কেমন করে বেঁচে আছি এই করোনায়

দিলীপ মজুমদার

আজ ১৮ আগস্ট ।সেই মার্চ মাস থেকে চলছে নিজেকে গুটিয়ে রাখার ব্যাপার-স্যাপার । সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কাজ।মানুষ যে সামাজিক প্রাণী,ভুলতে বসেছি সেটা । ঘর থেকে বেরিয়ে একটু বাজারে যাই।কখনও পোস্ট অফিসে ।কখনও ব্যাঙ্কে । কতদিন আত্মীয়-বান্ধবের মুখ দেখিনি।আমার মুখও তারা দেখেনি।দেখলে কি চিনতে পারত ? মুখের উপরে মুখোশ আছে।এই তো সেদিন ঘটল ঘটনাটা।পর্ণশ্রী বাজারে ঢুকতে যাচ্ছি, এক ভদ্রলোক বললেন,কি,ভালো আছেন তো’ ? তাকিয়ে আছি ।চেনার চেষ্টা করছি । পারছি না।ভদ্রলোক বোধহয় হাসলেন ।বোধ হয়’,কেননা মাস্কের ভেতর দিয়ে হাসি দেখা যায় না । ‘দাদা, আমি প্রবাল, পর্ণশ্রী ক্লাবের প্রবাল’, আমিও হাসলাম । আমার হাসি প্রবালও দেখতে পেল না । সে বলল, ‘ আমিও চিনতে পারতাম না ।চিনেছি আপনার হাইট, ঘিয়ে রঙের খাদির পাঞ্জাবি আর মাথার স্বল্প চুল দেখে ।’

এভাবে চেনা মানুষ অচেনা হয়ে যাচ্ছে । চোখের আড়াল হতে হতে মানুষ মনের আড়াল হয়ে যায়। সেভাবেও চেনা মানুষ হয়ে যায় অচেনা । মামনির শ্বশুরবাড়ি সোদপুর বাজারের কাছে । দূরত্ব বেশি নয় । ফাঁক পেলে সে চলে আসে । দু-একদিন থেকে যায় ।তার স্বামী অসুস্থ বলে বেশি দিন থাকতে পারে না । ছেলে আর ছেলের বউ থাকে মধ্যমগ্রামে ।সেখানে তাদের কারখানা । তারা গত ছ’মাস আসতে পারে নি । কল্পনা-নিমাই-নীলেন্দু থাকে উত্তরপাড়া । তাদের বাড়িতেও যাওয়া-আসা বন্ধ । কাঁথির খাগড়াবনি বা বাদলপুরেও যাওয়া হয় না । তবে হ্যাঁ, ফোনে যোগাযোগ হয়। সেজন্য বিজ্ঞানকে ধন্যবাদ দিই । কিন্তু দুধের স্বাদ কি ঘোলে মেটে !

পেনশনের টাকা তুলতে যাই মাসের দশ/বারো তারিখে । তখন ভিড় একটু কম থাকে । এখন তো আবার লাইন দিয়ে দাঁড়াতে হয় । একজন একজন করে ঢুকতে দেয় । আমার পেনশন ব্যাঙ্ক বেহালার ডি এইচ রোডে । দীপিকাকে ফোন করে যাই । দীপিকা আমাদের অবিবাহিত অরুণবাবুর মানসকন্যা । গতমাসে ফোন না করে আনন্দের রিক্সায় দুপুরের দিকে গেলাম ব্যাঙ্কে । গেট বন্ধ । গেটে নোটিশ, চারজন কর্মচারী করোনা আক্রান্ত । আরতি খবরটা মামনিকে দিতে সে রেগে গিয়ে বলল, ‘বাবা,তোমাকে কতবার বলেছি, এটিএমটা করিয়ে নাও ।’ এবার দেখছি এটিএম করাতে হবে ।কোথায় যে করোনা তার থাবা বসাবে কেউ জানে না । তবু দুঃসাহসী মানুষজন যে নেই তা নয় ।

যেমন মামনিদের প্রিন্সিপাল মহোদয়া । স্কুল বন্ধ থাকলেও তিনি কারণে-অকারণে টিচারদের ডেকে পাঠান । অন লাইন ক্লাসের বিষয় আলোচনা করেন । অভিভাবকরা এলে তিনি মাস্ক ছড়াই তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন । টিচাররা মাস্ক, গ্লাভস এসব পরে গেলে তিনি মৃদু বিদ্রুপ করেন । যেন বেশি বাড়াবাড়ি করছে তারা । করোনা সামান্য ফ্লু ছাড়া যে আর কিছুই নয়, সেটা বোঝাতে চেষ্টা করেন । টিচাররা চুপ করে থাকলেও মনে মনে ভাবেন, করোনা যে কী সেটা তাবড় বিজ্ঞানীরাও ধরতে পারছেন না । বহুরূপীর মতো ক্ষণে ক্ষণে যে রূপ বদলায়, তাকে চেনা-বোঝা কী এতই সোজা ! সেই প্রিন্সিপালই একদিন করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়লেন । অতএব গৃহবন্দি । ঘরে থেকে ফোন আর কমপিউটারে যোগাযোগ রাখতে লাগলেন ছাত্র-ছাত্রী আর টিচারদের সঙ্গে । তাঁর কেয়ারফ্রি মনোভাবের সমালোচনা করলেও মামনি তাঁর মনোবলের প্রশংসা করল । করোনা জয়ের জন্য মনোবলটা জরুরি ।
মামনিকে বাজার যেতে হচ্ছে, মাঝে মাঝে স্কুলে যেতে হচ্ছে । তার জন্য চিন্তায় আছি । চিন্তায় আছি দুষ্টু আর স্মিতার জন্য । মধ্যমগ্রামে থাকে তারা । করোনায় ছেয়ে গেছে সে জায়গা । তাদের কারখানায় নানা মানুষ আসে । সংক্রমণ ছড়াবার উপযুক্ত জায়গা । একদিন দেখলাম স্মিতা ফোন করার পরে আরতি বেশ গম্ভীর হয়ে গেল । অনেক সাধ্যসাধনা করে জানলাম ব্যাপারটা । দুষ্টুদের ম্যানেজার মানসের দিনকয়েক জ্বর হয়েছিল, তারপরে স্বাদ-গন্ধ চলে যায়, করোনা টেস্ট করে বোঝা যায় পজিটিভ । কারখানারই একটা ঘরে থাকত মানস । নিজেই একটা ব্যবস্থা করে সেফহোমে চলে গেছে । মানসের সঙ্গে মেশামেশি হত, তাই দুষ্টু তার কারখানার বারো জন কর্মচারীকে নিয়ে করোনা পরীক্ষা করাতে চলে গেল কর্পোরেশন অফিসে । কিন্তু তাদের কোন লক্ষণ নেই, তাই ফিরে আসতে হল । পরের দিন দুষ্টু আবার গিয়ে তাদের ম্যানেজারের কথা বলায় পরীক্ষা হল । দু দিন বাদে জানিয়ে দেওয়া হল বারো জনই করোনা পজিটিভ । দুষ্টু ফেসবুকে লিখে দিল I have recorded my name in the historic pandemic. দুষ্টুদের করোনা শুনে ভয় পেলাম খুব । ওরা ভাড়াবাড়িতে থাকে, কে দেখবে ! দুষ্টুর হেলদোল নেই । বলল, ‘চিন্তা করো না বাবা । আমরা বিন্দাস আছি । আশপাশের ফ্ল্যাটের লোক একটু কাঁইকুঁই করছিল, কর্পোরেশনের লোক বলে দিয়েছে এই কমপ্লেক্সের বহু ফ্ল্যাটে করোনা রোগী ঘাপটি মেরে আছে । প্রথমে আপত্তি করলেও পরে সিকিউরিটির লোক আমাদের বাজার করে দিতে সম্মত হয়েছে । তাছাড়া, জল দেয় যে বাপ্পাদা সে তো সা্হায্যের হাত বাড়িয়ে আছে ।’ চোদ্দ দিন ঘরবন্দি থাকার পর তারা ডিসচার্জ সার্টিফিকেট পেল কিন্তু করোনা পজিটিভের সার্টিফিকেট পায় নি । রোগ যে হয়েছিল তার কোন প্রমাণ নেই, কিন্তু রোগমুক্তির প্রমাণ আছে । অদ্ভুত প্যারাডক্স । দুষ্টু আমাদের বলে দিল, ‘জ্বর হলে প্যারাসিটামল খাও, গলা ব্যথা বা কাশি হলে কাফ সিরাপ খাও, করোনা টেস্ট করাতে যেও না ।’

মামনিরও বার কয়েক জ্বর হল, গলা ব্যথা হল, ভাইএর উপদেশাবলি শিরোধার্য করে সে আবার ঠিক হয়ে গেল । তবে সে রোজ গার্গল করে আর ভেপার নিতে ভোলে না । সেই সঙ্গে আরতির ভেষজ চিকিৎসা তো আছেই । সকালে উঠে খালি পেটে রসুন, তারপরে আমন্ড বাদাম ও আদা দিয়ে ছোলা ভেজানো ; প্রচুর শাক-সবজি ; খাওয়ার পরে দারচিনি-আমলকি-হরতুকি-জোয়ান-গোলমরিচ চিবিয়ে খাওয়া । এসব খেয়ে মোটামুটি আমরা এ পর্যন্ত তো ঠিক আছি । তবে, সামাজিক দূরত্বটা বজায় রাখছি নিষ্ঠার সঙ্গে, মাস্কটা পরছি ।
কিন্তু কতদিন এসব বজায় রাখা যাবে ! আমার না হয় পেনশন আছে, কিন্তু যারা দিন আনে দিন খায়, বেসরকারি সংস্থায় কাজ করে, ব্যবসা করে, তারা কতদিন এইসব বিধিনিষেধ বজায় রাখতে পারবে ! করোনা থাকছে, কিন্তু কতদিন থাকবে ! কেউ কিছু বলতে পারছে না । সারা পৃথিবীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন ২১,৮৫০,৬৭৯ + ৩২,৬৫৫ ; মৃতের সংখ্যা ৭৭৩,৫৪৩ +৭৮৬ । তবে হ্যাঁ, সুস্থ হয়ে উঠছে বেশ কিছু মানুষ, সংখ্যাটা হল ১৪,৫৭৪,৭৮৫ । আক্রান্তের সংখ্যায় এগিয়ে আছে আমেরিকা, ব্রাজিল, ভারত, রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, পেরু, মেক্সিকো, কলাম্বিয়া, চিলি, স্পেন, ইরান, ইংল্যান্ড, সৌদি আরব, আর্জেন্টিনা, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ইতালি, তুর্কি, জার্মানি, ফ্রান্স, ইরাক, ফিলিপিনস, ইন্দোনেশিয়া, কানাডা, কাতার, কাজাস্থান, ইকুয়েডর, ইজিপ্ট, বলিভিয়া, ইস্রায়েল প্রভৃতি দেশে । মৃত্যুহার আর সুস্থতার হার সব জায়গায় সমান নয় । কম-বেশি আছে ।
দিনকয় আগে মঞ্জু মেডিকেলে ওষুধ কিনতে গিয়েছিলাম । তার ঠিক উল্টোদিকে কমিউনিটি হল । দেখলাম লাইন পড়ে্ছে । কিসের লাইন ? মঞ্জু মেডিকেলের ছেলেটি জানাল এখানে করোনার প্রাথমিক টেস্ট হচ্ছে । হাসতে হাসতে ছেলেটি বলল, ‘যার টেস্ট হচ্ছে তারই পজিটি্ভ ।’ যখন এসব কথা হচ্ছে দোকানের সামনে এসে দাঁড়ালেন হালদারবাবু । পুলিশের চাকরি করেন । পোস্টিং লালবাজারে । বললেন, ‘আর পারছি না দাদা । অমানুষিক চাপ যাচ্ছে । সেই সঙ্গে ভয় । নিজের জন্য যতটা, তার চেয়ে বেশি বাড়ির লোকের জন্য । বয়স্ক মা-বাবা আছে । স্ত্রী আর ছেলে-মেয়ে আছে । মূল ঘরের সঙ্গে লাগোয়া একটা ছোট ঘর আছে, রাত্রিবেলা বাড়ি গিয়ে সেখানে শুই, সকালে আবার বেরিয়ে পড়ি । আমাদের মতো হাসপাতালের ডাক্তার-নার্সদেরও একই অবস্থা । পরিবারের সঙ্গে কোন সজীব সংযোগ নেই ।’একথা বলার পরে রাস্তার দিকে তাকিয়ে হালদারবাবু ‘ডাক্তার ডাক্তার’ বলে চেঁচিয়ে উঠলেন । দেখলাম ডাক্তার চক্রবর্তী একটা স্কুটি ঠেলতে ঠেলতে বাজারের দিকে যাচ্ছেন । হালদারবাবু ডাকতে তিনি এগিয়ে এসে বললেন, ‘এই যন্ত্রটা বিগড়ে গেল । সারাতে যাচ্ছি ।’

হালদারবাবু বললেন, ‘এ অবস্থায় মানুষই বিগড়ে যাচ্ছে, যন্ত্রের আর দোষ কী ?’
-‘তা যা বলেছেন ।’
-‘চেম্বার তো বন্ধ করে রেখেছেন । এখন কী বাড়িতেই রোগী দেখছেন ?’
-‘হ্যাঁ । দেখছি ।’
-‘হাসপাতালে চাকরি হলে বুঝতেন ঠ্যালাটা ।’
-‘ তা ঠিক । ওঁদের ঝুঁকিটা অনেক বেশি ।’
আমি বললাম, ‘হু তো বলছে যে কোন মুহূর্তে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা আছে ।’
ডাক্তার বললেন, ‘হু আসলে ওয়ার্ল্ড হরর অর্গানাইজেশন । আশার চেয়ে নিরাশার কথা বেশি বলে, অজস্র উল্টোপাল্টা বলে । আজ যা বলে, কাল ঠিক তার বিপরীত বলে । হু বলেছিল সবসময় মাস্ক পরার দরকার নেই । ২৩৯জন বিজ্ঞানী যেই করোনাকে বায়ুবাহিত রোগ বললেন, অমনি হু মত বদল করল । হু-র নীতিতে গলদ আছে । একথা আমি বলছি না, ইমিউনোলজিস্ট ইন্দিরা নাথ বলেছেন । বিজ্ঞানীরাও কম যান না । চটজলদি গবেষণাপত্র প্রকাশ করছেন তাঁরা । জীবনবিজ্ঞানী, রাশিবিজ্ঞানী, তথ্যবিজ্ঞানী সকলেই আছেন । অতিমারির গবেষণায় চটজলদি গবেষণাপত্র প্রকাশ করায় যে বিপদ আছে, সে কথা পরিষ্কারভাবে বলেছেন কার্নেগি-মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের এথিক্সের অধ্যাপক অ্যালেক্স লণ্ডন । আরে বাবা, করোনাভাইরাসের চরিত্রটাই তো এখনও ভালো করে বোঝা যায় নি ।’
হালদারবাবু ডাক্তারকে একটু খুঁচিয়ে দিলেন, ‘কী রকম ?’
-‘ যেমন ধরুন, একটা ধারণা হয়েছিল নাবালকদের রেহাই দিচ্ছে করোনা । কিন্তু দেখা গেল গত দু সপ্তাহে ইংল্যান্ডে ৯৭ হাজার নাবালক সংক্রমিত হয়েছে । মনে হয়েছিল করোনা শীতের সন্তান । কিন্তু দেখুন, গরম আসার পরেও করোনার প্রকোপ কমল না । গরমের দেশগুলোতে সংক্রমণের হার দেখুন । দেখা যাচ্ছে করোনা সংক্রমণের পরেও বহু রোগীর শরীরে অ্যান্টিবডির সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না । করোনা ধাঁথাঁর উত্তর কী তাহলে রক্তে আছে ? ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বাস্থ্য কমিশনার স্টেলা কাইরিয়াকাইডস জানিয়েছেন নতুন এক স্ট্রেনের করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে । মালয়েশিয়ায় করোনার নতুন এক প্রজাতি ধরা পড়েছে, নাম ডি৬১৪জি । এটা নাকি দশ গুণ ছোঁয়াচে । কেউ কেউ করোনাকে ফ্লু বলে চালাতে চেয়েছিল । আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পাগলা দাশুর মতো । কিন্তু

দেখা যাচ্ছে প্রতি বছর যে পরিমাণ ইনফ্লুয়েঞ্জা হয় গত সাত মাসে তার তিন গুণ বেশি করোনা সংক্রমণ হয়েছে ।কথায় কথায় উঠল টিকার কথা । ডাক্তার বললেন, ‘প্রথমে অক্সফোর্ড আশার আলো দেখিয়েছিল, চ্যাডক্স ১ এর কথা বলছি । এখন আবার তার নাম এজেডডি ১২২২ । প্রথম ধাপে সফল হলেও ফিট সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্য আরও বড় মাত্রায় ক্লিনিকাল ট্রায়াল দরকার । আগ বাড়িয়ে ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউট বলে দেয়েছেন তাঁরা চলতি বছরে অক্সফোর্ডের টিকার ৩০ কোটি ডোজ তৈরি করে ফেলবেন ।আমি বললাম, ‘রাশিয়া নাকি প্রথম ভ্যাকসিন আনবে বাজারে! রুশ আধিকারিক কিরিন দিমিত্রিয়েভ জানিয়েছেন । এ নিয়ে নাকি মস্কোর সঙ্গে ওয়াশিংটনের ঠান্ডা যুদ্ধ চলছে !ডাক্তার বললেন, ‘ পরীক্ষা শেষের আগেই টিকা বাজারে ছাড়বে বলে রাশিয়া ঘোষণা করে দিয়েছে আগেভাগে । এ ব্যাপারে আমাদের ভারতও পিছিয়ে নেই ।
-কী রকম’, হালদারবাবু জানতে চান ।
-‘যেমন সিরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়ার সিইও আদার পুনাওয়ালা বলে দিয়েছেন এ বছরের ডিসেম্বরে টিকা আসতে পারে।কিন্তু দেখুন হু-র জরুরি বিভাগের শীর্ষকর্তা মাইক বায়ান বলেছেন করোনার প্রতিষেধক ২০২৭ সালের আগে পাওয়া যাবে না ।আসলে কী জানেন,প্রতিষেধক আবিষ্কারের ব্যাপারে বিজ্ঞানীদের উপর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে ।এটা মারাত্মক ক্ষতিকারক।এসব আলোচনা থেকে বুঝতে পারি, আমাদের সামনে একটা আশা-দিশাহীন ‘আগামী’ আছে ।সামনে বিপদ আছে, যে কোন মুহূর্তে সে বিপদ ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে আমাদের উপর, এটা যখন পরিষ্কার, তখন কেমন অসহায় লাগে ।

(লেখক: কলামিষ্ট, ফেলোশীপ প্রাপ্ত গবেষক, সত্যবাণীর কন্ট্রিবিউটিং কলামিষ্ট।)

 

 

You might also like