বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ হাজারো মুসল্লির উপস্থিতিতে আমিন আমিন ধ্বনিতে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে।শুক্রবার (১৪ মে ) সকাল ৭টায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। মুকাব্বির ছিলেন মুয়াজ্জিন হাফেজ কারী কাজী মাসুদুর রহমান।এর আগে সকাল ৬টা থেকে জায়নামাজ হাতে জাতীয় মসজিদে ঈদের জামাত আদায়ে ভিড় করে মুসল্লিরা। তাদের অনেকের হাতে ছাতাও দেখা যায়। মুসল্লিদের অনেকেই ফাঁকা ফাঁকা হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাঁড়াতে দেখা গেলেও অনেককে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করতে দেখা যায়। তবে মসজিদের প্রবেশ করা সবার মুখেই মাস্ক ছিলো। এছাড়া জাতীয় মসজিদ এলাকায় এবং মসজিদের প্রতিটি গেটে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি ছিলো। ব্যাগ নিয়ে আসা অনেককেই তারা তল্লাশি করেন।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদুল ফিতরের আরো চারটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়। তৃতীয়টি হবে সকাল ৯টায়। চতুর্থ জামাত হবে সকাল ১০টায়। সর্বশেষ ঈদ জামাতটি হবে বেলা পৌনে ১১টায়।দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিববুল্লাহিল বাকী নদভী। তৃতীয় জামাতের ইমাম হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক। চতুর্থ জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন কাসেম। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত বেলা পৌনে ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। এ জামাতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা ওয়ালিয়ুর রহমান খান।
বায়তুল মোকাররমের পাঁচ জামাতে কোনো ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ।করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে এবার হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে না। তবে প্রতি বছরের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।গত ২৬ এপ্রিল ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, করোনার কারণে এবারও ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত আদায় করা যাবে না। মসজিদে পড়তে হবে ঈদের নামাজ। একই সঙ্গে মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করতে অনুরোধ জানিয়েছে সরকার। এদিকে নির্দেশনা অনুসরণ করে যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে মসজিদের ইমাম-খতিব, মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটি, ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।