জঙ্গিবাদী-তালেবানী রাজনীতি ও সংস্কৃতি রুখতে বিদ্যমান ঐক্য সংহত করার আহবান
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
লন্ডনঃ ১৭ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় যুক্তরাজ্যের ব্রিকলেনে একটি রেস্টুরেন্ট মিলনায়তনে “সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সদাজাগ্রত আমরা” কর্তৃক আয়োজিত “স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তিতে বাংলাদেশের রাজনীতি” শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্তরাজ্য ভ্রমণরত জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জনাব জিয়াউল হক মুক্তা বলেছেন যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পর চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকালের প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক বিশ্বে বাঙালির জাতীয় উন্নয়ন-অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হলে জঙ্গিবাদী-তালেবানি রাজনীতি ও সংস্কৃতি রুখতে হবে এবং তার জন্য মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিদ্যমান রাজনৈতিক ঐক্য সংহত ও একে আরো সম্প্রসারিত করতে হবে।
জনাব জিয়াউল হক মুক্তা বলেন ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যা ও ১৯৭৬ সালে কর্নেল তাহের হত্যার মধ্য দিয়ে মোশতাক-জিয়াচক্র বাংলাদেশে পাকিস্তানপন্থার যে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির সূচনা করেছে তা খালেদা-তারেক-বাবরের হাত দিয়ে জঙ্গিবাদী-তালেবানী রাজনীতিতে উপনীত হয়েছে। সম্প্রদায়িক-জঙ্গিবাদী-তালেবানী রাজনীতি ও সংস্কৃতি দেশে ভেদ-বিভেদ-অসমতা-বৈষম্যের যে পশ্চাদপদতার বিস্তৃতি ঘটাচ্ছে তা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকালের পৃথিবীতে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির অন্তরায়। তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হলে ক্ষমতায় একবার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আর একবার যুদ্ধাপরাধী-রাজাকারের পক্ষের শক্তি— এই মিউজিক্যাল চেয়ার খেলা চিরতরে বন্ধ করতে হবে; বাংলাদেশে ক্ষমতায় ও বিরোধী দলে উভয় ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে জনাব জিয়াউল হক মুক্তা বলেন যে ১৪ দল গঠনের রাজনৈতিক চুক্তি অনুযায়ী “আন্দোলনের ঐক্য, নির্বাচনের ঐক্য ও সরকার গঠনের ঐক্য” নীতির বাস্তবায়ন করতে হবে, সর্বস্তরে ১৪ দলের ঐক্যকে কাঠামোগত রূপ দিয়ে ঐক্যকে সংহত করতে হবে এবং এ ঐক্যে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অপরাপর শক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করে ঐক্য সম্প্রসারিত করতে হবে।
ইউরোপে সক্রিয় বিশিষ্ট বাঙালি রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক জনাব মতিউর রহমান মতিনের সভাপতিত্বে এবং যুক্তরাজ্য ন্যাপ সাধারণ সম্পাদক জনাব সৈয়দ হাসান ও যুক্তরাজ্য জাসদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জনাব মোহাম্মদ শাহজাহান-এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ন্যাপ সভাপতি জনাব আবদুল আজিজ, আওয়ামী লীগ সহসভাপতি জনাব হরমুজ আলী, যুদ্ধাপরাধ বিচার আন্দোলনের নেতা জনাব আনসার আহমেদ উল্লাহ, আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট আবদুল করিম, জনাব আব্দুল কাদির মুরাদ চৌধুরী, গ্রেটার লন্ডন জাসদ সাধারণ সম্পাদক জনাব শাবুল শামসুজ্জামান, একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক জনাব রুবি হক, নারীনেত্রী জনাব ফেরদৌসি রওশন লিপি প্রমুখ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জাসদ সহসভাপতি মজিবুল হক মনি, আব্দুল হালিম চৌধুরী ও আব্দুল হাফিজ, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক রেদওয়ান খান, জাসদ নেতা ড. গোলাম মোস্তফা ও আব্দুল হান্নান, গ্রেটার লন্ডন জাসদ সভাপতি সৈয়দ এনামুল হক, জাসদ সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন খান শামীম, আওয়ামী লীগ নেতা বাকীরুল হক, ট্রেড ইউনিয়ন নেতা লেবার ফ্রেন্ড অব বাংলাদেশের সম্পাদক সৈয়দ আবুল বাশার মাসুম, জাতীয় যুবজোট সাধারণ সম্পাদক কাজী দেলোয়ার হোসেন, মানবাধিকার আন্দোলনের নেত্রী জোছনা পারভীন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফ মিঠু, সাবেক ছাত্র ইউনিয়ন নেতা আকম চুন্নু প্রমুখ।