাত্যে পা না রাখলে হয়তো উপলব্দি করা যেতো না। ছোটবেলা হতে বই পুস্তকে বড়দিন পড়ে আসলেও বাস্তবতায় তার তেমন একটা উপলব্দি হয়ে ওঠেনি। 

২০০৯ সাল,পাশ্চাত্যের মিশ্র সংস্কৃতিতে সবেমাত্র পা রাখা। প্র্যাকটেক্যালি ক্রিস্টমাস উদযাপনের সাথে নব্য পরিচয়। কাজ ছিল একটি গল্ফ-ক্লাবে। শ’খানেক জনের স্টাফে তিন/চার জন বাঙালি ছাড়া প্রায় সবাই খ্রিস্টমাস উদযাপন সভ্যতায় অব্যস্ত। আমাদের তিন/চার জনের মাঝে আবার কারো কারো প্রচন্ড ধর্মানুভুতিও ছিল! খ্রিস্টামাস দিনেও মেরী খ্রিস্টমাস বলতে চাইতো না ,বলতো হেপী খ্রীস্টমাস। খ্রীস্টমাস ডে ২৫ ডিসেম্বর এবং খ্রিস্টমাস ইভ ( ইভেনিং/সন্ধ্যা) ২৪ ডিসেম্বর হলে প্রোগ্রামের খাওয়ার ধূমধূমানি শুরু দেখেছি প্রায় নভেম্বর শেষ সপ্তাহ হতে। আবার কেউ কেউ দেখেছি খ্রীস্টমাস-ডে পরে থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপনের মাধ্যমে নিউইয়ারকে সুস্বাগতম জানায়। খ্রিস্টমাস পার্টিতে কার্ড দিয়ে যেমন নিমন্ত্রন জানানো হয় অপরদিকে কার্ড দিয়ে আবার আশীর্বাদও জানানো হয় সেই সাথে ইংরেজি নতুন বর্ষকে সুস্বাগতমও জানানো হয়। 

খ্রিষ্টমাস কার্ড হল এক প্রকারের চিত্রিত শুভেচ্ছাবার্তা। সাধারণত বড়দিনের পূর্বের সপ্তাহগুলিতে বন্ধুবান্ধব ও পারিবারিক সদস্যদের মধ্যে খ্রিষ্টমাস কার্ড আদানপ্রদান চলে।  চিরাচরিত শুভেচ্ছাবার্তার বাণীটি হল “পবিত্র খ্রিষ্টমাস ও শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন” (“wishing you a Merry Christmas and a Happy New Year”)। ১৮৪৩ সালে লন্ডন থেকে প্রকাশিত স্যার হেনরি কোল নির্মিত প্রথম বাণিজ্যিক খ্রিস্টমাস কার্ডের বাণীটিও এই প্রকারই ছিল। যদিও এই শুভেচ্ছাবার্তা রচনার বহুতর পন্থা বিদ্যমান। অনেক কার্ডে একদিকে যেমন ধর্মীয় অনুভূতি, কবিতা, প্রার্থনা বা বাইবেলের স্তব স্থান পায়, তেমনই অন্যদিকে “সিজন’স গ্রিটিংস”-এর মতো কার্ডগুলি ধর্মীয় চেতনার বাইরে সামগ্রিক ধর্মনিরপেক্ষ চেতনার প্রতিফলন ঘটতে দেখা যায়। ধর্মনিরপেক্ষ বিষয়কেন্দ্রিক কার্ডগুলিতে খ্রিস্টমাস সংস্কারের নানা দৃশ্য, সান্টাক্লজ প্রভৃতি খ্রিষ্টমাস চরিত্র, বা বড়দিনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত মোমবাতি, হলি ও বাবল, শীত ঋতুর নানা চিত্র, খ্রিষ্টমাসের নানা প্রমোদানুষ্ঠান, তুষারদৃশ্য ও উত্তরদেশীয় শীতের জন্তুজানোয়ারের ছবি স্থান পায়। এছাড়াও পাওয়া যায় হাস্যরসাত্মক কার্ড এবং ঊনবিংশ শতাব্দীর পথেঘাটে ক্রিনোলাইন দোকানদারদের চিত্রসংবলিত নস্টালজিক কার্ডও।

ইংরেজি খ্রিস্টমাস (Christmas) শব্দটি “ খ্রিস্টের মাস(উৎসব)” শব্দবন্ধটির যুগ্ম অর্থ থেকে উৎসারিত। শব্দটির ব্যুৎপত্তি ঘটে মধ্য ইংরেজী Christemasse ও 

আদি ইংরেজী Cristes mæsse শব্দ থেকে। শেষোক্ত শব্দটির প্রাচীনতম উল্লেখ পাওয়া যায় ১০৩৮ সালের একটি রচনায়। “Cristes” শব্দটি আবার গ্রিক Christos এবং “mæsse” শব্দটি লাতিন missa (পবিত্র উৎসব) শব্দ থেকে উদগত। প্রাচীন গ্রীক ভাষায়  X(চিহ্ন) হল Christ বা খ্রিষ্ট শব্দের প্রথম অক্ষর। এই অক্ষরটি লাতিন অক্ষর X-এর সমরূপ। ষোড়শ শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকে তাই এই অক্ষরটি খ্রিষ্ট শব্দের নামসংক্ষেপ হিসেবে ব্যবহৃত হতে শুরু হয়। এই কারণে খ্রিষ্টমাসের নামসংক্ষেপ হিসেবে এক্সমাস কথাটি চালু হয়। 

সারা বিশ্বে, সাংস্কৃতিক ও জাতীয় ঐতিহ্যগত পার্থক্যের পরিপ্রেক্ষিতে বড়দিন উৎসব উদযাপনের রূপটিও ভিন্ন হয়ে থাকে। বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্রেই খ্রীস্টমাস ডে বা বড়দিন একটি প্রধান উৎসব; যা সরকারি ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয়। এমনকি অ-খ্রিষ্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ কয়েকটি দেশেও মহাসমারোহে বড়দিন উদযাপিত হতে দেখা যায়। এই সব দেশে উপহার প্রদান, সাজসজ্জা, ও বড়দিনের বৃক্ষের মতো বড়দিনের ধর্মনিরপেক্ষ দিকগুলি গৃহীত হয়েছে। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে সম্পূর্ণ ধর্মনিরপেক্ষ খ্রিষ্টমাস ঋতুসঙ্গীতের উদ্ভব ঘটে। ১৭৮৪ সালে রচিত হয় “ডেক দ্য হলস”। ইংরেজি ভাষায় প্রথম খ্রিষ্টমাস ক্যারোল পাওয়া যায় শ্রপশায়ারের চ্যাপলেইন জন অডেলের রচনায়। তাঁর তালিকাভুক্ত পঁচিশটি “ক্যারোলস অফ ক্রিসমাস” ওয়েসেলারদের দল বাড়ি বাড়ি ঘুরে গেয়ে শোনাত। যে গানগুলিকে আমরা খ্রিষ্টমাস ক্যারোল বলে জানি, আসলে সেগুলি ছিল বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকসংগীত। বড়দিন ছাড়াও “হারভেস্ট টাইড” উৎসবেও সেগুলি গাওয়া হত।

পশ্চিমা বিশ্বে ধর্মনিরপেক্ষ বা ধর্মীয় খ্রিষ্টমাস মোটিফ সহ উজ্জ্বল-রঙা রোলকরা কাগজ উৎপাদিত হয় উপহারের মোড়ক হিসেবে ব্যবহারের জন্য। এই মরসুমে অনেক গৃহে খ্রীস্টমাস গ্রামের দৃশ্যরচনার প্রথাও লক্ষিত হয়। অন্যান্য প্রথাগত সাজসজ্জার অঙ্গ হল ঘন্টা,মোমবাতি,ক্যান্ডি ক্যান,মোজা,রিদ ও স্বর্গদূতগণ। প্রাক-খ্রিষ্টীয় যুগে, রোমান সাম্রাজ্যের অধিবাসী শীতকালে চিরহরিৎ বৃক্ষের শাখাপ্রশাখা বাড়ির ভিতরে এনে সাজাত। খ্রিষ্টানরা এই জাতীয় প্রথাগুলিকে তাদের সৃজ্যমান রীতিনীতির মধ্যে স্থান দেয়। পঞ্চদশ শতাব্দীর লন্ডনের একটি লিখিত বর্ণনা থেকে জানা যায়, এই সময়কার প্রথানুসারে বড়দিন উপলক্ষে প্রতিটি বাড়ি ও সকল গ্রামীণ গির্জা ” হোম, আইভি ও বে “ এবং বছরের সেই মরসুমের যা কিছু সবুজ, তাই দিয়েই সুসজ্জিত করে তোলা হত।

২৫ ডিসেম্বর বড়দিন বা ক্রিসমাস ডে হচ্ছে বাৎসরিক খ্রিষ্টীয় ধর্মানুষ্ঠান বা উৎসব। যিশুখ্রিষ্টের জন্মদিন উপলক্ষে এ উৎসব উদযাপিত হয়। এই দিনে মা মেরির গর্ভে আসেন মানবমুক্তির দূত যিশু খ্রিষ্ট। খ্রিষ্টধর্ম অনুসারীদের কাছে দিনটি তাই পবিত্র ও মহা-আনন্দের দিন। স্বজনদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা, বিশ্বশান্তি প্রার্থনায় উদযাপিত হচ্ছে দিনটি।

তবে বিশুদ্ধতাবাদী খ্রিস্টানরা বড়দিনের উৎসবকে পাপাচারিতা বলে মনে করতো। ইংল্যান্ডে ১৬৬০ সাল পর্যন্ত বড়দিন নিষিদ্ধ ছিল। ১৬৪৪ সালে বিশুদ্ধতাবাদী খ্রিস্টানরা বড়দিন রহিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তারা ছিল প্রটেস্ট্যান্ট খ্রিস্টান বিশ্বাসের অনুসারী। তাদের মতে, এসব বর্বর ও ধর্মহীনদের উৎসব, যার সাথে খ্রিস্টানদের ধর্মগ্রন্থ বাইবেলের কোন সম্পর্ক নেই। তারা বলতো ২৫শে ডিসেম্বর যে যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন বাইবেলে এমন তথ্যের কোন ভিত্তি নেই। তাই বেশ কিছুদিন বড়দিনের সাথে সম্পর্কিত সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ ছিল। এমনকি সেদিন গির্জাগুলোতে ধর্মীয় প্রার্থনাও অবৈধ ছিল।

অপরদিকে যে সকল দেশে খ্রিষ্টান সংস্কারে প্রবল, সেখানে দেশজ আঞ্চলিক ও লোকসংস্কৃতির সঙ্গে মিলনের ফলে বড়দিন উদযাপনে নানা বৈচিত্র্য চোখে পড়ে। অনেক খ্রিষ্টানের কাছে ধর্মীয় উপাসনায় অংশ নেওয়া এই উৎসবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। অনেক ক্যাথলিক দেশে বড়দিনের পূর্বদিন ধর্মীয় শোভাযাত্রা বা কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। অন্যান্য দেশে সান্টাক্লজ ও অন্যান্য মরসুমি চরিত্রদের নিয়ে ধর্মনিরপেক্ষ শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। 

সান্টাক্লজ বড়দিনের শুভ চেতনার প্রতীক। এই চরিত্রটির পূর্বসূরি ফাদার খ্রিষ্টমাস হাস্যরসিক, নাদুসনুদুস ও দাড়িওয়ালা ব্যক্তি। সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথমভাগের ইংল্যান্ডে ফাদার খ্রিষ্টমাসে লিখিত উল্লেখ পাওয়া যায়। যদিও সে সময় ছেলেমেয়েদের উপহার প্রদানের সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক ছিল না। তিনি সংযুক্ত ছিলেন বড়দিনের আমোদপ্রমোদ ও মাতলামির সঙ্গে। ভিক্টোরিয়ান ব্রিটেনে সান্টার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে তাঁর চরিত্রটি পুনঃসৃজিত হয়। সান্টাক্লজের আধুনিক রূপকল্পটির সৃষ্টি হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। ১৮১০ সালের প্রথম আমেরিকান উপস্থিতিতে সান্টাক্লজকে বিশপের আলখাল্লায় অঙ্কন করা হয়েছিল। এই রূপান্তরের পশ্চাতে ছয়জন মুখ্য অবদানকারী ছিলেন। এঁদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য ওয়াশিংটন আরভিং এবং জার্মান-আমেরিকান কার্টুনিস্ট টমাস ন্যাস্ট (১৮৪০-১৯০২)। ১৮৬৩ সাল থেকে ন্যাস্ট প্রতি বছর সান্টাক্লজের ছবি আঁকতেন। ১৮৮০-এর দশকে ন্যাস্টের সান্টা তার আধুনিক রূপটি পরিগ্রহ করে। যদিও নতুন শিল্পীরা তাঁর চিত্রাঙ্কনের ভার নিলে, সান্টাক্লজের পোষাকেও ধর্মনিরপেক্ষতার স্পর্শ লাগে। ১৯২০-এর দশকে বিজ্ঞাপন নির্মাতাদের সৌজন্যে এই রূপটিই স্থায়িত্ব লাভ করলেও ১৯৩০ সালের ক্রিসমাসের সময় দেখা যায় সান্টাক্লজ কোকা-কোলার হয়ে কাজ করছেন। তার আগে তিনি কখনও এরকম পোশাক পরেননি, সাধারণত তিনি নীল বা সবুজ রঙের পোশাক পরতেই পছন্দ করতেন। শিল্পী হ্যারল্ড সান্ডব্লম তার গায়ে কোম্পানীর পোশাক চড়ালেন, সাদা পাড়যুক্ত উজ্জ্বল লাল রঙ, আর সেই সব বৈশিষ্ট্য দিয়ে তাকে উপস্থাপন করলেন যা আমাদের কাছে এখন পরিচিত। 

বড়দিনের সর্বশেষ প্রস্তুতিটি নেওয়া হয় বড়দিনের পূর্বসন্ধ্যায়। বড়দিন উৎসব পর্বের অন্যতম অঙ্গ হল গৃহসজ্জা ও উপহার আদানপ্রদান। কোনো কোনো খ্রিস্টীয় শাখাসম্প্রদায়ে ছোটো ছেলেমেয়েদের দ্বারা খ্রিষ্টের জন্মসংক্রান্ত নাটক অভিনয় এবং ক্যারোল গাওয়ার প্রথা বিদ্যমান। আবার খ্রিষ্টানদের কেউ কেউ তাঁদের গৃহে পুতুল সাজিয়ে খ্রিষ্টের জন্মদৃশ্যের ছোটো প্রদর্শনী করে থাকেন। এই দৃশ্যকে নেটিভিটি দৃশ্য বা ক্রিব বলে। 

অনেক পরিবারেই বড়দিন উপলক্ষে বিশেষ পারিবারিক ভোজসভা আয়োজন করে থাকে। ভোজসভার খাদ্যতালিকা অবশ্য এক এক দেশে এক এক রকমের হয়। ইংল্যান্ড ও ইংরেজি সংস্কৃতির দ্বারা প্রভাবান্বিত দেশগুলিতে সাধারণ বড়দিন ভোজসভার পদে দেখা যায় টার্কি (এক ধরনের মোরগ) আলু, শাকসবজি, সসেজ ও গ্রেভি; এছাড়াও থাকে খ্রিস্টমাস পুডিং, মিন্স পাই,ফ্রুটকেক ও নানা ধরনের চকলেট।

 খ্রিস্টমাস আগমন মানে গভীর শীতকালে প্রবেশ। বুঝা যায় প্রকৃতি নির্দেশ দিয়ে দেয়,গাছে পাতা থাকা যাবে না। পাতা বিহীন লারা গাছ। স্বল্প দৈর্ঘ্য দিন। দিনের প্রস্থানে সন্ধ্যার বিজলী বাতিগুলো যেন অগ্রিম শুভেচ্ছা দিতে বসেথাকে। বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধ সংস্কৃতির লন্ডন শহর; খ্রীস্টমাস এলে দৃশ্যত চোখে পড়ে, পাতা ঝরা গাছ,আলোয় আলোয় জ্বলে ওঠা। এ যেনো আলোয় আলোয় ভরপুরে আলোকপুরী। আহা কি যে অপরূপ! কি যে সৌন্দর্য! বিপণীবিতান হতে বড় বড় রাস্তার কিনারা,মোড়,রেস্তোরা সহ সমগ্র লন্ডন-ই আলোক সজ্জ্বায় সজ্জিত। দোতলা বাস ওঠে,উপড়ের তলায় সীটে বসে যখন এই আলোক সজ্জ্বা উপভোগ করবে তখন মনেহয় চন্দ্রিমার আলোও লজ্জ্বায় পালাচ্ছে। চন্দ্রিমার আলো রৌপ্য রং দিলেও পাতা বিহীন লারা গাছে বিজলী বাতিগুলো রৌপ্য রং সহ নানা বর্ণীল রঙ্গে বিমোহিত করে। এতো গেলো বাহিরের জগতের কথা আর যদি বড় বড় বহুতলীয় ভবনের অভ্যন্তরে মাটির নীচ কিংবা উপড়ে ঢুকে পড়েন তখন তো আর আলোর আলোয় ঝমকালোতে দিন-রাত নির্ণয়ের বারোটা বাজিয়ে দিবে। ঘড়ি ছাড়া নির্ণয় বড় মুশকিল। 

এমনিতেই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের লন্ডনের রজনী আলোয় আলোকিত। বানিজ্যিক ভবন,সরকারি ভবন,দর্শনীয় ভবন,বিপনীবিতান,হোটেল-মোটেল সহ নতুন পুরানো ভবন সহ দর্শনীয় স্থানগুলো রাতের আঁধারে আলোর ঝলমল হলেও বড় বড় রাস্তার দুপাশ,ফুটপাত এমনকি পায়ে হাঁটার ঢালাই করা রাস্তার ভিতরেও ছোট ছোট লাইটে সৌন্দর্য্য বর্ধনে এক অনন্য দৃশ্য। আর এই অনন্য দৃশ্যই তখন উকিঝুকি দিয়ে ইশারা করে, মেরী ক্রিস্টমাস পাতা ঝরে,আলো জ্বলে!

লেখক পরিচিতি: সুশান্ত দাস (প্রশান্ত)
রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মী, লন্ডন, যুক্তরাজ্য।

You might also like