যে থুথু ফিরে ফিরে আসে…
সৈয়দ মনসুর উদ্দিন
মানুষ মরনশীল। জীবন সীমাবদ্ধ। তবু এই সীমাবদ্ধ জীবনকে ঘিরেই নানা চাঞ্চল্য আর খন্ড খন্ড ঘটনা ঘিরে থাকে সব সময়। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পরিধির মধ্যে ঘটে যাওয়া এসব ঘটনার কতটিই আর আমরা মনে রাখি। যা মনে থাকে তাকেই আমরা বলি স্মৃতি। জীবনের সবকিছু সামনে চললেও কেবল মাত্র মনই পিছনে ছুটতে পারে এবং ছুটে গিয়ে এই স্মৃতিকে খুঁড়ে খুঁড়ে টেনে বের করে আনে।
আজ বহু বছর আগে ঘটে যাওয়া এমনি এক সত্য কাহিনী। মুহসীন হলে এক ডাইনিং কর্মচারী মিলনের থুথু ছুড়ে মারার গল্প…।
তার আগে একটু পটভূমি…।
আমার কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বিরাট অংশ জুড়ে ছিলো স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন এবং এই আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিলাম আমরা ছাত্ররা। আন্দোলনে অংশগ্রহন যেমন আমাদেরকে গৌরবান্বিত করেছে তেমনি এর অন্ধকার দিকটি কলুষিতও কম করেনি। আমরা যারা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে কাটিয়েছি তারাই ভালভাবে বলতে পারবো এই কলুষিত রুপের নগ্ন এবং কুৎসিৎ চেহারাটি।
কবি হেলাল হাফিজের মতে যৌবন মিছিলে যাবার শ্রেষ্ঠ সময় হলেও আমার সে সময় এবং সুযোগ হয়নি। তবে শখের সাংবাদিকতা একসময় পেশায় রুপান্তরিত হবার কারনে মিছিলের বার্তা বাহক ছিলাম বহুদিন। ছিলাম বাংলাবাজার পত্রিকার ঢাকা ইউনিভার্সিটি রিপোর্টার। ফলে এই জীবনকে আরো কাছে থেকে দেখার এবং বুঝার সুযোগ হয়েছিলো।
আমাদের সময়ে হল দখল, সিট দখল, চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী, অস্ত্রবাজী, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুন, পবিত্র রগ কর্তন, বহিরাগত অছাত্রদের উৎপাত, সাধারন ছাত্রদের উপর নানা ধরনের অত্যাচার, অন্যায়ভাবে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা আদায়, ডাইনিং-ক্যান্টিনে ফাও খাওয়া, নিরীহ কর্মচারীদের মারধর, ইভটিজিং, বাধ্যতামূলক মিছিলে অংশগ্রহন, যে হল যে দলের দখলে সেই দলের সৈনিক হতে বাধ্য করা, ছাত্র নেতাদের তোয়াজ করে চলা কতিপয় ধান্ধাবাজ শিক্ষকের অবনত মস্তক, চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে যাওয়া – কী দেখিনি আমরা!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই অপকর্মের সাথে জড়িত ছিলো ছাত্রদল এবং ছাত্রলীগ। সবই হতো দলের নামে, নেতার নামে, নেত্রীর নামে, রাজনীতির নামে, গণতন্ত্রের নামে।
পেশার কারনে প্রায় প্রতিদিনই দিন শেষে লিখতে হতো, অমুক ভাই বলেন…। তমুক ভাই বলেন…। আন্দোলনের ডাক দিয়ে বলেন…। তিনি হুংকার দিয়ে বলেন…। দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেয়ার ঘোষণা দিয়ে বলেন…। ঘরে ফিরে যাবেন না এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন…। জেলের তালা ভাঙ্গার আহবান জানিয়ে বলেন…। রক্তের বন্যায় ভাসিয়ে দেয়ার শপথ নিয়ে বলেন…। রাজপথ না ছাড়ার নির্দেশনা দিয়ে বলেন…। আরো বলেন…। বলেন আর বলেন…। আর আমরা লিখে যেতাম…।
এসব বজ্র ধ্বনি ডারউইনের বিবর্তনবাদের মতো অক্ষরে রুপান্তরিত হয়ে দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ার পরদিন মধুর ক্যান্টিনে বলাবলি ভাইদের কারো সাথে কপালগুণে দেখা হয়ে গেলেতো কথাই ছিলো না। হুংকার দিয়ে বলতেন ‘এই এখানে একটা মিষ্টি দে’…।
আমার ‘অবুঝ দিনে’ এই কেঁচোসম কাঁধে তাদের গণতন্ত্রের ভারী হাত এসে যখন মাঝে মধ্যে পড়তো তখন এক ধরনের রোমাঞ্চ লাগতো! অন্যেরা দূর থেকে তাকিয়ে আমার চওড়া কপাল দেখছে কীনা তাও এক পলক দেখে নিতাম!
রাতের বেলা অফিসে ঢুকার পর বার্তা সম্পাদক আহমেদ ফারুক হাসানের সামনে পড়লেই বলতেন ‘এই সন্ত্রাসী এদিকে আয়, আজ কয়টা ফুটাইছস?’ ক্যাম্পাসে আজ কোন গুলি ফুটে নাই, বললেই ফারুক ভাই মজা করে বলতেন ‘তোর চাকুরী নট, গুলি নাই, চাকুরী নাই’!
ঘটনার ব্যাপকতা আর বৈচিত্র্যের কারনে আমাদের সময়ে বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকের বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টাররা ছিলেন অফিসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। জীবনের ঝুঁকিও কম ছিল না। দৈনিক জনকন্ঠেতো সেসময় দুজন বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার কাজ করতেন। এদের একজন জাতীয় প্রেসক্লাবের সদ্য নির্বাচিত সেক্রেটারী বন্ধু ইলিয়াস খান এবং আরেকজন ছোট ভাই শরীফুজ্জামান পিন্টু। পিন্টু প্রথম আলোর চীফ রিপোর্টার ছিলো দীর্ঘদিন। আমাদের সময়ের ৫ জনই এখন লন্ডনে। আমি বাংলাবাজার পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার হয়েছিলাম চ্যানেল এসে’র সালেহ শিবলি ভাই পদোন্নতি নিয়ে উচ্চাসনে চলে যাবার সুযোগে। সুরমার বর্তমান সম্পাদক লিটন ভাই ছিলেন দিনকালের ইউনিভার্সিটি রিপোর্টার। আইন পেশায় ইনকিলাবের রিমন আর সবার গুরু দৈনিক বাংলার মোয়াজ্জেম ভাই এখন বিবিসিতে।
আমাদের সময়ে ক্যাম্পাসে প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনগুলোর দুই ধরনের কর্মী বাহিনী ছিলো। একদল ছিল শান্তিপূর্ণ পথে আর তাদেরকে হিংস্ত্র উপায়ে সামনে এগিয়ে নিতে ছিলো কমান্ডো বাহিনী। সংখ্যায় কম হলেও কমান্ডোদের সবাই ক্যাডার বলে ডাকতো।
ক্যাডারদের দাপটে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের জীবন কি পরিমান অসহনীয় ছিলো তা ভুক্তভোগী ছাড়া কেউ বলতে পারবেন না। তবে যে কোন বিবেচনায় হলের আবাসিক ছাত্রদের অবস্থা ছিলো সবচাইতে বেশী খারাপ। বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যার নৃশংসতা আমরা নিশ্চয়ই ভুলে যাইনি। বলা যেতে পারে ঘটনাটি আমাদের আমলে শুরু হওয়া পচনেরই ধারাবাহিকতা।
ক্যাম্পাস কেন্দ্রীক ক্যাডারদের মতো তখন ঢাকা শহরের বিভিন্ন পাড়া মহল্লায়ও ক্যাডার ছিলো এবং তারা ক্যাম্পাসের ক্যাডারদের সাথে ‘পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্টতার জন্য সৌহার্দ্যপূর্ন সম্পর্ক’ বজায় রাখতো।
যেমন মুরগি মিলন, ঘোড়া মাসুদ, জামাই ফারুক, কুত্তা শিশির, ল্যাংড়া ময়না, কানা মনির, বাট্টি বদি, মেশিন জামাল, দুবাই মাসুদ, পেটলা মিজান, ক্যাপ জামান, লাম্বা তৈয়ব, কালা জাহাঙ্গীর, টোকাই জব্বার, ফ্রিডম সোহেল, লুলা বাবু, বুলেট সাঈদ, এসিড আকবর, ফনা রায়হান, গাল কাটা কামাল, পিচ্চি হান্নান, সুইডেন আসলামসহ অসংখ্য অঞ্চলভিত্তিক ক্যাডার বিভিন্ন ব্রিগেডে ভাগ হয়ে ঢাকাকে শাসন করতো! মাঝে মাঝে খাতিরের ভাইদের ডাকে ক্যাম্পাসে তারা আসতো ‘গনতন্ত্র, সুশাসন এবং সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্টার স্বার্থে!’ উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এসব টিম টেন্ডার কিংবা দখলকাজে সরবরাহ করতো রসদ আর সৈন্য!
ক্যাম্পাসের স্থানীয় এবং আমন্ত্রিত ক্যাডারদের প্রিয় জায়গা ছিলো হলের গেষ্ট রুম। ২৪ ঘন্টা পালা করে হল পাহারার নামে এরা দখল করে রাখতো গেষ্টরুমগুলো। আর বিনা পয়সায় খেত ডাইনিং ক্যান্টিনে। অবৈধভাবে রুম দখলসহ আরো কত অত্যাচার।
পেশাগত কারনে একবার গোপন তদন্তে জেনেছিলাম প্রতিদিন সকালেই ডাইনিং ম্যানেজার হলের সবচাইতে বড় নেতার কাছ থেকে জেনে নিতেন তাদের ‘সৈনিকদের’ জন্য বিনামূল্যে কতটা মিল দিতে হবে। হলের খাবারের নিম্নমানের জন্য তাদের ফ্রি খাওয়া দায়ী বলে দাবী করেছিলেন ডাইনিং ম্যানেজাররা। আমার সাথে কথা বলা প্রত্যেক ম্যানেজারেরই অনুরুধ ছিলো ‘স্যার পেপারে নামটা দিয়েন না’।
প্রতিদিন নির্ধারিত সময়ে গরম গরম খাবার চলে যেতে নির্দিষ্ট রুমে। বিভিন্ন হুকুম তামিলে গড়বড় হলেই খাবার সরবরাহকারী ক্যান্টিন কর্মচারীদের মারধর ছিলো নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা।
আমাদের সময়ে প্রায় সব হলেই ডাইনিংয়ের চেয়ে সামান্য উন্নতমানের মিল একটু বেশী দামে পাবার বিকল্প ব্যবস্থাও ছিলো। হলের বিভিন্ন বিভাগের এবং ডাইনিংয়ের কর্মচারীরাই এসব খাবার বিক্রি করতেন বাড়তি আয়ের জন্য। অনেকটা সরকারী সেবার পাশাপাশি বেসরকারী সেবার মতো। বাসায় পরিবারের সহায়তায় রান্না শেষে টিফিন ক্যারিয়ারে করে রুমে রুমে খাবার পৌঁছে দিতেন তারা। খুবই ক্ষুদ্র পরিসরে বিক্রি হওয়া এসব খাবারের আমি ছিলাম একজন নিয়মিত খরিদ্দার। রাতে কাজ শেষে যখন হলে ফিরতাম তখন ডাইনিং বন্ধ হয়ে যেত। তাই এই ব্যবস্থা ছাড়া আমার আর কোন উপায়ও ছিলো না।
হলের ডাইনিং কর্মচারী মিলন আমার জন্য এই উপকারটুকু করেছে দীর্ঘ দিন। বিভিন্ন হাত ঘুরে মাস্টার্সে পড়াকালে আমি এবং আমার কয়েক বন্ধু তার নিয়মিত খদ্দেরে পরিনত হই এবং এক পর্যায়ে বিশেষ সখ্যতাও গড়ে উঠে। সময় পেলেই মিলন রুমে আসতো বিভিন্ন পত্রিকা পড়ার জন্য। কী এক কারনে জানি সে সাংবাদিকতা পেশার প্রতি খুব আগ্রহী ছিল। এপেশা নিয়ে তার কত প্রশ্ন!
একদিন তার দেয়া খাবার খেয়ে রুমের মধ্যে কিছু একটা করছিলাম। টোকা দিয়ে রুমে ঢুকেই কাঁদো কাঁদো গলায় বললো স্যার একটা রিপোর্ট করতে পারবেন? আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই বললো, জানি আপনারা এই রিপোর্ট করবেন না!
কাহিনীটা ছিল- ‘দ্বিতীয়বার তরকারী দিতে অস্বীকার করায় রুমে ডেকে নিয়ে নেতারা তাকে সেদিন বেশ মারধর করেছে’। শার্ট খুলে পিঠে আঘাতের দাগ দেখিয়েছিল মিলন। হল থেকে বের করে দেয়ার হুমকিও দেয়া হয়েছে তাঁকে।
তারপর যা বললো এর জন্য আমি মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না! বললো, আপনারা রিপোর্ট না করলে কী হবে স্যার। আমরা প্রতিদিনই এদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেই। যতজন আমাদেরকে মারধোর করে, ফ্রি খায় তাদের খাবারের সাথে আমরা থুথু মিশিয়ে দেই। এদের সবার পেটে আমাদের থুথু আছে স্যার। কসম স্যার, আমি ওদের আমার পেশাব খাওয়াব! শুধু বইলেন না স্যার!
মিলনের কথাই সত্যি ছিলো।
কুমিল্লার চান্দিনা থেকে আসা মুহসীন হলের এক হত দরিদ্র ডাইনিং কর্মচারীকে মারধরের ঘটনা বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকের জন্য কোন খবর নয়। কারন সে ছিলো গরীব। তার জন্ম হয়েছে দরিদ্র বাবা মার ঘরে। তার প্রতি রাষ্ট্রের কোন দায় ছিলো না।
২০১৪ সালে জানুয়ারীর এক বিকালে স্মৃতি খুঁজতে একা একাই মুহসীন হলে গিয়েছিলাম। আহা! এই হলের প্রতিটি ধূলি কণার সাথে মিশে আছে কত জীবনের কত গল্প! আমার ‘গল্পগুচ্ছ’।
কেউ একজন বলেছিলো মিলন এখন দুবাই, তার দুটি ছেলে। লেখাপড়ার প্রতি প্রচন্ড আগ্রহী মিলন নিশ্চয়ই তাদেরকে স্কুল কলেজে পাঠাচ্ছে।
সেদিন আমি কিছু লিখিনি, খবরটিও ছাপা হয়নি।
আমি বড় হয়েছিলাম এমন এক সমাজে যেখানে জানতাম এটাই স্বাভাবিক। আমাকে শেখানো হয়েছে আমার সাথে মিলনদের বিরাট পার্থক্য, ওদেরকে মারলে কিছু হয়না। ডায়নিং বয়রা মার খেলে পত্রিকায় রিপোর্ট হয় না। মিলনদেরকে তাচ্ছিল্যই করতে হয়।
আমি জানি এবং সেদিনও জানতাম আমাদের সাথে মিলনের কোন পার্থক্য নেই। কোন কালেই ছিলনা। এই পৃথিবীটা সবার। কাউকে ছোট ভাবাও যায় না, মারাও যায় না। মারলে জীবনের কোন এক সময় থুথু খেতে হয়। নানা ভাবে, নানা ছলে সব ফিরে ফিরে আসে।
মিলন এখন কোথায় আছে, কী করছে জানি না।
তবুও তার উদ্দেশ্যেই আমার সামান্য পংক্তিমালা-
‘প্রিয় মিলন, দেশে আমরা তোকে মারি, এখন ভিন দেশীরাও নিশ্চয়ই চোখ রাঙ্গায়, ৫৫ ডিগ্রী গরমে কাজ করতে বলে। প্লিজ এনিয়ে কিচ্ছু ভাবিস না। এয়ার কন্ডিশন কল্পনা করে কাজটা করে নিস। কারন তোর পাঠানো টাকায়ই দেশ একটু একটু করে এগুচ্ছে। করোনার মধ্যেও রিজার্ভ বাড়ছে! দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর কাজও শুরু হয়ে যাচ্ছে! আর হ্যাঁ, দয়া করে সন্তানদের কাছে আঘাতের কথাটিও বলবি না! এটি লজ্জার বিষয়! আমার নিরব থাকার কথাটিও বলবি না প্লিজ! ‘সাংবাদিকরা জাতীর বিবেক’ এটা মেনে নিয়ে উন্নয়নের নামে, গণতন্ত্রের নামে আর কপালে লেখা ছিল বলে সব সহ্য করিস। তুই মনোবল হারালে দেশে দেশে বেগম পাড়ার বেগমরা বিপদে পড়বে। অনুভূতিকে হেফাজত করার জন্য লং মার্চ করে ফ্রান্স চলে যেতে চায় ভায়েরা আমার। ৫০ বছরে এই মিছিল অনেক লম্বা হয়েছেরে মিলন! তাদেরওতো পথ খরচ লাগবে! লক্ষী ভাই আমার, তুই রাগ করিস না।
সমবয়সী মিলন আমাকে সম্বোধন করতো ‘সাংবাদিক স্যার’ বলে। আজ মনে হয় সত্যিকারের স্যারতো সেই। আমি পারিনি, সে পেরেছে। মিলনের রক্তাক্ত পিঠেই সওয়ার হয়েছে জন্মভূমি। আজ মিলনই আমার বাংলাদেশ।
লন্ডন, ১৬ জানুয়ারী ২০২১
লেখক: সাংবাদিক, টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়রের উপদেষ্টা।