জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রবাস জীবন এবং স্বদেশ প্রত্যাবর্তন
ফেরদৌস কবির টিপু
১৯৭৫ সালরে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সহপরিবার হত্যার সময় তাঁর দু’কন্যা পশ্চিম জার্মানিতে ছিলেন।তাই তাঁরা বেঁচে যান।নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ইউরোপের ২/১ টি দেশে ঘুরে অবশেষে তাঁদরে ঠাঁই হয় ভারত।এবং কিছুদিন পর তারা বলিয়ে এসে বাস করতে থাকেন।ভারত থেকে প্রথমে লন্ডনে আসনে শেখ রেহানা এবং এখানে স্থায়ীভাবে থেকে যান।এর পর বড় বোন শেখ হাসনিা ও লন্ডনে আসা-যাওয়া শুরু করনে।তখন তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়।এখানে এলে বোনের বাসায় থাকতেন।১৫ আগস্টের পর পরবর্তী পরিস্থিতিতে দেশের নেতাকর্মীদের মতাে যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের হতাশা বিরাজ করছিলো।এমনকি প্রকাশ্যে মিটিং করাও নিরাপদ ছিল না। লন্ডনে তারেক বশে সন্তর্পণে দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে হতাে।
কারণ ততোদিনে জিয়াউর রহমান যুক্তরাজ্য তাঁর দল ভারী করে ফেলেছে।এ সমস্ত কারণে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীর সংখ্যা নাটকীয়ভাবে হ্রাস পয়েছেলি।অধিকাংশ দল ত্যাগ করছেন বা নিষ্ক্রিয় অল্পসংখ্যক নিবেদিতপ্রাণ বঙ্গবন্ধু প্রেমী নেতাকর্মী দলকে আঁকড়ে ধরে ছিলেন।ওই সময় ইউকে আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছিলেন লুটেরে মুহিবুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক এবিএম ইসহাক।হাতে গোনা কিছু লােক তখন বলিতে শক্ত হাতে আওয়ামীলীগরে ঝান্ডা ধরে রেখেছিলেন।তাঁদের অন্যতম ছিলেন
ড. শফিক সিদ্দিকী,গৌস খান,আতাউর রহমান খান,সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ,ডা. হারিছ আলী, ডা.জাহিদুল হাসান,আহমদ হোসেন জোয়ারদার,লায়লা আহমদ হাস,এবিএম রুহুল আমিন,সুলতান মাহমুদ শরীফ,আবুল হাশমে,নুর উদ্দিন আহমদ,সামিউল্লাহ, সিহাব চৌধুরী,আরজ আলী, সুরুজ মিয়া,সিদ্দিক মিয়া,মকদ্দস আলী,আলা মিয়া আজাদ, আমরি হােসনে, আবুল লায়েছ মিয়া প্রমুখ।আরও অনেকে ছিলেন।সবার নাম এ মুর্হূতে মনে পড়ছে না। তাই উল্লেখ করতে পারছি না বলে আন্তরিক ভাবে দু:খতি।
উপর-উক্ত প্রক্ষোপটে১৯৭৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে জিয়াউর রহমান যুক্তরাজ্য সফরে আসনে।এখানে বিশেষ করে লন্ডন শহরে বি এন পি তখন অত্যন্ত শক্তিশালী হয়ে উঠছে। আর জামাতরে লোকজন তাতে আগে থেকেই আছে !অবস্থা এমন ছিল যেবি এন পি লোকেরা আওয়ামীলীগরে লােকদের রাস্তাঘাটেও গালাগালি করতাে।সভা সমাবেশ এমনকি আওয়ামীলীগরে উদ্যোগে বাসাবাড়িতে আয়োজিত ১৫ আগস্টরে ‘মিলাদ মাহফিলও’ পণ্ড করে দিতো !এ অবস্হায়, জিয়ার ভক্ত অনুসারীরাব্রিকলেনে আলনে গার্ডেনে তার জন্য সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়।তখন যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের একটি কেন্দ্র ছিল কর্মাশয়িাল স্ট্রটিরে টয়েনবি হল।
এ হলে আওয়ামী লীগ নেতা ডা.হারিছ আলী ও ডা. জাহিদুল হাসান বাস করতেন।এই টয়োনবি হল থেকে আওয়ামী লীগের মাত্র ২৫/৩০ জন নেতাকর্মী জিয়ার লন্ডন সফরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে অ্যালেন গার্ডেনে হাজির এ প্রতিবাদ মিছিলে নেতৃত্ব দেন তৎকালীন যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ নেতা মুহিবুর রহমান, এবিএম ইসহাক,ড. শফিক সিদ্দিকী, ডা. হারিছ আলী, সুলতান মাহমুদ শরীফ, এবিএম রুহুল আমিন প্রমুখ। ব্রটিশি পুলিশের একটি দল বিক্ষোভকারীদের নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে রাখে। বিক্ষোভকারীরা জিয়ার সামরিক শাসন এবং যুক্তরাজ্য সফরে বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান।সে সময় বাংলাদেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক প্রক্ষোপট বিবেচনা করলে বলতে হবে,যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সে প্রতিবাদ মিছিলটি ছিল একটি ঐতিহাসিক ঘটনা।
দেশ-বিদেশে এই প্রথম আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের’অত্যন্ত ক্ষুদ্র’ একটা দল সামরিক শাসক জিয়ার কাছাকাছি গিয়ে প্রতিবাদ করার সাহস অর্জন করে।তাও প্রবাসে।জিয়ার মঞ্চ থেকে মাত্র ২৫/৩০ ফুট দূরে দাঁড়িয়ে তারা ‘টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া/সবাই বলে খুনী জিয়া; মার্ডারার জিয়া গো ব্যাক’ ইত্যাদি স্লোগান ধরেন।জিয়া অত্যন্ত বিরক্ত হন।তাঁর বক্তৃতা শুরু হওয়ার দুই মিনিটের মাথায় আওয়ামীলীগের মিছিলটি হাজির হয়েছিল।তাই তাৎক্ষণিক বক্তৃতা থামিয়ে জিয়া মঞ্চ ত্যাগ করনে।অবশ্য একই সময়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা জিয়াকে কাছে পেয়ে আবেগে অত্যন্ত উত্তেজিত হয়ে ওঠে ছিলেন।তারা জিয়ার সামনে বিক্ষোভরত আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করে। গালাগালিতে নেতৃত্ব দেন সিরাজ উদ্দিন নামে বিএনপির একজন নেতা।সেটা দেখে লন্ডনে আওয়ামী অনুরাগী তবে রাজনতৈকিভাবে নিষ্ক্রিয় বাঙালি যুবকরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। বিক্ষুব্ধ যুবকদের অন্যতম ছিলেন সিলেট অঞ্চলের প্রবাসী আরজ আলী, সুরুজ মিয়া, আমির হোসেন প্রমুখ। তারা ওই দিনই সন্ধ্যায় টয়েনবি হলের বসবাসরত আওয়ামীলীগ নেতা ডা. হারিছ আলীকে ফোন করে তাদের ক্ষোভের কথা জানান।জানতে চান,কেনও আওয়ামী লীগ আরো বৃহৎ পরিসরে প্রতিবাদ মিছিল করতে পারনে?ডাক্তার সাহেবের কাছে যুবকরা আওয়ামীলীগে যোগ দিয়ে বিলেতেরে রাজনীতিতে ‘সক্রিয়’ হওয়ার প্রবল আগ্রহ প্রকাশ করেন।ডা. হারছি ছিলেন সাহসী তরুণ এবং চৌকস আওয়ামীলীগ নেতা।তিনি ‘৭৬ সালে চিকিৎসাশাস্ত্রে উচ্চশিক্ষার্থে বিলতে আসনে। শুধু চিকিৎসক বা রাজনীতিক নন। মুক্তিযুদ্ধের বীর সংগঠক, কবি লেখক, সমাজকর্মী এবং সাংবাদিক। ডা. হারছি বললেন, ‘তােমরা তরুণ। বিলতে আওয়ামী যুবলীগরে শাখা নেই।
সুতরাং আওয়ামী লীগে যোগ না দিয়ে বরং এখানে যুবলীগের শাখা গঠন করো।এ প্রস্তাবে যুবকরা সম্মত হয়। ডা. হারছি আলী ওইদিনই যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগরে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুহিবুর রহমান সাহেবকে (লুটনে বসবাসরত) ফোন করনে। ফোন পেয়ে তিনি ওইদিনই লন্ডনে এসে এ প্রস্তাব নিয়েবিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করনে। বঙ্গবন্ধু কন্যাদ্বয় তখন লন্ডনে অবস্থান করছেন। তাঁদের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়। তাঁরাও সম্মতি জ্ঞাপন করেন। সবার সম্মতির ভিত্তিতে অবশেষে ১৯৭৯ সালের ৩ অক্টোবর যুক্তরাজ্য যুবলীগ গঠন করা হয়। সর্বসম্মতিক্রমে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন ডা. হারছি আলী এবং সাধারণ সম্পাদক হলেন শাহাব উদ্দিন আহমদ বেলাল। ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম,এবিএম রুহুল আমিন,ডা.জাহিদুল হাসান,আব্দুল লতিফ,আবুল হোসেন,নূর মিয়া, মাসুক খান,আলা মিয়া আজাদ,সুরুজ মিয়া,আমির হোসেন প্রমুখ।
এখানে উল্লখ্যে, ১৯৭৯ সালে তখন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জননেত্রী হয়ে ওঠেন।এমনকি আওয়ামীলীগের সভানেত্রী নির্বাচিত হলেন। যুক্তরাজ্যে আওয়ামী যুবলীগের শাখা গঠনের পর দ্রুত দলীয় কর্মকাণ্ডের পরিধি এবং সাংগঠনকি শক্তি বহুগুণে বেড়ে যায়।তারা প্রকাশ্যে বলিতেরে সর্বত্র সভা সমাবেশ করতে সক্ষম হয়।বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে এবং বিচার দাবি করে বলিতেরে বিভিন্ন শহরে সভাসমাবেশ চলতে থাকে।লন্ডন থেকে ওই সময়ইবঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি ওঠে।এসব র্কমকান্ড চলছে বঙ্গবন্ধু জ্যেষ্ঠ কন্যা শখে হাসনিার সঙ্গে পরামর্শক্রমে তিনি পুরো পরিস্থিতি সম্বন্ধে অবগত ছিলেন।ভিতরে ভিতরে প্রস্তুতি নিচ্ছিলে পিতা হত্যার প্রতিবাদে রাজপথে প্রকাশ্যে যোগ ধৃতি।এই পটভূমিতে ১৯৭৯ সালে যুক্তরাজ্য যুবলীগ গঠনের পর ১৯৮০ সালের ১৬ আগস্ট যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ-যুবলীগ লন্ডন শেখ হাসনিা নিয়ে একটা বড় ‘শাে-ডাউন’ সিদ্ধান্ত নেন।তাঁকে প্রধান অতিথি করে একটা বিশাল সভা আয়োজন করার সিদ্ধান্ত গৃহতি হয়। স্থান নির্ধারণ করা হয় পূর্ব লন্ডনের বাঙালি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটে কাউন্সলিরে অর্ন্তগতবথেল গ্রানি আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশনের নিকটস্হ বিখ্যাত ‘ইর্য়ক হল।শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার এই দিনটি একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।আওয়ামীলীগরে মতাে একটি বিশাল দলের দায়িত্ব গ্রহণের অভিমুখে এটি ছিল এক বিরাট পদক্ষেপ।
শেখ হাসিনা ১৬ আগস্টরে সভা সফল করবার জন্য নবগঠিত যুক্তরাজ্য যুবলীগকে দায়ত্বি দেওয়া হয়।তাদের উপর দায়িত্ব ছিল সমস্ত ব্যবস্থাপনা সুচারুরূপে সম্পন্ন করা। তাছাড়া প্রচার প্রচারণা, লোকসমাগম ঘটানো এবং বঙ্গবন্ধু কন্যার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব ছিল যুক্তরাজ্য যুবলীগের।ডা.হারছি আলীর সুযোগ্য নেতৃত্বে যুবলীগরে সাহসী তরুণরা সে দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করনে।তারা পূর্ব লন্ডনের প্রতিটি পাড়া মহল্লায় প্রচারণা করনে।ততোদিনে ডা. হারুন আলীর উৎসাহ উদ্দীপনা ও উদ্যোগে যুক্তরাজ্য মহিলা লীগও গঠতি হয়ছে ।তারাও বঙ্গবন্ধু কন্যার “অভিষেক সভাটি সফল করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে। এলাে ১৬ আগস্ট ১৯৮০।ইর্য়ক হলে সে বিখ্যাত সভাটি শুরু হলাে।যুবলীগ এবং মহিলা লীগের মাসব্যাপী প্রচারণা করলে ইর্য়ক হলে হাজার হাজার বাঙালরি ঢল নেমে এলো।শুধুমাত্র মহিলা দর্শকদের সংখ্যা ছিল পাঁচ শ’র মতাে।সেদিন প্রায় তিন হাজার এর মতাে দর্শক,শ্রোতা উপস্থিতি ছিলেন।শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হবার পর দেখো গলে,তাঁকে নিয়ে হলে প্রবশেই মুশকলি হয়ে ওঠে।
তাই ১৬ আগস্ট বাংলাদেশে আওয়ামীলীগের ইতিহাস এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজবিুর রহমানরে কন্যা জননেত্রী শখে হাসনিার জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। এদিন তিনি লন্ডনে ‘বঙ্গবন্ধুর কন্যা’ হিসেবে জীবনের প্রথম রাজনৈতিক সভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেন।তখন তিনি আওয়ামীলীগের হাল ধরেন।আজ অনেকেই বলেন,ওই সভাটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম।এই সভায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে ‘জননেত্রী শেখ হাসিনায়’ রূপান্তর করেছেন এই ১৬ আগস্ট শেখ হাসিনা উপর র্সবপ্রথম বিশ্বমিডিয়ার দৃষ্টি পড়েছিল। লন্ডনের বিখ্যাত ”টাইমস’ পত্রিকা পরেদিন রিপোর্ট কভার করেছিলো : A Political Star Is Born. সে দিনের সভার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব মিডিয়ায় নিকট আওয়ামীলীগের ‘সম্ভাব্য সভানত্রেী’ হিসাবে উপস্থাপন করা হয়।সুতরাং আমরা বলতে পারি এই সরাসরি রাজনীতি তাঁর অভিষেক ঘটে। সে দিনের সভায় প্রদত্ত দীর্ঘ এবং আবেগ প্রবণ বক্তৃতাকালে শেখ হাসিনা বারবার কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন।নেত্রীর চােখরে পানিতে সমবতে হয় হাজার এর মতাে প্রবাসী র্দশকশ্রােতাদরে চোখ ভিজে ওঠে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, একজন দর্শক ছিল না, যে নত্রেীর বক্তব্য শুনে ইর্য়ক হলরে বক্তৃতায় জননেত্রী প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদশেরে মানুষসহ বিশ্ববাসীর কাছে ‘পিতা হত্যার বিচার দাবী করনে।সে দিনের সভায় আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রধান আইনজীবী স্যার টমাস উইলিয়াম কইিসহ কয়েকজন ব্রিটিশ এমপি উপস্থিতি ছিলেন।বাংলাদেশ থেকে ড. কামাল হোসেনসহ কয়েক -জন নেতা যোগ দেন।ইর্য়ক হলরে জনসভাই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে ‘জননেত্রী শেখ হাসিনায় রূপান্তরের’ মহাসড়কে উঠিয়ে দিয়েছে।এই দিনটিও তাই আওয়ামীলীগরে ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ।ঐতিহাসিক সভার সফল আয়ােজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগরে নেতৃবৃন্দের একজন ছিলেন ডা. হারছি আলী।তিনি ছিলেন যুক্তরাজ্য যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা ইর্য়ক হলের সভা আয়োজন সংশ্লিষ্ট সকলকে আমরা স্মরণ করছি আন্তরিক শ্রদ্ধায়,গভীর ভালোবাসায়।
বি:দ্র: ১৯৮১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আওয়ামীলীগের সভানত্রেী নির্বাচিত ‘৮০ সালের ১৬ আগস্ট ইর্য়ক হলরে সভার পর’ জননেত্রী’ হওয়ার দিকে আরেক ধাপ এগিয়ে যান। তারপর ‘৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন।