একজন মানুষ ক’টা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারেন?
সুমন দেব নাথ
যে কোন দুর্নীতিবাজ ধরলেই শুনি দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে তার শ’দুইশ ব্যাংক একাউন্ট! এটা কিভাবে সম্ভব? কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কি কোন দায়বদ্ধতা নেই? তাদের মনে কি কখনো প্রশ্ন আসে না যে একজন মানুষের শ’খানেক ব্যাংক একাউন্ট কেন লাগবে? এর পিছনে উদ্দেশ্য কি? সে কি করে? তার সোর্স অফ ফান্ড কি?
একজন মানুষ যখনই ৫/১০ টার বেশী ব্যাংক একাউন্ট খুলবে তখনই তো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মনিটরিং সিস্টেমে ঐ ব্যক্তির নামের পাশে লালবাত্তি জ্বলার কথা? তখনই তো ঐ ব্যক্তির ক্ষেত্রে ইন্টারনাল ইনভেস্টিগেশন চালানোর কথা! কোন দুই নাম্বারি তাদের চোখে পড়লে সাথে সাথে তার সব ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ ও ভবিষ্যতে সে আর দেশের কোন বানিজ্যিক ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে পারবে না! এমন একটা নিয়ম করতে কি সংবিধান পরিবর্তন করা লাগবে?
শুরুতেই যদি দুর্নীতির লাগাম টেনে না ধরতে পারেন তাহলে দুর্নীতি কমাবেন কিভাবে? একজন মানুষকে শ’দুইশ ব্যাংক একাউন্ট খুলতে দিবেন; আর পরে বলবেন সে দুর্নীতিবাজ! তা কেন? আপনারাও সিস্টেম্যাটিক দুর্নীতিবাজ জনাব!!
যারা বিদেশে ঘুরেন কিংবা আছেন তারা চেষ্টা করে দেখবেন তো ৫/১০ টা ব্যাংক একাউন্ট খুলার পরে আর কোন ব্যাংক আপনাকে নতুন কোন একাউন্ট খুলতে দেয় কিনা?? তারা সব মানুষের একটা ক্রেডিট ফাইল মেইনটেইন করে; যেখানে ঐ লোকের যাবতীয় ফাইন্সিয়াল রেকর্ড সংরক্ষিত থাকে এবং সবার একটা পারসোনাল স্কোর থাকে যা ভালো হলে আপনার সব ভালো আর খারাপ হলে সামান্য একটা মোবাইল ফোন কন্ট্রাকে নিতে পারবেন না! তখন বুঝতে পারবেন আপনি বিদেশের মাটিতে কত এতিম!!
ঠিক এভাবেই তারা মানুষকে দুর্নীতি থেকে দূরে রাখছে! ৫০০/ হাজার কোটি টাকার ঋণখেলাপী হওয়ার কোন সুযোগই নাই!! আর আমাদের দেশে এক ব্যক্তি শ’দুইশ একাউন্ট ওপেন করে ২/৪ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করে!!
সিস্টেম ডেভেলাপ না করে; দুর্নীতির বিরুদ্ধে হেন করেঙ্গা তেনকরেঙ্গা যতই বলেন আসলে কোন কাজের কাজ কিছুই হবে না! আসলে কিছু করবেনও না কারন ঐ ভাগের টাকা আপনার পকেটেও আসে!!
লেখক: সুমন দেব নাথ
লন্ডন প্রবাসী সাংবাদিক ও অনলাইন এক্টিভিষ্ট।