জাতিসংঘ ও ফেসবুক, উভয় প্রতিষ্ঠানের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি
চৌধুরী ফরহাদ
জাতিসংঘ এবং ফেসবুক দুটোর মাঝে আশ্চর্যজনক মিল। জায়নবাদী বর্বর, অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল কে নিরঙ্কুশ ও অন্ধ সমর্থন করাই এদের কাজ।
জাতিসংঘের দৃষ্টিতে- মুসলিমদের মারলে হয় আত্মরক্ষা, আর মুসলিমরা মারলে হয় সন্ত্রাসী হামলা!! বিশ্বকে নিরাপদ রাখার জন্য মুসলিম দেশের বিরুদ্ধে যতটা না তড়িৎ নিষেধাজ্ঞা/শান্তিরক্ষী প্রেরন করতে পারে। আবার একই রকম অপরাধের জন্য (কিছু ক্ষেত্রে চরম বর্বরতা দেখালেও) কোন অমুসলিম দেশের উপর নিষেধাজ্ঞা দূরে থাক টু-শব্দ পর্যন্ত করে না।
ফেসবুকের দৃষ্টিতে ফিলিস্তিনের পক্ষে লিখলে বা ইসরাইলি হামলার ছবি, নিহতের ছবি পোস্ট করলে কিংবা ইসরাইলের বিরুদ্ধে লিখলে এটা “ফেসবুকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড” বিরোধী হয়!! আইডি রেসট্রিক্টেড/ব্লক/পার্মানেন্টলি ব্লক হয়?
কি আজব দুনিয়া! কি আজব পশ্চিমা সেক্যুলারিজম! কি অদ্ভুত তাদের হিউম্যানিজম!!
মুসলিম নির্যাতনের শিকার বিশ্ব জুড়ে- মরছে নিজের ঘরের ভিতরেই! শান্তিরক্ষার নামে সাত সাগর তেরো নদীর উপার থেকে এসে মুসলিমের ভূমিতে বানিয়েছে ব্যাটেলফিল্ড! মুসলিম মারা সহজ ও বৈধ করতে অর্থ দিয়ে-অস্ত্র দিয়ে তৈরি করেছে আল-কায়েদা-তালেবান-আইএসআইএস-বোকো হারাম ইত্যাদি ইত্যাদি!
অনেক কিছু লিখতে চাই! কিন্তু আবার অনেক কিছু ভেবে লিখা হয় না। পাছে যদি প্রগতিশীলতার হানি হয় কিংবা উগ্রবাদীরা লাভবান হয়?
চৌধুরী ফরহাদ: রাজনীতিক, হবিগন্জ জেলা ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক