‘তালেবানদের অবৈধ ক্ষমতাদখলকে কারো স্বীকৃতি দেয়া উচিত হবে না’

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ  ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৭তম বার্ষিকী উপলক্ষে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’র অস্ট্রেলিয়া শাখার উদ্যোগে ‘বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ায় মৌলবাদের উখান এবং আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়।ওয়েবিনারে নির্মূল কমিটির অস্ট্রেলিয়া শাখার সভাপতি ডাঃ একরাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও অস্ট্রেলিয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক জুয়েল তালুকদারের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আবদুর রশীদ (অবঃ), বীরমুক্তিযোদ্ধা কামরুল আহসান খান ও ২১শে পদকপ্রাপ্ত আলোকচিত্র শিল্পী পাভেল রহমান। অন্যান্যদের ভেতর সভায় বক্তব্য প্রদান করেন নির্মূল কমিটির সর্ব ইউরোপীয় শাখার সভাপতি সমাজকর্মী তরুণ কান্তি চৌধুরী, অস্ট্রেলিয়ার বিশিষ্ট পরিবেশবিদ পল অবোহভ, নির্মূল কমিটির সর্বইউরোপীয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সমাজকর্মী আনসার আহমদ উল্লাহ, তুরস্ক শাখার সাধারণ সম্পাদক লেখক চলচ্চিত্রনির্মাতা শাকিল রেজা ইফতি, জাগরণের হিন্দ বিভাগের সম্পাদক তাপস দাস, নির্মূল কমিটির অস্ট্রেলিয়া শাখার সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশফাক কে রহমান, অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হারুনূর রশিদ, নির্মূল কমিটি অস্ট্রেলিয়া শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর কেনেডি, নির্মূল কমিটি সহসভাপতি হাসান ফারুক শিমুল রবিন ও সাজ্জাদ সিদ্দিকী, অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান রিতু, অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. সামস রহমান, বঙ্গবন্ধু পরিষদ অস্ট্রেলিয়া শাখার সভাপতি ডঃ রতন কুন্ডু, চট্টগ্রাম ইসলামিয়া কলেজ প্রাক্তন ছাত্রনেতা ভিপি ইফতেখার উদ্দিন ইফতু, মেলবোর্ন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ রায় ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পরিবেশ উপকমিটির সদস্য মির্জা খালেদ আল আব্বাস ।

প্রধান বক্তার ভাষণে ২১ আগস্টের নৃশংস গ্রেণেড বোমা হামলায় নিহত ও আহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করে নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৃশংস হত্যাকাণ্ড এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেণেড বোমা হামলা ও হত্যাকাণ্ড একই রাজনীতির অন্তর্গত। এদেশের পাকিস্তানপন্থী মৌলবাদী ঘাতক এবং তাদের সহযোগীরা ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু এবং তার প্রধান সহযোগী মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বপ্রদানকারী চার জাতীয় নেতাকে হত্যা করে ’৭১-এর শোচনীয় পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশে পাকিস্তানের মতো ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। ২১ আগস্টের গ্রেণেড বোমা হামলার জন্য দায়ী পাকিস্তানপ্রেমী বিএনপি-জামায়াত-ফ্রিডম পার্টি গং হামলার আগে বলেছিল শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রেখে বাংলাদেশে তাদের ইসলাম কায়েম করা যাবে না। তাদের ইসলাম হচ্ছে মওদুদিবাদী, সালাফিবাদী কট্টর রাজনৈতিক ইসলাম, যার সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ায় সুফিসাধকদের দ্বারা প্রচারিত শান্তি সমন্বয় ও সহমর্মিতার ইসলামের কোনও সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশে ধর্মের নামে এই পাকিস্তানপন্থী সন্ত্রাসী রাজনীতি বিভিন্নভাবে বিকশিত হচ্ছে। উপমহাদেশের মৌলবাদী রাজনৈতিক ইসলামের জন্মদাতা জামায়াতে ইসলামী।’

শাহরিয়ার কবির তার ভাষণে আরও বলেন, ‘সম্প্রতি আফগানিস্তানে যে মৌলবাদী সন্ত্রাসী তালেবান অবৈধভাবে ক্ষমতাদখল করেছে তাদের রাজনীতি এবং বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াত-হেফাজত এবং তাদের তল্পিবাহকরা একই রাজনীতি অনুসরণ করে। ধর্মের নামে তারা ভিন্নধর্ম, ভিন্নমত, ভিন্ন জীবনধারার অনুসারীÑ বিশেষভাবে নারীসমাজের উপর কী ভয়ঙ্কর নির্যাতন চালিয়েছে, কিভাবে নির্বিচারে হত্যাকাণ্ড ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আমরা ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশে দেখেছি এবং আফগানিস্তানে তালেবানদের প্রথম শাসনামলে দেখেছি। ধর্মের নামে সন্ত্রাসের রাজনীতি নিষিদ্ধ না হলে বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ এশিয়ার সকল দেশ জঙ্গী জিহাদিদের অভয়ারণ্যে পরিণত হবে। ‘গাজওয়ায়ে হিন্দ’-এর কথা বলে তালেবান, আল-কায়দা-আইএসআইএস-এর জঙ্গী সন্ত্রাসীরা ইতিমধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় তাদের সাংগঠনিক নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করেছে, যার প্রধান মদদদাতা হচ্ছে পাকিস্তান। বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামী ও আফগানিস্তান তালেবানদের মূল ঘাঁটি পাকিস্তানে। দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক নিরাপত্তার স্বার্থে তালেবানদের অবৈধ ক্ষমতাদখলকে স্বীকৃতি দেয়া কোনও শান্তি ও গণতন্ত্রকামী দেশের পক্ষে উচিত হবে না।’

নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আবদুর রশীদ (অবঃ) বলেন, ‘২১ শে আগস্ট ২০২১ একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, একটা সন্ত্রাস বিরোধী সমবেশে সন্ত্রাসী হামলা। আমরা এও দেখলাম প্রশাসনের সহায়তায় কিভাবে সন্ত্রাসীদের পলায়ন করে। ১৯৭৫-এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব প্রদানকারী শীর্ষ নেতাদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ধারাবাহিকতায় ঘটেছে ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেণেড-বোমা হামলা ও হত্যাকাণ্ড। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা যখন বিরোধী দলের নেতা, ক্ষমতায় যখন বিএনপি-জামায়াতের মৌলবাদী, সাম্প্রদায়িক ও ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের জোট, তখন এই জোটের শীর্ষ নেতারা আওয়ামী লীগের সমাবেশে দলের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ শীর্ষ নেতাদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য এক নজিরবিহীন গ্রেণেড-বোমা হামলা করেছিল। সেই সময় জঙ্গী মৌলবাদীরা যাবতীয় গ্রেণেড-বোমা হামলার দায় আওয়ামী লীগ ও ভারত উপর চালানোর চেষ্টা চলছিল। এই জঙ্গী মৌলবাদীদের নেটওয়ার্ক সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় বিস্তৃত রয়েছে।’

নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী বলেন, ‘মৌলবাদীদের উত্থান ও কার্যক্রম রোধে করণীয় মৌলবাদের উৎস নির্মূল করা। ওদের অর্থ-সম্পদের সরবরাহ বন্ধ করা। একমুখী শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা। শিক্ষাক্ষেত্রে কোন ধরনের বৈষম্য থাকবে না এবং কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারের আওতামুক্ত থাকবে না। জামায়াত ইসলামী পরিচালিত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হবে অথবা ওদের চালু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বোর্ডের অধীনে আনতে হবে। যে সব ‘পিস’ স্কুল নাম ও ঠিকানা বদলে আগের মতোই জিহাদি তৈরি করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। যে সব পরিবারের জঙ্গী ধরা পড়বে তাদের চিহ্নিত করে নাগরিক সুবিধা খর্ব করতে হবে। উপরন্তু উচ্চ হারে তাদের জরিমানা দিতে হবে। আগেই তা ঘোষণা করতে হবে। কোন আটক জঙ্গীকে জামিন দেয়া যাবে না। জেলখানায় আটক জঙ্গীদের একত্রে বৈঠক বা মেলামেশা করতে দেয়া যাবে না। পাকিস্তানে যাতায়াতকারীদের সর্বদা গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখতে হবে।’

বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুল আহসান খান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের খতম করতে পারলে বাংলাদেশকে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে মিনি পাকিস্তান বানানোর সামনে আর কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকবে না। এই স্বাধীন বাংলাদেশে পাকিস্তানি ভাবধারার শাসন চিরদিনের জন্য পাকাপোক্ত হয়ে যাবে। বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনার কর্মীরা ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট মানববর্ম তৈরি করে তাকে রক্ষা করেন। অপরদিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ও পৃথিবীর বৃহত্তম ধর্ম ব্যাবসায়ী সন্ত্রাসী সংগঠন জামাত শিবির ও তাদের দোসর বিএনপি তাদের শাসন আমলে আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠন গুলোকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ, প্রশিক্ষণ গ্রহণ এবং জঙ্গী নেটওয়ার্ক স্থাপনের সুযোগ করে দিয়ে বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়াকে অস্থিতিশীল করে তোলার প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।’

বিশেষ অতিথির ভাষণে অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশবিদ পল অবোহভ বলেন, ‘২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্য ছিল একটি উগ্র কর্তত্ববাদী শাসন প্রতিষ্ঠা। আমরা আনন্দিত যে তিনি আহত হয়েও প্রাণে বেঁচেছেন। শেখ হাসিনা এখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি ও তার সরকার দেশে বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের পাশাপাশি সমগ্র বিশ্বে পরিবেশ উন্নয়নের জন্য যে সব উদ্যোগ নিয়েছেন তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।২১শে পদকপ্রাপ্ত আলোকচিত্র শিল্পী পাভেল রহমান বলেন, ‘রমনার বটমূলে উদীচীর বর্ষবরণ অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে এ যাবত কাল পযন্ত বাংলাদেশে সংগঠিত সকল জঙ্গী হামলাগুলো শুধু মাত্র অসাম্প্রদায়িক ও ধর্ম নিরপেক্ষ চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলোর উপর করা হয়েছে, যেখানে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু ঘটেছে এবং হাজার হাজার মানুষ আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে।’

নির্মূল কমিটির সর্ব ইউরোপীয় শাখার সভাপতি সমাজকর্মী তরুণ কান্তি চৌধুরী বলেন, ‘ধর্মকে রাজনীতি কারণের ফলে পাকিস্তানে জঙ্গি মৌলবাদের উৎপত্তি। পাকিস্তান আফগানিস্তানে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের জন্য মুজাহিদদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিল এবং এখন তালিবানদের সাথে একই কাজ করছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জঙ্গীদের অর্থায়ন, ব্যাংকিং, বিদেশে তালেবানের ভার্চুয়াল দূত হিসেবে কূটনৈতিক সহায়তা প্রদান, তালেবানদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ, হামলার পরিকল্পনা ও নির্দেশনা, গোলাবারুদ ও জ্বালানির চালান সরবরাহ এবং সহজতর করার অভিযোগ রয়েছে। রেকর্ডে, পাকিস্তানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ইসলামী জঙ্গিদের সমর্থন করার কথা স্বীকার করেছেন।’

নির্মূল কমিটির সর্বইউরোপীয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সমাজকর্মী আনসার আহমদ উল্লাহ বলেন, ‘২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশ ডেকেছিল সিলেটের ৭ অগাস্ট হামলার প্রতিবাদে। হামলাকারিরা গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, তখনকার বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা সহ আওয়ামী লীগের পুরো নেতৃত্বকে নির্মূল করার লক্ষেই হামলা চালায়। হামলার নেতৃত্বে ছিল আফগান ফেরত মুফতি হান্নানের দল হরকাতুল জিহাদ। সম্প্রতি তালিবানরা আবারও ক্ষমতায় আসায় আমাদেকে অবশ্যই ভাবিয়ে তুলেছে। জঙ্গি গোষ্ঠীর ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে যাতে ২১ অগাস্টের পুনরাবৃত্তি না ঘটে।’

তুরস্ক শাখার সাধারণ সম্পাদক লেখক চলচ্চিত্রনির্মাতা শাকিল রেজা ইফতি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেভাবে করে জঙ্গি মৌলবাদ প্রচার করা হচ্ছে, তাতে করে ক্যান্সারের মতো এই কুশক্তির বিস্তার ঘটছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির অথবা চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটে এমন প্রচারের অভাব রয়েছে। ওয়াজের নামে ঘৃণা ছড়ানো, নারী-বিদ্বেষী মন্তব্য ও সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন ইত্যাদি প্রকাশ পায় এমন কমেন্ট-পোস্টের ছড়াছড়িÑ এমনকি নামজাদা পত্র-পত্রিকা, মিডিয়ার পেজ-গ্রুপেও। অনলাইন এক্টিভিস্ট তরুণ লেখকদের এক্ষেত্রে একত্রে ভূমিকা পালন করতে হবে, তবে সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও যথাযথ নজর ছাড়া এই সমস্যা থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। পাশাপাশি, আমাদের হাজার বছরের ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতি সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মকে সচেতন করতে হবে। সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের ভূমিকা এ ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে অনস্বীকার্য।’

নির্মূল কমিটি অস্ট্রেলিয়া শাখার সভাপতি ডাঃ একরাম চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগকে সম্পূর্ণ নেতৃত্বশূন্য ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করতেই ঘাতকরা চালায় এই দানবীয় হত্যাযজ্ঞ। জাতির সামনে আবারও স্পষ্ট হয়ে ওঠে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধস্পৃহা। বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় থাকার সময়ই খোদ রাজধানীতে প্রকাশ্যে চালানো হয়েছিল যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত মারণাস্ত্র গ্রেনেড দিয়ে এই ভয়াল ও বীভৎস হামলা। ওই সরকারের মন্ত্রী থেকে শুরু করে অনেকেই যে এই নারকীয় হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল, তা তদন্তের মাধ্যমে জাতির সামনে আজ স্পষ্ট হয়ে গেছে।

You might also like