সংগীত শিল্পী গৌরী চৌধুরী বিজয়ফুলের কালচারাল এম্বেসেডার

নিলুফা ইয়াসমীন হাসান
বার্তা সম্পাদক, সত্যবাণী 

লন্ডন: যুক্তরাজ্যের প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী এবং গানের শিক্ষক গৌরী চৌধুরী বিজয়ফুল কর্মসূচীর কালচারাল এম্বেসেডার হয়েছেন।

এ টি এন বাংলা ইউ কে কার্য্যালয়ে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বিজয়ফুল কর্মসূচির গ্লোবাল এম্বেসেডার ড. সেলিম জাহান গৌরী চৌধুরীকে একটি বিজয়ফুল পরিয়ে দিয়ে তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে কালচারাল এম্বেসেডার হিসেবে ঘোষণা করেন। বুকে বিজয়ফুল ধারণ করে গৌরী চৌধুরী আবেগে আপ্লুত হয়ে বলেন, আমি বিজয়ফুল এর এম্বেসেডার হতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। তিনি উল্লেখ করেন, তাঁর গানের স্কুলের ছাত্রছাত্রীসহ দেশে প্রবাসে সর্বত্র বিজয়ফুলের বার্তা অর্থাৎ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের, বিজয়ের গল্পগাঁথা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে আপ্রাণ চেষ্টা করবেন, সর্বাত্মক কাজ করে যাবেন।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিশিষ্ট টিভি প্রেজেন্টার এবং বিজয়ফুল কর্মসূচীর আরেক এম্বেসেডার ঊর্মী মাজহার।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিজয়ফুল কর্মসূচীর উদ্ভাবক কবি শামীম আজাদ, বিজয়ফুল কর্মসূচির ট্রাস্টি মুক্তিযোদ্ধা লোকমান হোসেন এবং উজ্জীবক কাউন্সিলর সৈয়দা সায়মা আহমেদ। তাঁরা সানন্দের সাথে সংগীত শিল্পী গৌরী চৌধুরীকে বিজয়ফুল পরিবারে স্বাগত জানান।

বিজয়ফুল এর কালচারাল এম্বেসেডার গৌরী চৌধুরী গত পঁয়ত্রিশ বছর ধরে বাংলা গানকে বিশ্বব্যাপি জনপ্রিয় করে তোলার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। পন্ডিত রবিশংকর ও বিটলখ্যাত জর্জ হ্যারিসনের স্নেহধন্যা গৌরী গান গেয়েছেন বিশ্বখ্যাত রয়াল আলবার্ট হল, রয়াল ফ্যাস্টিভাল সহ ইউরোপ আমেরিকার বিখ্যাত আর্ট ভ্যানুগুলোতে। বৃটেনের সাউথব্যংক সেন্টারে প্রায় সাতশো শিশু কিশোরদের নিয়ে বাংলা লোকগান বা বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের গানের এক ঐতিহাসিক অর্কেস্ট্রেশনে তিনি নেতৃত্ব দেন।

গৌরী চৌধুরী বৃটেনের শিশু কিশোরদের মাঝে বাংলা গান ছড়িয়ে দিতেও রেখে চলেছেন অসামান্য ভূমিকা। তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন সঙ্গীত প্রতিষ্ঠান সুরালয়। তার পরিচালনায় এবং বৃটেনের আর্ট কাউন্সিল, নিউহাম মিউজিক, সুরালয়, বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডনের সহযোগিতায় প্রায় পঞ্চাশজন বাঙালী,অবাঙালী মিউজিশিয়ান ও শতাধিক শিশু- কিশোরদের নিয়ে আমাদের ভাষার গান “আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি” গানের ঐতিহাসিক অর্কেস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে।
সঙ্গীতে অভূতপূর্ব ভূমিকা রাখার জন্যে তিনি বহু পদকে ও পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। জিটিভির সারেগামাতে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করে এওয়ার্ড পেয়েছেন ২০০১ সালে। গৌরী চৌধুরী ক্যানারী ওয়ার্ফ কমিউনিটি চ্যাম্পিয়ন পদকও পেয়েছেন।

উল্লেখ্য, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটায় বিজয়ফুল কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্ভোধন হবে। সকলে উক্ত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত। যথারীতি বিজয়ের মাসে পহেলা ডিসেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিজয়ফুল কর্মসূচি পালিত হবে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে।