জীবনের সুরক্ষায় অনিবার্য প্রয়োজনেই এই লকডাউন: ওবায়দুল কাদের

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন,জীবনের সুরক্ষার অনিবার্য প্রয়োজনেই এই লকডাউন।নিরাপদ জীবনের জন্য করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আজ থেকে শুরু হওয়া কঠোর বিধিনিষেধসহ লকডাউনে সাময়িক অসুবিধা মেনে নিতে দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি।বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা জানান।ওবায়দুল বলেন, করোনার সংক্রমণ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পৌঁছে যাওয়ায় জনগণের সুরক্ষায় শেখ হাসিনা সরকার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অসহায়, কর্মহীন মানুষের জন্য সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং সামর্থ্যবান এগিয়ে আসার আহবান জানান।

সেতুমন্ত্রী বলেন,দেশে নানা দুর্যোগে এবং সংকটে প্রধানমন্ত্রী দক্ষতার সাথে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তার সিদ্ধান্ত জনগণের কল্যাণে নিবেদিত।তিনি বলেন, গত কয়েকদিনে করোনায় ধারাবাহিকভাবে শতাধিক মৃত্যু এবং উচ্চমাত্রায় সংক্রমণ ভয়ানক অবস্থার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এমন অবস্থায় সচেতনতা ও সতর্কতার সর্বোচ্চ ডিগ্রি অনুসরণ করা ছাড়া কোনও বিকল্প নেই।ওবায়দুল কাদের বলেন, জীবিকার আগে জীবনের সুরক্ষা, অতীতে আমরা জাতি হিসেবে কখনও কখনও কঠিন সময় অতিক্রম করেছি। শেখ হাসিনার মানবিক ও দক্ষ নেতৃত্বে এ কঠিন পরীক্ষায়ও উত্তীর্ণ হবো ইনশাআল্লাহ।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ আঁধার কেটে যাবে, সুদিন আসবে তবে তার আগে ঘরে ঘরে সতর্কতার দুর্গ গড়ে তুলতে হবে।

যে কোন সংকট উত্তরণে প্রয়োজন ধৈর্যসহকারে ঐক্যবদ্ধ থাকা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সবাইকে ঐক্যের মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে স্বাস্থ্য সচেতনতার মধ্য দিয়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করার আহবান জানান।তিনি বলেন, লকডাউনে অনেক অসহায় ও খেটে খাওয়া মানুষ সংকটে পড়েছে, কিন্তু সরকার এই বিষয়ে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে। কোনও অসহায় মানুষ যাতে কষ্ট না পায়, না খেয়ে থাকে এজন্য শেখ হাসিনা সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছেন।ত্রাণ সামগ্রী দিতে গিয়ে যাতে নিম্ন আয় ও ভাসমান মানুষ কোনও ভাবেই বাদ না পড়ে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও দলের নেতাকর্মীদের যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়ার আহবান জানান সেতুমন্ত্রী।তিনি বলেন, প্রয়োজনে ঘরে ঘরে গিয়ে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিতে হবে, শতভাগ মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে। ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করতে হবে।

করোনা কাউকে ছাড় দেয় না, কোন শ্রেণিভেদ মানে না। তাই দলমত নির্বিশেষে সবাইকে করোনা মোকাবিলা করতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহবান জানান ওবায়দুল কাদের।২০১৬ সালের আজকের দিনে গুলশান হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনাকে মহান মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিরুদ্ধে উগ্রবাদীদের তৈরি একটি দুষ্ট ক্ষত দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতোমধ্যে সাম্প্রদায়িকতার বিষদাঁত ভেঙে দেওয়া হলেও এ অপশক্তি একেবারে নির্মূল হয়েছে তা বলা যাবে না। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায় বিষফোঁড়া হয়ে আছে সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ।ওবায়দুল কাদের মনে করেন হয়তো তারা অতিগোপনে তলে তলে তাদের শক্তিবলয় বাড়াচ্ছে, তাদের নীরবতা অন্য কোন ভয়াবহ ইঙ্গিতও হতে পারে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে সতর্ক রয়েছে।ওবায়দুল কাদের বলেন, উগ্রবাদের বিরুদ্ধে দেশের জনগণের মাঝে একটি ঐক্য তৈরি হয়েছে, বিভিন্ন স্থানে সামাজিক প্রতিরোধ তারই প্রমাণ।

You might also like