পতিসর রবীন্দ্রভুবনে…..

ফেইসবুক ডেস্ক
সত্যবাণী

লন্ডন: নোবেল পুরস্কারের টাকায় গড়েছিলেন কৃষি ঋণদান ব্যাংক। পাশাপাশি আধুনিক কৃষির প্রশিক্ষণ, দুগ্ধ খামার প্রতিষ্ঠা। গড়ে তুলেছিলেন তাঁত ও মৃিশল্পের সমবায় সংগঠন। পতিসরের জমিদারি পেয়ে আর্থিকভাবে কিছুটা ঠকেছিলেন বটে, কিন্তু পল্লীশ্রী পতিসর নিজে কবিকে ঠকায়নি

‘একটা ছোট নদী আছে বটে কিন্তু তাতে কানাকড়ির স্রোত নেই। সে যেন আপন শৈবাল-দামের মধ্যে জড়ীভূত হয়ে অঙ্গবিস্তার করে দিয়ে পড়ে পড়ে ভাবছে যে, যদি না চললেও চলে তবে আর চলবার দরকার কী’। পতিসরে প্রথমবার এসে এমন বর্ণনাই লিখেছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বিস্তীর্ণ ফসলি মাঠ। তার মাঝে কাছারিবাড়ি। তার সামনে খোলা মাঠ। আশেপাশে অল্পকিছু লোকালয়। সপ্তাহে হাট বসে একবার। বিকালে মানুষের আনাগোনা দেখা যায় সেই মাঠে। ছেলেরা খেলাধুলা করে। কাছারিবাড়ির সামনেই নাগর নদ। গ্রীষ্মকালে রবীন্দ্রনাথের দেয়া নদের সেই বর্ণনা এখনও একই আছে। বদলায়নি কিছু।

বছরবিশেক আগে রাস্তা-ঘাট পাকা হয়েছে শুধু। তা না হলে গ্রামীণ জীবনও একইরকম আছে, অনায়াসে তাও বলা যেত। এই পতিসর, পতিসরের মানুষের জীবনযাত্রা খুব একটা বদলায়নি। তবে এই পতিসর বদলে দিয়েছিল কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে। দারিদ্র্য ভাবনা আর তা থেকে মুক্তির উপায় খুঁজবার ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথের যে অন্বেষণ, তার সকল কিছুর হাতে-কলমে প্রয়োগ ঘটিয়েছিলেন এই পতিসরে।
জমিদারি দেখাশোনার জন্য এলেও প্রকৃতি ও মানবপ্রেমী কবি অবহেলিত পতিসর এলাকার মানুষের জন্য দাতব্য চিকিত্সালয় প্রতিষ্ঠাসহ অনেক জনহিতৈষি কাজ করেন। এখানকার কৃষকদের কল্যাণে নোবেল পুরস্কারের ১ লাখ ৮ হাজার টাকা দিয়ে এখানে একটি ‘কৃষি ব্যাংক’ স্থাপন করেন। কৃষির উন্নতির জন্য তিনি পতিসরের মাঠে কলের লাঙ্গল চালিয়েছিলেন। গড়ে তুলেছিলেন কৃষি, তাঁত ও মৃিশল্পের সমবায় সংগঠন। কিন্তু একদা পতিসরের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত সম্পর্কে ছেদ পড়ে। প্রজাদের অনুরোধে পুণ্যাহ উপলক্ষে তিনি ১৯৩৭ সালের ২৭ জুলাই শেষবারের মতো পতিসর পরিদর্শন করেন। কবির সাহিত্য সৃষ্টির একটি বিশাল অংশ জুড়ে রয়েছে পতিসর। পতিসরে বসেই কবি চিত্রা, পূর্ণিমা, সন্ধ্যা, গোরা, ঘরে-বাইরে রচনা করেন।

পতিসর কুঠিবাড়ি

পতিসরে রবীন্দ্রনাথের কর্ম উদ্যোগ নিয়ে কবি ও রবীন্দ্র গবেষক অধ্যাপক আতাউল হক সিদ্দিকী বলেন, পতিসরে দারিদ্র্য বিমোচনে আর সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে মহাযজ্ঞ শুরু করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সহজ শর্তে ঋণ, কৃষকদের প্রশিক্ষণ, দুগ্ধ খামার, আধুনিক কৃষিব্যবস্থা, চিকিত্সা, ধর্মগোলার উদ্যোগ ছিল এর মধ্যে। তিনি ছেলে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরকেও যুক্ত করেছিলেন এই কর্মযজ্ঞে। তবে, ঋণ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়।

বাংলার গ্রাম-রূপবৈচিত্র্য ও মানুষ কবির মানস ও চেতনাকে বদলে দিয়েছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজেই তা বলেছেন, ‘যতদিন পল্লীগ্রামে ছিলেম ততদিন তাকে তন্ন তন্ন করে জানবার চেষ্টা আমার মনে ছিল। … পল্লীবাসীদের দিনকৃত্য, তাদের জীবনযাত্রার বিচিত্র চিত্র দেখে প্রাণ ঔত্সুক্যে ভরে উঠত। আমি নগরে লালিত, এস পড়লুম পল্লীশ্রীর কোলে – মনের আনন্দে কৌতূহল মিটিয়ে দেখতে লাগলুম। ক্রমে এই পল্লীর দুঃখ-দৈন্য আমার কাছে সুস্পষ্ট হয়ে উঠল, তার জন্য কিছু করব এই আকাঙ্খায় আমার মন ছট্ফট্ করে উঠছিল। তখন আমি যে জমিদারি-ব্যবসায় করি, নিজের আয়-ব্যয় নিয়ে ব্যস্ত, কেবল বণিক্-বৃত্তি করে দিন কাটাই, এটা নিতান্তই লজ্জার বিষয় মনে হয়েছিল। তারপর থেকে চেষ্টা করতুম কী করলে এদের মনের উদেবাধন হয়, আপনাদের দায়িত্ব এরা আপনি নিতে পারে। আমরা যদি বাইরে থেকে সাহায্য করি তাতে এদের অনিষ্টই হবে। কী করলে এদের মধ্যে জীবন সঞ্চার হবে, এই প্রশ্নই তখন ভাবিয়ে তুলেছিল।’ (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ‘শ্রী নিকেতনের ইতিহাস ও আদর্শ’, রবীন্দ্র-রচনাবলী, চতুর্দশ খণ্ড: পৃ: ৩৭৮।)
রবীন্দ্রনাথ পতিসর এসেছিলেন ১৮৯১ সালে। তাঁর পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর এ জমিদারি কিনেছিলেন ১৮৩০ সালে। সেই জমিদারি দেখাশোনার জন্যই কবিগুরুর প্রথম আসা। পরে এই পতিসরের জমিদারি রবীন্দ্রনাথ উত্তরাধিকারসূত্রে লাভ করেন। বৈষয়িক দিক থেকে পতিসরকে পেয়ে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পতিসর কবিকে ঠকায়নি। পতিসরের প্রকৃতি রবীন্দ্রনাথের কবিতা ও গানের ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করেছিল। কবির ভাবনা ও আদর্শকে বাস্তবে রূপ দেবার এক অনুকূল পরিবেশ দিয়েছে পতিসর। সাধারণ মানুষের কঠিন জীবন বাস্তবতাকে কবি চিনেছেন এই পতিসরে এসেই, চিনেছেন বাংলাদেশকে। গবেষক আতাউল হক সিদ্দিকী বলেন, কলকাতায় কবিগুরুর সাধারণ মানুষদের নিয়ে তেমন লিখার সুযোগ ছিল না। কবিগুরু প্রথম পতিসরেই প্রকৃতি, মানুষের সাথে মিশতে পেরেছেন। এখানেই পেয়েছিলেন প্রাণের স্পন্দন। জামদারি প্রথা ভুলে গিয়ে প্রজাদের সাথে মিশে গিয়েছেন প্রজাদের উন্নয়ন করতে। পতিসরে জীবনধর্মী গল্প, ছোটগল্প, লোকসাহিত্য, সাধারণ মানুষের গান লিখেছেন। এখানে না এলে হয়তো ছোটগল্পের জনক হতে পারতেন না।

পতিসরে জমিদার রবীন্দ্রনাথ :জমিদারি ভাগ হওয়ায় নওগাঁর কালিগ্রাম পরগণার জমিদারি পান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৮৯১ সালের পর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জমিদারি পরিচালনার জন্য অনেকবার বজরায় চড়ে এসেছেন কালিগ্রাম পরগণায়। নিরাপত্তার কারণে প্রথমদিকে বেশিরভাগ সময় তিনি থাকতেন বজরায়। বজরায় ছিল রান্নাবান্না ও স্নান করার ব্যবস্থা, খাট, বাবুর্চি। ১৮৮৪ সাল থেকে জমিদারি হিসেব-নিকেসে কাগজপত্র বুঝে নিতে শুরু করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। প্রায় ৬ বছর টানা বুঝে নেয়ার পর ’৮৯ সাল থেকে জমিদারি দেখাশুনা শুরু করেন। ১৮৯১ সালে পতিসরে জমিদারি পাওয়ার পর জমিদারি পরিচালনার জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতা থেকে ট্রেনে আত্রাই রেলস্টেশনে আসতেন। সেখান থেকে বজরায় চড়ে আত্রাই নদী হয়ে নাগর নদের ধারে পতিসরে আসতেন।

রবীন্দ্রনাথের কর্মযজ্ঞ :কালিগ্রাম পরগণা ছিল নিচু এলাকা। এক ফসলি জমি। একটিমাত্র ধানের আবাদ হয়, তাও বন্যায় ষোলো আনা পাওয়া যায় না। অধিকাংশ প্রজাই দরিদ্র। একবেলা খেতেও পারত না। এসব বিষয়গুলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ভাবিয়ে তুলত। মহাজনী সুদ থেকে প্রজাদের বাঁচাতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বজনদের কাছ থকে টাকা ধার নিয়ে ১৯০৫ সাল থেকে স্বল্প সুদে ঋণ ব্যবস্থা অর্থাত্ ‘কৃষি ব্যাংক’ কার্যক্রম চালু করেছিলেন। মহাজনরা অখুশি হলেও গ্রামে-গ্রামে প্রজাদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল এই ব্যবস্থা। কৃষকদের বাঁচাতে আরো টাকা প্রয়োজন। ১৯১৩ সালে কবিগুরু নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর এলাকার প্রজাদের উন্নয়নের জন্য ‘ব্যাংক’ দিয়েছিলেন। তবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঋণ আদায় তেমন করতে না পারায় অর্থ সংকটে পড়ে ব্যাংক ব্যবস্থা। এমতাবস্থায় ১৯৩৭ সালে জুডিশিয়াল বোর্ড গঠন করলে ঋণ ব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়। এতে প্রজাদের কাছে থাকা ঋণের কোনো টাকা তুলতে পারেননি। ১৯১০/১২ সালের দিকে রবীন্দ্রনাথ পতিসরের কাছারি বাড়ির একটি কক্ষে হোমিও দাতব্য চিকিত্সালয় স্থাপন করেন। কিন্তু হোমিও ওষুধ দিয়ে সব রোগের চিকিত্সা হতো না। তখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই অঞ্চলে প্রথম আধুনিক চিকিত্সা সেবা শুরু করেন। পরে সার্টিফিকেটধারী চিকিত্সক নিয়োগ দিয়ে প্রজাদের চিকিত্সা সেবা দিতেন। তখন নার্সও নিয়োগ দেয়া হয়। তিন-চারটি বেড রাখা হয়েছিল। এই চিকিত্সাসেবা ১৯২০ সাল পর্যন্ত চালু ছিল।
এলাকার প্রজাদের বাঁচাতে ধর্মগোলা স্থাপন করেন। ধর্মগোলা হচ্ছে শস্যভান্ডার। যে বছর আবাদ ভালো হতো সে বছর প্রজাদের কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ শস্য নিয়ে রেখে দেয়া হতো ধর্মগোলায়। যখন আবাদ হতো না তখন সেই গোলা থেকে প্রজাদের মধ্যে দেয়া হতো। আবার আবাদ হলে কিছু লাভ দিয়ে শস্য ফেরত দিতে হতে। সে সময় কোনো মহাজনদের কাছ থেকে এক মণ খাদ্য নিলে দেড় গুণ বা দুই গুণ খাদ্য দিতে হতো মহাজনকে। এজন্য দরিদ্র প্রজাদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল এই ধর্মগোলা। হতদরিদ্র প্রজাদের গাভী পালনে প্রশিক্ষণ ও ধানচাষের বাইরে অন্য পেশায় আয় বাড়াতে তাঁতব্যবস্থা, অন্য ফসলের দিকে প্রজারা যাতে আকৃষ্ট হয় সে ব্যবস্থাও করেছিলেন। এ জন্যে প্রজাদের নিয়ে যেতেন কলকাতার শ্রীনিকতনে। সেখানে প্রশিক্ষণ দিয়ে ফেরত পাঠিয়েছেন পতিসরে। এক ফসলি জমিতে অন্য ফসল চাষ করাতে জমির আইলে খেজুর গাছ, আমগাছ, পেঁপে চাষ শুরু করান। এ ছাড়াও বাস্তুভিটাতে ফলের গাছ লাগাতে উদ্বুদ্ধ করেন। এসময়ে এলাকায় অপ্রচলিত ভুট্টা, আলুর চাষ শুরু করেন। প্রজাদের মহাজনদের সুদের বেড়াজাল থেকে বাঁচাতে ঋণ সালিশী সংস্থা কালিগ্রাম হিতৈষীসভা গঠন করেন। সে সময় কালিগ্রাম কাছারিবাড়ি থেকে কালিগ্রাম পরগণায় জমিদারির কার্যক্রম পরিচালনা করা হত। কালিগ্রাম পরগণার আওতায় প্রায় ৬শ’ গ্রাম ছিল। এই ‘হিতৈষীসভা’ তিনটি ভাগে বিভক্ত করা হয়। এর মধ্যে কালিগ্রাম হিতৈষীসভা, ভান্ডারগ্রাম হিতৈষীসভা ও পতিসর হিতৈষীসভা। কাছারি বাড়ির আওতায় থাকা প্রতিটি গ্রাম থেকে একজন গ্রাম প্রধান ও কাছারি বাড়ির একজন ও জমিদারের প্রতিনিধি একজন করে পঞ্চায়েত গঠন করা হয়েছেল। এই পঞ্চায়েতের কাজ হলো গ্রামের সাধারণ মানুষদের বিরোধ মিটিয়ে দেয়া, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, সেতু নির্মাণ করা, পাঠশালা নির্মাণ করা। ম্যালেরিয়া হওয়ায় গ্রামের জঙ্গল কেটে ফেলা ইত্যাদি। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, সেতু নির্মাণ, পাঠশালা নির্মাণ, গ্রামের জঙ্গল কেটে ফেলতে তো টাকা লাগবে। সে টাকা কোথা থেকে আসবে?

তখন সিদ্ধান্ত হলে হিতৈষীসভা তিন আনা দিবে আর জমিদার তিন আনা দিবে। এভাবে কয়েক বছরের মধ্যে তখন ১১ হাজার টাকা সংগ্রহ হয়েছিল। এরপর শুরু হয় রাস্তাঘাট নির্মাণ, পাঠশালা নির্মাণ। ৬শ’ গ্রামের মধ্যে প্রায় ২শ’টি গ্রামে পাঠশালা নির্মাণ করে পাঠদান শুরু হয়। এই পাঠশালার মাস্টার মশাইদের বেতন দিতেন জমিদার। এর মধ্যে তিনটি মাইনর বিদ্যালয় স্থাপন করেন। একটি পতিসরে, অপর দুটি রাতোয়াল ও ভান্ডারগ্রামে।

প্রজাদের জন্যে চাষ ব্যবস্থায় উন্নয়ন ঘটানো জন্যে ১৯০৬ সালে কবিগুরুর একমাত্র পুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কবিগুরুর বন্ধু শিরিষ চন্দ্র মজুমদারের ছেলে সন্তোষ চন্দ্র মজুমদারকে আমেরিকার ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষির উপর পড়াশুনার জন্যে পাঠিয়েছিলেন। রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সন্তোষ চন্দ্র মজুমদার পড়াশুনার পর ১৯০৯ সালে দেশে ফিরে আসেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার পুত্রকে পতিসর এলাকায় কৃষিকাজে নিয়োজিত করেন। রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলের লাঙ্গলে চাষ করে আধুনিক পদ্ধতি শিখিয়েছেন প্রজাদের।

রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বুকে নিয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে পতিসর কুঠিবাড়ি। প্রতিবছর সরকারি উদ্যোগে কবির জন্মতিথিতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ ১৯৯০ সালে এ কুঠিবাড়িটির দায়িত্ব গ্রহণ করে। কাছারি বাড়ির ভেতরে ঢুকতেই চোখে পড়বে রবিঠাকুরের আবক্ষ মূর্তি। এর ভাস্কর কণক কুমার পাঠান। ঘরগুলো কবির ব্যবহার্য তৈজসপত্র, নানারকম সামগ্রী, তার হস্তলিপি আর বিভিন্ন ছবিতে ভরা। একটি বাথটাব, একটি নোঙর, বিশাল আয়না, আরাম কেদারা, ওয়ার্ডরোব, ঘড়ি, গ্লোব, সিন্দুক, খাজনা আদায়ের টেবিল, খাট, আলমারি, দরজার পাল্লা, জানালা ইত্যাদি। রয়েছে কবির ছেলের নামে প্রতিষ্ঠিত রথীন্দ্রনাথ ইনস্টিটিউশন।

Courtesy : Al Hasan

তথ্যসূত্রঃ

১/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ‘শ্রী নিকেতনের ইতিহাস

ও আদর্শ’, রবীন্দ্র-রচনাবলী, চতুর্দশ খণ্ড: পৃ: ৩৭৮।
২/রবিতীর্থ পতিসর।
৩/রবীন্দ্রজীবনী(১-৪) খন্ড- প্রভাতকুমার মুখার্জি।
৪/রবিজীবনী-প্রশান্তকুমার পাল।

(উৎপল কান্তি ধরের ফেইসবুক টাইম লাইন থেকে)

You might also like